![]() ইরান ও ইসরায়েল: সামরিক শক্তিতে এগিয়ে কে?
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() নিহত কমান্ডাররা হলেন- ইরানি সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসিতে কমান্ডার হোসেইন সালামি এবং খাতাম আল-আনবিয়া ঘাঁটির কমান্ডার মেজর জেনারেল গোলাম আলী রাশিদ। ইরান ও ইসরায়েল এর আগে ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর ও ২৫ অক্টোবর পরস্পরকে হামলা চালিয়েছে। ২ অক্টোবর গাজা ও লেবাননে হামলায় বেসামরিক ও সেনাপ্রধানদের মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসেবে ইরান অন্তত ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। অপর দিকে ২৫ অক্টোবর জবাব হিসেবে ২০টি স্থাপনায় হামলা চালায় ইসরায়েল। সেনাবাহিনী ও সমর সরঞ্জামে কে এগিয়ে? সেনাসদস্য ইরানে রয়েছে ৬ লাখ ১০ হাজার সক্রিয় ও ৩ লাখ ৫০ হাজার রিজার্ভ সেনা। অপর দিকে, ইসরায়েলের রয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ সক্রিয় ও ৪ লাখ ৬৫ হাজার রিজার্ভ সেনা। সমরাস্ত্র ও ট্যাংক ইরানে রয়েছে ১০ হাজার ৫১৩টি ট্যাংক ও ৬ হাজার ৭৯৮টি গান, অপরদিকে ইসরায়েলের রয়েছে ৪০০টি ট্যাংক ও ৫৩০টি গান। বিমান ও নৌবাহিনী ইরানে রয়েছে ৩১২টি যুদ্ধোপযোগী বিমান ও ১৭টি ট্যাকটিক্যাল সাবমেরিন, অপর দিকে ইসরায়েলের রয়েছে ৩৪৫টি যুদ্ধবিমান ও ৫টি সাবমেরিন। বিমান প্রতিরক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে রয়েছে আজারাখশ ও বাভার-৩৭৩ ব্যবস্থার মতো একাধিক বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও স্বল্প ও মধ্যপাল্লার অ্যান্টিব্যালিস্টিক অস্ত্র। অপরদিকে, ইসরায়েল নির্ভর করে আয়রন ডোম, ডেভিড’স স্লিং ও অ্যারো ব্যবস্থার ওপর, যা স্বল্প, মধ্য ও দূরপাল্লার হামলা মোকাবিলায় সক্ষম। সামরিক ব্যয় ও বিনিয়োগ স্টকহোম আন্তর্জাতিক শান্তিতে গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ইরান সামরিক খাতে ব্যয় করেছে ১০ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, অপর দিকে ইসরায়েল ব্যয় করেছে ২৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২২ সালের চাইতে ২৪ শতাংশ বেশি। সমর বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান ও ইসরায়েল দুটোই আঞ্চলিক পরাশক্তিতে পরিণত হয়েছে। যে কারো সাথে কারো সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা আরও ভয়াবহ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংখ্যাগত দিক ও সম্পদে এগিয়ে রয়েছে ইরান, অপরদিকে আধুনিক সমরাস্ত্র ও প্রযুক্তিতে অনেক অগ্রবর্তী ও সুসজ্জিত ইসরায়েল। তথ্যসূত্র : আলজাজিরা |