![]() এবার ইসরায়েলে হামলা চালালো আরেক দেশ
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েলের সেনাবাহিনী (আইডিএফ) বলেছে যে তারা মিসাইলটি আকাশে ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আল-জাজিরার শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটা ব্যালিস্টিক মিসাইল ইসরায়েলের দিকে এসেছে। আমাদের বিমানপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা ধ্বংস করার জন্য কাজ শুরু করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, জেরুজালেম ও আশেপাশের এলাকায় হঠাৎ অ্যালার্ম বাজতে শুরু করে, যা সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমেই ঘনাচ্ছে উত্তেজনার মেঘ- একের পর এক দেশ এই সংঘাতে জড়াচ্ছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৩ জুন) ভোররাতে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী তেহরানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালায়। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে ইরানের পরমাণু স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা এবং সামরিক কম্যান্ড কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য ছিল। এদিকে, ইরানে ইসরায়েলির হামলার পর নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে। শুক্রবার ভোরে তেহরানে হামলার ঘটনায় এরই মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সৌদি আরব, তুরস্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। জানা গেছে, ইরানে পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল বছরের পর বছর ধরে কাজ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ইরানে একটা ড্রোন ঘাঁটি তৈরি ও নির্ভুল অস্ত্র ব্যবস্থা ও কমান্ডো পাচার। ইসরায়েলের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা টাইমস অফ ইসরায়েলকে বলেন, মোসাদ এজেন্টরা তেহরানে সেই ঘাঁটি স্থাপন করেছিলেন। ড্রোনগুলো রাতারাতিতে সক্রিয় করা হয়, এর পর পরই ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ভূমিতে স্থাপন করা ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারগুলোতে আঘাত হানে। এর ফলেই ইরান তাৎক্ষণিক পাল্টা হামলা চালাতে পারল না এবং তাদের বিমানপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অনেকটাই ধ্বংস হয়ে যায়। ইরানে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত ও আহত হয়েছে ৩২৯ জন। দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ড পরিচালিত নিউজ এজেন্সিতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বাস্তবে নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে। |