![]() ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি : চুক্তিতে না এলে আরও ভয়াবহ হামলা
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() শুক্রবার (১৩ জুন) স্থানীয় সময় ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ইতোমধ্যে অনেক প্রাণহানি ও ধ্বংস হয়েছে। তবে এখনো সুযোগ রয়েছে এই হত্যাযজ্ঞ থামানোর- এর পরে আরও ভয়ঙ্কর হামলা শুরু হতে পারে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো তাদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। সংবাদ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাতে ইসরায়েল তাদের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি, শীর্ষ বিজ্ঞানী ও সরকারি কর্মকর্তাদের টার্গেট করে। এর পাল্টা জবাবে ইরানও ১০০টিরও বেশি ড্রোন উৎক্ষেপণ করে। এর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে বৃহত্তর যুদ্ধের আশঙ্কা প্রকাশিত হয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি শুক্রবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, জায়নবাদী (ইসরায়েল) শাসকগোষ্ঠী নিজেদের জন্য একটা কঠিন ও যন্ত্রণাদায়ক পরিণতি ডেকে এনেছে। অন্যদিকে, ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন যে, তার প্রশাসন অনেকবারই ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচিতে সমাপ্তির বিনিময়ে চুক্তিতে আসার সুযোগ দিয়েছে, কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম- এটা তাদের কল্পনার চেয়েও খারাপ হবে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সেরা ও সবচেয়ে প্রাণঘাতী অস্ত্র তৈরি করে এবং এর অনেকগুলোই রয়েছে ইসরায়েলের কাছে, আরও আসছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ইরানের কট্টরপন্থিরা আমার হুঁশিয়ারি গ্রাহ্য না করায় সবাই নিহত হয়েছে। এটা এখানেই থেমে যাবে না। বিশ্বরাজনীতিবিদরা এই উত্তেজনার ক্রমোন্নতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এই পরিস্থিতিকে ‘গভীরভাবে উদ্বেগজনক’ উল্লেখ করে সবাইকে শান্ত থাকার ও পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটেও সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে সাংবাদিকদের বলেন, এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- মিত্ররা ঐক্য প্রকাশ করে উত্তেজনা হ্রাসে কাজ করা। |