আজ সোমবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ০২ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / সংকট মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে
সংকট মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Saturday, 31 May, 2025 at 4:33 PM
সংকট মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নয় মাস পুরো হচ্ছে, তখন মানুষের আকাঙ্ক্ষা বা প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির ফারাক নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। কারণ দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হতাশ করেছে সাধারণ মানুষকে। তবে শেখ হাসিনার টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের পতনের পর আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল। দলমত নির্বিশেষে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে; সেই আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছিল একনায়কতান্ত্রিক শাসনের। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ৩ দিনের মাথায় গঠিত অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অর্ন্তবর্তী সরকারও দিয়েছিল পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু মানুষের জীবন চলার ক্ষেত্রে বড় দুটি সমস্যা দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে খোদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে। সরকারেরও কেউ কেউ ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন।ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনা সদস্যদের নামিয়েও দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। বন্ধ হয়নি অনিয়ম-দুর্নীতি-চাঁদাবাজি। সরকারের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হলেও অস্থির রয়েছে নিত্যপণ্যের বাজার।অন্যদিকে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে বিএনপি, জামায়াত এবং ইসলামপন্থী বিভিন্ন দলসহ একাধিক ছোট দলের নেতাদের বিভিন্ন সভা সমাবেশে আন্দোলনের কৃতিত্ব দাবি করতে দেখা যাচ্ছে।এমন পরিস্থিতিতে হতাশা থেকে মানুষের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হচ্ছে। এমনকি গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদেরও অনেকে এখন মুখ খুলছেন।সরকারের কাজ-কর্মে আমরা খুবই হতাশ। মনে হচ্ছ, আমাদের সব শ্রম-ত্যাগ বৃথা হতে যাচ্ছে।

এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও সরকারকে ছাড় দিচ্ছেন না। গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন এক ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটি হচ্ছে 'মব'। এনিয়ে চলছে সমালোচনা। কিন্তু কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না 'মব', ঘটছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডও। সব মিলিয়ে সরকার আবারও স্বৈরাচারী আমলের দিকে যাচ্ছে কি-না, সেই প্রশ্ন তুলছেন মানবাধিকারকর্মীরা। এসব দেখে মনে হচ্ছে দেশটা এক গোলক ধাঁধা মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে। কিন্ত কেন? আমরা কি পারি না, সবাই একত্রিত হয়ে এসব ধাঁধা থেকে বেরিয়ে এসে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে।অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার তাগিদেই মানুষ একটি সংগঠিত কাঠামোর সন্ধান করেছে। সেখান থেকেই রাষ্ট্রের উদ্ভব। ইতিহাসের পরিক্রমায় একে একে আমরা দেখেছি রাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের মতো শাসন ব্যবস্থা, যেখানে রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা সীমাবদ্ধ ছিল একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর হাতে। রেনেসাঁর পর থমাস হবস, জ্যা-জ্যাঁক রুশো, জন লকের মতো দার্শনিকের চিন্তাধারা আধুনিক রাষ্ট্রের গোড়াপত্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আটলান্টিক রেভল্যুশন থেকে ফরাসি বিপ্লব, রুশ বিপ্লব হয়ে লাতিন আমেরিকার বিপ্লবগুলো ছড়িয়ে দেয় স্বাধীনতার মশাল। গড়ে তোলে আধুনিক গণতন্ত্রের কাঠামো। বিশ শতকের বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তীকালে গণতন্ত্র সব অঞ্চলে শিকড় গাড়তে পারেনি। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের মতো অঞ্চলে পরিবর্তন ও কল্যাণ রাষ্ট্রের বাণী শুনিয়ে সামরিক বা ভিন্ন কৌশলে ক্ষমতা দখলকারী শাসকরা পরিণত হয়েছেন নতুন শোষকে। তাদের দমনপীড়নের ফলস্বরূপ একুশ শতকে আমরা বিশ্বজুড়ে দেখেছি রোজ বিপ্লব, অরেঞ্জ বিপ্লব, টিউলিপ বিপ্লব ও আরব বসন্ত, যার মধ্য দিয়ে ২০১১ সালে সরকারই পাল্টে যায়। এসব আন্দোলন স্বৈরাচারী শাসকদের পতন ঘটাতে প্রাথমিক ভাবে সফল হলেও, গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতায় তাদের সাফল্য ছিল অত্যন্ত সীমিত। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আগের চেয়েও খারাপ হয়েছিল। ঠিক এমনই ঐতিহাসিক বিশ্ব-প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আমরা দেখি বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যে এভাবে একটি দীর্ঘমেয়াদি স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার পতন ঘটাবে, তা ছিল অভাবনীয়। এই অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পরিবর্তন নয়। এটি ছিল বৈষম্যহীন একটি সমাজ, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র এবং জুলুম-নিপীড়নমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন। প্রায় দুই হাজার শহীদের জীবন এবং ১৫ হাজার মানুষের আহতের বিনিময়ে অর্জিত এই পরিবর্তন সেই স্বপ্নকে কতটা বাস্তবায়ন করল? নয় মাস পেরিয়ে যখন আমরা সেই আত্মত্যাগ এবং স্বপ্ন বাস্তবতার নিক্তিতে মাপি, তখন গভীর হতাশা দেখা দেয়। হাজার হাজার আহত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সুবিধা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। দুর্ভাগ্যজনক, শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতার হাতবদল হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। জনগণের মৌলিক আকাঙ্ক্ষাগুলো উপেক্ষিতই রয়ে গেছে। বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ছিল শুধু সরকার পরিবর্তন নয়; রাষ্ট্রের কাঠামো এবং বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ খাতে মৌলিক সংস্কার। কিন্তু নয় মাস পরও এসব সেক্টরে কাঙ্ক্ষিত ও কার্যকর সংস্কারের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সঙ্গে যোগ হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনের পুরোনো সংকটের পুনরাবৃত্তি।নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে ঐক্যের পরিবর্তে পারস্পরিক দোষারোপ, কাদা ছোড়াছুড়ি এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্বই মুখ্য হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে বেদনাদায়ক বিষয় হলো, গত ১৫ বছরে যারা সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আজ আশঙ্কা হচ্ছে, বাংলাদেশের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানও কি সেই পুরানো ব্যর্থতার পথে হাঁটছে? আমরা জানি, আরব বসন্তের ব্যর্থতার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে ছিল মূলত নেতৃত্বের অভাব; বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্যের ঘাটতি; শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতা; রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রভাব; আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ; অর্থনৈতিক সংকট এবং চরমপন্থি গোষ্ঠীর উত্থান। বিভিন্ন গোষ্ঠী একত্র হয়ে শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করলেও তারা ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র গঠন বা শাসনভার পরিচালনার ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি।

যেমনভাবে আরব বসন্তের আন্দোলনের বেশির ভাগই ছিল স্বতঃস্ফূর্ত এবং এর পেছনে কোনো একক বা শক্তিশালী সমন্বিত নেতৃত্ব ছিল না। তেমনিভাবে আমাদের গণঅভ্যুত্থানের পেছনে একক কোনো শক্তির ভূমিকা ছিল না। ধর্মনিরপেক্ষ,ইসলামপন্থি,তরুণ আন্দোলনকারী, আদিবাসী একত্র হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পর এর কৃতিত্ব নেওয়াকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য। যদি বাংলাদেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলো জনগণের আকাঙ্ক্ষা ভুলে সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থ এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকে এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইনসহ মৌলিক সেক্টরগুলোর সংস্কার উপেক্ষিত হয়, তবে জুলাই বিপ্লবের ব্যর্থতা হয়তো অনিবার্য। রক্ত দিয়ে লেখা যে গণঅভ্যুত্থান এসেছে, সেটা যদি শুধু ক্ষমতার পট পরিবর্তনের দলিল হয়ে থাকে; জনগণের মুক্তির সনদ না হয়, তবে তা হবে শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সময় এখনও শেষ হয়ে যায়নি। ঝরে যাওয়া রক্তকে সম্মান জানিয়ে, আত্মত্যাগকারীদের স্বপ্নকে পাথেয় করে রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে অবশ্যই জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে এবং সুস্থ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জবাবদিহি মূলক রাজনীতির পথে ফিরতে হবে। অন্যথায় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে এবং আমাদের গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থতার করুণ অধ্যায় হিসেবেই লিপিবদ্ধ হবে। গণঅভ্যুত্থানের পর যেসব প্রত্যাশা পূরণে মানুষ অর্ন্তবর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল, সেগুলোর সব যে পূরণ করা সম্ভব হয়নি উপদেষ্টারাও সেটি স্বীকার করছেন। এমন একটা গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষের প্রত্যাশা বেশি ছিল। তবে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে সবকিছু অ্যাড্রেস করা সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে মানুষের মধ্যে হতাশা আছে এবং সেটা থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু নয় মাসেও প্রত্যাশা পূরণ করা যায়নি কেন?এমন প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

যারা গণঅভ্যুত্থান করেছে, তারা ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন উপাদান, যেমন: রাষ্ট্রপতি, সংবিধান ইত্যাদি, আর দেখতে চায়নি। কিন্তু এসব ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর এক ধরনের জনবিরোধী অবস্থান ও অসহযোগিতার পরিস্থিতি এবং মতৈক্য না হওয়ার কারণে অনেকগুলো বিষয় ঝুলে গেছে। অন্যদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও মতপ্রকাশের ওপর আঘাতের ঘটনায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারকেই দুষছে সরকার। শেখ হাসিনার সময় দীর্ঘ ১৬ বছরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, সেই জায়গা থেকে  সেগুলো পুনরায় দাঁড় করাতে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যেভাবে মোরাল অবলিগেশনে ফেলে দেওয়া হয়েছে, ফলে তারা এখন মাঠে প্রকৃতঅর্থে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। এটাকে অনেকে সুযোগ হিসেবে নিচ্ছে এবং বিভিন্ন জায়গায় হামলা ও বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে।তবে সরকার এগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এমনকি এসব বিষয়গুলোকে সরকার দ্রুত অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করছে। যারা বাকস্বাধীনতা বা ধর্মীয় স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে, তাদেরকে দ্রুতই আইনের আওতায় আনার জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং সে অনুযায়ী নানা পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। কিন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করার কথা ছিল তা করা হচ্ছে না। আর এর জন্যই নানা সঙ্কট মোকাবিলা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে যত চ্যালেঞ্জ আসছে। আবার অনেকেই সহযোগিতার বদলে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার সুযোগ নিচ্ছেন-যা মোটেও কাম্য হতে পারে না। আমরা কি পারি না, সবাই একত্রিত হয়ে, সব সঙ্কট মোকাবিলা করে একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে?

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
স্বাধীনতার পর থেকে কোন বাজেট কত টাকার
স্বাধীনতার পর থেকে কোন বাজেট কত টাকার
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে আজ। প্রতি বছর জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করা হলেও এবার ...
বাজেটে বাড়তে পারে সিগারেটের দাম
বাজেটে বাড়তে পারে সিগারেটের দাম
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আজ সোমবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ...
হাইকোর্টের কার্যতালিকা থেকে বাদ ফারুকের রিট
হাইকোর্টের কার্যতালিকা থেকে বাদ ফারুকের রিট
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) পরিচালকের পদে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে নিয়োগ দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ফারুক আহমেদের করা রিটটি কার্যতালিকা থেকে ...
তলিয়ে গেছে খাগড়াছড়ি-লংগদু সড়ক, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
তলিয়ে গেছে খাগড়াছড়ি-লংগদু সড়ক, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির মেরুং ইউনিয়নের স্টিল ব্রিজ এলাকার সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে খাগড়াছড়ি-লংগদু সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ...
গবেষণার নামে ৬ কোটি টাকা লোপাট, দুদকের অভিযান
গবেষণার নামে ৬ কোটি টাকা লোপাট, দুদকের অভিযান
গবেষণার নামে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষায় পৌনে ৬ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি ...
ঝড়ের কবলে দিল্লিগামী ফ্লাইট, আতঙ্কিত যাত্রীরা
ঝড়ের কবলে দিল্লিগামী ফ্লাইট, আতঙ্কিত যাত্রীরা
ঝড়ের কবলে পড়েছে দিল্লিগামী ফ্লাইট। ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখোমুখি হয়। এ সময় বিমানে তীব্র ঝাঁকুনি হয়েছে।সোমবার (০২ জুন) ...
রোহিঙ্গা-কেএনএফ সমস্যা : কড়িডোর : সঙ্কটের আবর্তে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা-কেএনএফ সমস্যা : কড়িডোর : সঙ্কটের আবর্তে বাংলাদেশ
০১. বাংলাদেশের কক্সবাজারসহ পার্বত্য তিন জেলা মোট চারটি জেলা নিয়ে চলছে দেশী-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্র। আগের শান্তি বাহিনী সহ পার্বত্য অঞ্চলের ...
ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার নায়ক বাপ্পী, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন
ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার নায়ক বাপ্পী, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন
নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা ফেরার পথে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী। রোববার (১ জুন) মধ্যরাতে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে এ ...
গাজার ডায়ালাইসিস সেন্টার ধ্বংস করে দিলো ইসরায়েল
গাজার ডায়ালাইসিস সেন্টার ধ্বংস করে দিলো ইসরায়েল
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের একটি ডায়ালাইসিস সেন্টার ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েল। এটি গাজার উত্তরাঞ্চলের একমাত্র ডায়ালাইসিস সেন্টার।গুরুত্বপূর্ণ এই অবকাঠামোতে এর ...
১০
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চাঁদা দাবি, গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চাঁদা দাবি, গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ
গাজীপুরের শ্রীপুরে চাঁদাদাবি, পরিবহনে ভাঙচুর, বাস পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে প্রভাতী-বনশ্রী পরিবহনের শ্রমিকরা।সোমবার (২ ...
 
অনলাইন জুয়া সিন্ডিকেটের চার সদস্য গ্রেপ্তার, ৬টি মোবাইল ১২৫টি সিম কার্ড ও অ্যাপ জব্দ
অনলাইন জুয়া সিন্ডিকেটের চার সদস্য গ্রেপ্তার, ৬টি মোবাইল ১২৫টি সিম কার্ড ও অ্যাপ জব্দ
লালমনিরহাটে অনলাইন জুয়া সিন্ডিকেটের চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে জুয়া পরিচালনায় ...
সিলেটে বাড়ছে নদনদীর পানি,জনমনে বন্যার শঙ্কা:নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা
সিলেটে বাড়ছে নদনদীর পানি,জনমনে বন্যার শঙ্কা:নগরজুড়ে জলাবদ্ধতা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি সরে গেলেও তার প্রভাব রয়ে গেছে। টানা বর্ষণ চলছে সিলেট মহানগরীসহ  অঞ্চলজুড়ে জলাবদ্ধতা  সৃষ্টি  ও বাড়ছে নদ ...
আকার কমছে, বাজেটে বড় সংস্কার নেই
আকার কমছে, বাজেটে বড় সংস্কার নেই
দেশের অর্থনীতি নানা চাপের মুখে। এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়েও ছোট করে এনেছে বলে ...
দেশে পৌঁছেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস
দেশে পৌঁছেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস
চার দিনের সফল জাপান সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।শনিবার দিবাগত রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ...
পল্লবীতে মেট্রোরেলের নিচে আইফোন ছিনতাই, গ্রেফতার ২
পল্লবীতে মেট্রোরেলের নিচে আইফোন ছিনতাই, গ্রেফতার ২
রাজধানীর পল্লবীতে মেট্রোরেলের নিচে বহুল আলোচিত মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ৪। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি ...
গণপিটুনি, ৯ মাসে নিহত ১৬৩
গণপিটুনি, ৯ মাসে নিহত ১৬৩
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে গণপিটুনি দিয়ে হত্যাকাণ্ড কীভাবে বেড়েছে তা উঠে এসেছে মানবাধিকার সংস্থা আইন সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক পরিসংখ্যানে। সংস্থাটির ...
আসামি গ্রেফতারে পূর্বানুমতি লাগবে না আদেশ বহাল আপিলেও
আসামি গ্রেফতারে পূর্বানুমতি লাগবে না আদেশ বহাল আপিলেও
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলায় আসামিদের গ্রেফতারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নিতে হবে-মর্মে ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে স্বাক্ষরিত অফিস ...
কমেছে অকটেন-পেট্রোল ও ডিজেলের দাম, বেড়েছে কেরোসিনের
কমেছে অকটেন-পেট্রোল ও ডিজেলের দাম, বেড়েছে কেরোসিনের
দেশের বাজারে আরও এক দফা কমলো জ্বালানি তেলের দাম। এ দফায় ডিজেলের দাম ২ টাকা কমে ১০২ টাকা, অকটেনের দাম ...
নগদে আতিক মোর্শেদের স্ত্রীর নিয়োগে অনিয়ম পেয়েছে দুদক
নগদে আতিক মোর্শেদের স্ত্রীর নিয়োগে অনিয়ম পেয়েছে দুদক
মোবাইল ব্যাংকিং নগদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আতিক মোর্শেদের স্ত্রীর নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়মের ...
১০
তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি
তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামির খালাসের রায়ের ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com