আজ শনিবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / শহীদ জিয়ার রাজনৈতিক আদর্শ ও স্বপ্নের বাংলাদেশ
শহীদ জিয়ার রাজনৈতিক আদর্শ ও স্বপ্নের বাংলাদেশ
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Wednesday, 11 June, 2025 at 7:49 PM
শহীদ জিয়ার রাজনৈতিক আদর্শ ও স্বপ্নের বাংলাদেশশহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ একটি যুগান্তকারী ধারণা, যা আমাদের জাতিগত পরিচয়ে নতুন এক মাত্রা যুক্ত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পর, যখন পুরো জাতি একটি সত্তার সন্ধানে ছিল, তখন শহীদ জিয়া তাঁর সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদকে একটি বৃহত্তর দৃষ্টিকোণে উপস্থাপন করেন। তাঁর শব্দগুলো আমরা ধর্মে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান; ভাষায় বাঙালি, কিন্তু একত্রে আমরা বাংলাদেশি-আজও আমাদের আবেগতাড়িত করে। এই প্রথাগত চিন্তা আমাদের বিভক্তির প্রাচীর ভেঙে, বাঙালি ও মুসলিম পরিচয়ের সীমানা পেরিয়ে একটি সম্পূর্ণ জাতির পরিচয় প্রতিষ্ঠা করেছে। অসাধারণ প্রতিভা এবং সাহস ছিল বলেই একজন মেজর পদে অধিষ্ঠিত থেকে তিনি বিরাট ঝুঁকিপূর্ণ একটি স্বাধীনতা যুদ্ধ ঘোষণা করার মনোবল দেখাতে পেরেছিলেন এবং সমস্ত চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেই যুদ্ধের অগ্রগামী নেতৃত্বের দায়িত্বও নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। একজন দূরদর্শী সামরিক স্ট্রাটেজি নেয়ার সমস্ত গুণই ওই বয়সে তাঁর মধ্যে পরিস্ফুট হয়ে দেখা গেছে। সামরিক প্রতিভার সঙ্গে রাজনৈতিক সংকটের গভীরতা অনুধাবনের ক্ষমতা এবং দূরদৃষ্টিও সমাবেশ ঘটেছিল তাঁর মধ্যে।দেশের জাতীয় ইতিহাসে যে ক’জন রাজনীতিক তাঁদের অসামান্য নেতৃত্ব, সাহসিকতা এবং দূরদর্শিতার মাধ্যমে অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তাঁদের মধ্যে প্রধানতম। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের প্রতিটি ধাপ ছিল ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে গঠিত এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৮১ সালের ৩০শে মে রাতে চট্টগ্রামে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে তিনি শহীদ হন। তাঁর এই অকাল প্রয়াণ জাতির হৃদয়ে এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি করে। মুক্তিযুদ্ধের ঊষালগ্নে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন তিনি।

তাঁর স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা করেন। তাঁর এই সাহসিক ঘোষণা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর। যুদ্ধের পর সেনাবাহিনীতে থেকে দেশ গঠনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন তিনি। ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তিনি জাতীয় নেতৃত্বের শীর্ষে উঠে আসেন এবং ১৯৭৭ সালে গণভোট ও পরে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্রপতি হন। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে ফিরিয়ে আনা। তিনি দেশের জনগণকে আত্মনির্ভরতার পথ দেখিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৭৫ সালে কয়েকবার ক্ষমতার রদবদল হয়। কিন্তু শহীদ জিয়া কারও সঙ্গে যোগ দেননি। তিনি বিশ্বস্ততার সঙ্গে তাঁর নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন। ৭ই নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে সিপাহী জনতাই তাঁকে ক্ষমতায় বসানোর কাজটি করেন। তিনি নিজে ইচ্ছা করে ক্ষমতা গ্রহণ করেননি। ৭ই নভেম্বরের পর আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও নব্য সাম্রাজ্যবাদের দিক থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার বিরুদ্ধে বারবার হুমকি ও হামলা এসেছে। কিন্তু শহীদ জিয়ার ইস্পাত কঠিন নেতৃত্বেই গোটা দেশপ্রেমিক শান্তিকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংহত করে এবং সমগ্র বিশ্বের সমর্থন অর্জন করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতাকে তিনি রক্ষা করেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা নেতা। যিনি একদলীয় শাসনের পর একটি বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর শাহাদাতের পর নেতৃত্বের একটি বড় শূন্যতা তৈরি হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে; এর ফলে রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপের সংস্কৃতি গাঢ় হয়। ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এর মাধ্যমে প্রতিহিংসার রাজনীতি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে কলুষিত করে তোলে।

আমাদের জাতীয় ইতিহাসের পাদ-প্রদীপের সামনে জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব বিস্ময়কর ঘটনা। তিনি ছিলেন নিঃসন্দেহে এক ব্যতিক্রমী পুরুষ। শহীদ জিয়া ছিলেন গণতন্ত্রের প্রাণপুরুষ। আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি। তার ছিল সুদূরপ্রসারী দৃষ্টি। তিনি ছিলেন ভিশনারি, এক স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনিই জাতিকে একটি সত্যিকার গণতন্ত্রের শক্তভিত্তির ওপরে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। আনতে চেয়েছিলেন অর্থনৈতিক মুক্তি। দিতে চেয়েছিলেন জাতিকে সম্মান আর গৌরব। শহীদ জিয়া বাংলাদেশের ইতিহাসে এক ক্ষণজন্মা রাষ্ট্রনায়ক। নানা কারণে তিনি বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ও গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার সততা, নিষ্ঠা, গভীর দেশপ্রেম, পরিশ্রমপ্রিয়তা, নেতৃত্বের দৃঢ়তা প্রভৃতি গুণাবলী এ দেশের গণমানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল। শহীদ জিয়া গণতান্ত্রিক অধিকার সম্বন্ধে সচেতন ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন দেশের জনগণ একবার যদি গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার ভোগ করে; তবে তা সারা জীবন জারি রাখতে হবে। কোনো কারণে সে অধিকার হতে তারা বঞ্চিত হলে গণ-অসন্তোষ দেখা দেবে, মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে, তাই তিনি সকল অধিকারের বিষয়ে ছিলেন সজাগ-আস্থাবান। তিনি জানতেন রাজনৈতিক অধিকার ব্যতিরেকে অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্থহীন, অর্থনৈতিক মুক্তি অবাস্তব-তাই তাঁর ১৯ দফা কর্মসূচিকে তিনি গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে রেখে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি বাস্তবায়িত করতে চেয়েছিলেন; যাতে জনগণ গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুবিধা একসঙ্গে ভোগ করতে পারে। সামরিক শাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য তিনি নিজে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন; তার জন্য জনগণকে কোনো দাবি বা আন্দোলন করতে হয়নি। এই জন্য তিনি দেশের মানুষের কাছে চিরকাল শ্রদ্ধাভাজন হয়ে থাকবেন।

দেশের বিরাজমান প্রেক্ষাপটে শহীদ জিয়া বড় বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছেন। শহীদ জিয়া জীবিত থাকলে হয়তো বাংলাদেশের অবস্থা এরকম হতো না, হতে পারত না। গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রশ্ন যদি আসে তাহলে তো বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বাংলাদেশে কার্যত শ্বাসরুদ্ধকর এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অথচ স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে যে বন্ধ্যাত্ব শুরু হয়েছিল শহীদ জিয়াই তা থেকে জাতিকে মুক্ত করে স্বাধীনভাবে আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ দেখাতে চেষ্টা করেছিলেন। তিনিই প্রথম বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের শাসকরা যেখানে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন, সেখানে শহীদ জিয়া উৎপাদনমুখী দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী রাজনীতির পতাকাতলে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। প্রকৃত বিবেচনায় শহীদ জিয়ার সততা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, সহনশীলতা এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের চর্চা দেশ বিনির্মাণে যে পথের দিশা দেখিয়েছিল তা যদি অনুসরিত হতো বা হতে পারত অথবা তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যেত তাহলে বিজয়ের ৫৪ বছরে মূলত হতাশার পরিবর্তে আশার কথাই বেশি শোনা যেত। শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও জাতীয়তাবাদ রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্যে প্রবলভাবে স্থান পেয়েছে, যা আমাদের সাম্প্রদায়িক ঐক্যকে আরও মজবুত করেছে। তাঁর চিন্তা ও দর্শন আজও আমাদের হৃদয়ে জীবন্ত, আমাদের পথপ্রদর্শক-একটি গর্বিত ও স্বাধীন জাতির স্বপ্নের চেতনায়। শহীদ জিয়ার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ কেবল রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নয়, এটি একটি আন্দোলন, যা আজও আমাদের সামনে প্রেরণা জোগায়। শহীদ জিয়ার বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের যে ভাবনা আমরা দেখতে পাই, যেখানে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশ থাকবে ঐক্যবদ্ধ, প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে মর্যাদা এবং আইনের সুশাসন পাওয়ার অধিকার। তাঁর সেই আদর্শের জায়গায় যদি আমরা এক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম, তবে আজ আমাদের বৈষম্য দূর করার জন্য আন্দোলন করতে হতো না কারণ শহীদ জিয়ার আদর্শে বৈষম্যের কোনো স্থান ছিল না।

শহীদ জিয়ার কাছে গণতন্ত্র শুধুমাত্র রাজনৈতিক ব্যবস্থাই ছিল না। গণতন্ত্রকে তিনি দেখেছেন এক জীবন ব্যবস্থা রূপে, তাই জীবনকে সুন্দর করার জন্য যা যা প্রয়োজন তিনি সেদিকে দৃষ্টি দিয়েছেন। শিল্পকলা থেকে শিশু একাডেমি, শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বিএনসিসি, রাজনৈতিক থেকে আঞ্চলিক সংস্থা, কৃষির অগ্রগতি থেকে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি, ক্রীড়ানুষ্ঠান থেকে সংস্কৃতি চর্চা, গ্রাম সরকার থেকে দেশের সার্বোচ্চ বিচারালয়ের স্বাধীনতা সকল ক্ষেত্রে ছিল তাঁর অবাধ বিচরণ। আজকের বাংলাদেশের চার দেয়ালের যেদিকে তাকাই না কেন, সবদিকেই রয়েছে তাঁর প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছিলেন তার নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস আজও চিরঞ্জীব হয়ে আছে।আজকে আমাদের দেশের অনেকেই বাঙালি হিসেবে নিজেদেরকে পরিচয় দিতে চায়, কিন্তু বাঙালি বলতে গেলেই আমরা যে মানচিত্র রক্ষার জন্য যুদ্ধ করেছি সেই মানচিত্রের অন্তর্ভুক্ত অনেক মানুষকেই অস্বীকার করা হয় বরং ভিন্ন দেশের কিছু মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়ে যায়। বাংলাদেশ নামের শব্দটার মাঝে যে অন্তর্নিহিত ভাবাবেগ লুকিয়ে আছে তা আমাদের স্বাধীনতার আদর্শকে সমুন্নত করে। আর ঠিক সেই বিষয়টাই বুঝতে পারেন শহীদ জিয়া, অনুভব করেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন। এভাবে, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের শেখান যে একটি জাতির পরিচয় কেবল একাধিক উপাদানে নয়, বরং সেগুলোর সমন্বয়ে গড়ে ওঠে। তার চিন্তার মাধ্যমে আমরা আজ বুঝতে পারি, আমাদের শক্তি আমাদের বৈচিত্র্যে; এবং এই বৈচিত্র্যের মধ্যে দিয়ে আমরা একসাথে গড়ে তুলতে পারি একটি সমৃদ্ধ ও সম্মানজনক বাংলাদেশ। 
তাঁর আদর্শ আজও আমাদের প্রেরণা দেয়, যেন আমরা নিজেদের বাংলাদেশি হিসেবে গর্ব অনুভব করতে পারি। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কতোখানি জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন তা আমরা অনুধাবণ করতে পারি তাঁর শহীদ হওয়ার পর ঢাকার দৃশ্য থেকে। তাঁর দেহাবশিষ্ট শেষবারের মতো দেখার জন্য এবং তাঁর জানাজায় ২০ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি এক বিস্ময়কর ঘটনা। জনগণের অত্যন্ত প্রিয়নেতা আমাদের মধ্যে নেই সত্য কিন্তু তিনি আছেন কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে।

লেখক:গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
দেড় যুগ পর ভিন্ন রকম মিলনমেলা তাদের
দেড় যুগ পর ভিন্ন রকম মিলনমেলা তাদের
দীর্ঘ দেড় যুগ পর আবারো একত্রিত হলেন রাজশাহীর অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের ২০০৫ সালের এসএসসি ও ২০০৭ সালের এইচএসসি ব্যাচের ...
ইরানে আরও হামলার হুমকি নেতানিয়াহুর
ইরানে আরও হামলার হুমকি নেতানিয়াহুর
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরানের মিসাইল হামলার পর যুদ্ধপরাধে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইরানে তারা আরও হামলা চালাবেন। শনিবার ...
নতুন করে সব ইসরায়েলিকে আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে যাওয়ার নির্দেশ
নতুন করে সব ইসরায়েলিকে আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে যাওয়ার নির্দেশ
ইরানের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কা থেকে দখলদার ইসরায়েলের সবাইকে নতুন করে আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে দখলদারদের ...
দেশের উদ্দেশে লন্ডন ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
দেশের উদ্দেশে লন্ডন ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশের উদ্দেশে লন্ডন ছেড়েছেন।প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান ...
ইসরায়েলের দুই যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ইরানের
ইসরায়েলের দুই যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি ইরানের
নিজেদের আকাশসীমায় দখলদার ইসরায়েলের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরান। দেশটির বার্তাসংস্থা ইরনা নিউজ শুক্রবার (১৩ জুন) ...
তাপমাত্রা বেশি থাকায় ক্লাব বিশ্বকাপে ফুটবলারদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে শঙ্কা
তাপমাত্রা বেশি থাকায় ক্লাব বিশ্বকাপে ফুটবলারদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে শঙ্কা
আমেরিকান ভিসা পাননি আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্স ফুটবলার আয়ারতন কস্তা। যে কারণে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না এই ডিফেন্ডারের। ভিসা ...
সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত কাছারিবাড়িতে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চায় ভারত
সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত কাছারিবাড়িতে হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চায় ভারত
বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কাছারিবাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চেয়েছে ভারত। দেশটি বলেছে, এমন ...
রেকর্ড দামে রিয়ালে ১৭ বছরের এই আর্জেন্টাইন
রেকর্ড দামে রিয়ালে ১৭ বছরের এই আর্জেন্টাইন
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন আর্জেন্টিনার উদীয়মান তারকা ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনো। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ...
গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণ: কেমন হতে পারে ইরানের জবাব
গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণ: কেমন হতে পারে ইরানের জবাব
ইসরায়েলের হামলার পর কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরায়েলকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে ...
১০
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাব সম্পাদক নুরুলের মাতৃবিয়োগ: সর্বত্র শোকের ছায়া
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাব সম্পাদক নুরুলের মাতৃবিয়োগ: সর্বত্র শোকের ছায়া
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও  অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিলেট প্রতিদিনের   স্টাফ রিপোর্টার  সাংবাদিক নুরুল ইসলামের মাতা ফুলবী বেগম ...
 
স্ত্রীর সাথে অভিমান করে যুবকের আত্মহত্যা
স্ত্রীর সাথে অভিমান করে যুবকের আত্মহত্যা
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় স্ত্রী সাথে অভিমান করে কীটনাশক পানে ফজলে রহমান (৩৫) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন।বুধবার (১১ জুন) সকালে ...
কালীগঞ্জে পচা মাংস বিক্রির অপরাধে ব্যবসায়ীর জেল
কালীগঞ্জে পচা মাংস বিক্রির অপরাধে ব্যবসায়ীর জেল
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে পচা মাংস বিক্রির অপরাধে শাহজালাল ইসলাম সাদা নামে এক মাংস বিক্রেতাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।মঙ্গলবার ...
টাঙ্গাইলে শাকিবের ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধের নেপথ্যে
টাঙ্গাইলে শাকিবের ‘তাণ্ডব’ সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধের নেপথ্যে
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিরাপত্তা ও হুমকির মুখে ঈদ উপলক্ষে শাকিব খান অভিনীত ‘তাণ্ডব’ সিনেমা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন আয়োজকরা।মঙ্গলবার (১০ জুন) ...
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সাজ্জাদ
জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার সাজ্জাদ
কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে ফের অস্ত্রসহ কুমিল্লার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।সোমবার (৯ জুন) রাতে নগরীর টমছম ...
উৎসবে পানি ঢাললো সিঙ্গাপুর, হেরে গেলো হামজা-শামিতরা
উৎসবে পানি ঢাললো সিঙ্গাপুর, হেরে গেলো হামজা-শামিতরা
দীর্ঘদিন পর ঢাকায় এসে ১০ বছর আগের স্মৃতিই ফিরিয়ে আনলো সিঙ্গাপুর। ২০১৫ সালে এই স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশকে ২-১ গোলে ...
কালিহাতীতে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
কালিহাতীতে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জরিনা খাতুন (৩০) নামে মিনসিক ভারসাম্যহীন প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওয়াহেদ আলী মন্ডল (৬০) নামের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ...
অস্ট্রিয়ায় স্কুলে গুলি, বেশ কয়েকজন নিহত
অস্ট্রিয়ায় স্কুলে গুলি, বেশ কয়েকজন নিহত
অস্ট্রিয়ার গ্রাজ শহরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গুলির ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।এ ঘটনায় হতাহতের মধ্যে শিক্ষার্থী ...
চামড়ার দেশে চীনা জুতা: সম্ভাবনার কুরবানি বাংলাদেশে
চামড়ার দেশে চীনা জুতা: সম্ভাবনার কুরবানি বাংলাদেশে
কোরবানির ঈদ আসে, চামড়ার পাহাড় গড়ে ওঠে ঈদের পরদিন। ট্রাকভর্তি কাঁচা চামড়া ছুটে চলে গুদামে, ট্যানারিতে, কারখানায়। শহরের অলিগলি থেকে ...
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক ১৩ জুন সকালে: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক ১৩ জুন সকালে: প্রেস সচিব
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকটি ১৩ জুন সকালে অনুষ্ঠিত হবে বলে ...
১০
ড. ইউনূস-তারেক বৈঠক : লন্ডন যাচ্ছেন আমীর খসরু
ড. ইউনূস-তারেক বৈঠক : লন্ডন যাচ্ছেন আমীর খসরু
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে যোগ দিতে লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com