আজ বুধবার, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ০৪ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / সংকট মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে
সংকট মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Saturday, 31 May, 2025 at 4:33 PM
সংকট মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নয় মাস পুরো হচ্ছে, তখন মানুষের আকাঙ্ক্ষা বা প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির ফারাক নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। কারণ দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতা হতাশ করেছে সাধারণ মানুষকে। তবে শেখ হাসিনার টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের পতনের পর আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল। দলমত নির্বিশেষে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে; সেই আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছিল একনায়কতান্ত্রিক শাসনের। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ৩ দিনের মাথায় গঠিত অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অর্ন্তবর্তী সরকারও দিয়েছিল পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু মানুষের জীবন চলার ক্ষেত্রে বড় দুটি সমস্যা দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে খোদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে। সরকারেরও কেউ কেউ ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেন।ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনা সদস্যদের নামিয়েও দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। বন্ধ হয়নি অনিয়ম-দুর্নীতি-চাঁদাবাজি। সরকারের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হলেও অস্থির রয়েছে নিত্যপণ্যের বাজার।অন্যদিকে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে বিএনপি, জামায়াত এবং ইসলামপন্থী বিভিন্ন দলসহ একাধিক ছোট দলের নেতাদের বিভিন্ন সভা সমাবেশে আন্দোলনের কৃতিত্ব দাবি করতে দেখা যাচ্ছে।এমন পরিস্থিতিতে হতাশা থেকে মানুষের মধ্যে ক্ষোভও তৈরি হচ্ছে। এমনকি গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদেরও অনেকে এখন মুখ খুলছেন।সরকারের কাজ-কর্মে আমরা খুবই হতাশ। মনে হচ্ছ, আমাদের সব শ্রম-ত্যাগ বৃথা হতে যাচ্ছে।

এমনকি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও সরকারকে ছাড় দিচ্ছেন না। গণ-অভ্যুত্থানের পর নতুন এক ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটি হচ্ছে 'মব'। এনিয়ে চলছে সমালোচনা। কিন্তু কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না 'মব', ঘটছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডও। সব মিলিয়ে সরকার আবারও স্বৈরাচারী আমলের দিকে যাচ্ছে কি-না, সেই প্রশ্ন তুলছেন মানবাধিকারকর্মীরা। এসব দেখে মনে হচ্ছে দেশটা এক গোলক ধাঁধা মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে। কিন্ত কেন? আমরা কি পারি না, সবাই একত্রিত হয়ে এসব ধাঁধা থেকে বেরিয়ে এসে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে।অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার তাগিদেই মানুষ একটি সংগঠিত কাঠামোর সন্ধান করেছে। সেখান থেকেই রাষ্ট্রের উদ্ভব। ইতিহাসের পরিক্রমায় একে একে আমরা দেখেছি রাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের মতো শাসন ব্যবস্থা, যেখানে রাষ্ট্রের সব ক্ষমতা সীমাবদ্ধ ছিল একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর হাতে। রেনেসাঁর পর থমাস হবস, জ্যা-জ্যাঁক রুশো, জন লকের মতো দার্শনিকের চিন্তাধারা আধুনিক রাষ্ট্রের গোড়াপত্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আটলান্টিক রেভল্যুশন থেকে ফরাসি বিপ্লব, রুশ বিপ্লব হয়ে লাতিন আমেরিকার বিপ্লবগুলো ছড়িয়ে দেয় স্বাধীনতার মশাল। গড়ে তোলে আধুনিক গণতন্ত্রের কাঠামো। বিশ শতকের বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তীকালে গণতন্ত্র সব অঞ্চলে শিকড় গাড়তে পারেনি। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের মতো অঞ্চলে পরিবর্তন ও কল্যাণ রাষ্ট্রের বাণী শুনিয়ে সামরিক বা ভিন্ন কৌশলে ক্ষমতা দখলকারী শাসকরা পরিণত হয়েছেন নতুন শোষকে। তাদের দমনপীড়নের ফলস্বরূপ একুশ শতকে আমরা বিশ্বজুড়ে দেখেছি রোজ বিপ্লব, অরেঞ্জ বিপ্লব, টিউলিপ বিপ্লব ও আরব বসন্ত, যার মধ্য দিয়ে ২০১১ সালে সরকারই পাল্টে যায়। এসব আন্দোলন স্বৈরাচারী শাসকদের পতন ঘটাতে প্রাথমিক ভাবে সফল হলেও, গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতায় তাদের সাফল্য ছিল অত্যন্ত সীমিত। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আগের চেয়েও খারাপ হয়েছিল। ঠিক এমনই ঐতিহাসিক বিশ্ব-প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আমরা দেখি বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যে এভাবে একটি দীর্ঘমেয়াদি স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার পতন ঘটাবে, তা ছিল অভাবনীয়। এই অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পরিবর্তন নয়। এটি ছিল বৈষম্যহীন একটি সমাজ, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র এবং জুলুম-নিপীড়নমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন। প্রায় দুই হাজার শহীদের জীবন এবং ১৫ হাজার মানুষের আহতের বিনিময়ে অর্জিত এই পরিবর্তন সেই স্বপ্নকে কতটা বাস্তবায়ন করল? নয় মাস পেরিয়ে যখন আমরা সেই আত্মত্যাগ এবং স্বপ্ন বাস্তবতার নিক্তিতে মাপি, তখন গভীর হতাশা দেখা দেয়। হাজার হাজার আহত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সুবিধা না পেয়ে নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। দুর্ভাগ্যজনক, শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতার হাতবদল হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। জনগণের মৌলিক আকাঙ্ক্ষাগুলো উপেক্ষিতই রয়ে গেছে। বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ছিল শুধু সরকার পরিবর্তন নয়; রাষ্ট্রের কাঠামো এবং বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ খাতে মৌলিক সংস্কার। কিন্তু নয় মাস পরও এসব সেক্টরে কাঙ্ক্ষিত ও কার্যকর সংস্কারের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সঙ্গে যোগ হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনের পুরোনো সংকটের পুনরাবৃত্তি।নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে ঐক্যের পরিবর্তে পারস্পরিক দোষারোপ, কাদা ছোড়াছুড়ি এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্বই মুখ্য হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে বেদনাদায়ক বিষয় হলো, গত ১৫ বছরে যারা সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ছিল, তাদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আজ আশঙ্কা হচ্ছে, বাংলাদেশের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানও কি সেই পুরানো ব্যর্থতার পথে হাঁটছে? আমরা জানি, আরব বসন্তের ব্যর্থতার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে ছিল মূলত নেতৃত্বের অভাব; বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্যের ঘাটতি; শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতা; রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রভাব; আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ; অর্থনৈতিক সংকট এবং চরমপন্থি গোষ্ঠীর উত্থান। বিভিন্ন গোষ্ঠী একত্র হয়ে শাসককে ক্ষমতাচ্যুত করলেও তারা ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র গঠন বা শাসনভার পরিচালনার ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি।

যেমনভাবে আরব বসন্তের আন্দোলনের বেশির ভাগই ছিল স্বতঃস্ফূর্ত এবং এর পেছনে কোনো একক বা শক্তিশালী সমন্বিত নেতৃত্ব ছিল না। তেমনিভাবে আমাদের গণঅভ্যুত্থানের পেছনে একক কোনো শক্তির ভূমিকা ছিল না। ধর্মনিরপেক্ষ,ইসলামপন্থি,তরুণ আন্দোলনকারী, আদিবাসী একত্র হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পর এর কৃতিত্ব নেওয়াকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য। যদি বাংলাদেশের রাজনৈতিক শক্তিগুলো জনগণের আকাঙ্ক্ষা ভুলে সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থ এবং ক্ষমতার দ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকে এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইনসহ মৌলিক সেক্টরগুলোর সংস্কার উপেক্ষিত হয়, তবে জুলাই বিপ্লবের ব্যর্থতা হয়তো অনিবার্য। রক্ত দিয়ে লেখা যে গণঅভ্যুত্থান এসেছে, সেটা যদি শুধু ক্ষমতার পট পরিবর্তনের দলিল হয়ে থাকে; জনগণের মুক্তির সনদ না হয়, তবে তা হবে শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সময় এখনও শেষ হয়ে যায়নি। ঝরে যাওয়া রক্তকে সম্মান জানিয়ে, আত্মত্যাগকারীদের স্বপ্নকে পাথেয় করে রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে অবশ্যই জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে এবং সুস্থ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জবাবদিহি মূলক রাজনীতির পথে ফিরতে হবে। অন্যথায় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে এবং আমাদের গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থতার করুণ অধ্যায় হিসেবেই লিপিবদ্ধ হবে। গণঅভ্যুত্থানের পর যেসব প্রত্যাশা পূরণে মানুষ অর্ন্তবর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়েছিল, সেগুলোর সব যে পূরণ করা সম্ভব হয়নি উপদেষ্টারাও সেটি স্বীকার করছেন। এমন একটা গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষের প্রত্যাশা বেশি ছিল। তবে আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে সবকিছু অ্যাড্রেস করা সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে মানুষের মধ্যে হতাশা আছে এবং সেটা থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু নয় মাসেও প্রত্যাশা পূরণ করা যায়নি কেন?এমন প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

যারা গণঅভ্যুত্থান করেছে, তারা ফ্যাসিবাদের বিভিন্ন উপাদান, যেমন: রাষ্ট্রপতি, সংবিধান ইত্যাদি, আর দেখতে চায়নি। কিন্তু এসব ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর এক ধরনের জনবিরোধী অবস্থান ও অসহযোগিতার পরিস্থিতি এবং মতৈক্য না হওয়ার কারণে অনেকগুলো বিষয় ঝুলে গেছে। অন্যদিকে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও মতপ্রকাশের ওপর আঘাতের ঘটনায় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারকেই দুষছে সরকার। শেখ হাসিনার সময় দীর্ঘ ১৬ বছরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেভাবে ধ্বংস করা হয়েছে, সেই জায়গা থেকে  সেগুলো পুনরায় দাঁড় করাতে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যেভাবে মোরাল অবলিগেশনে ফেলে দেওয়া হয়েছে, ফলে তারা এখন মাঠে প্রকৃতঅর্থে দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। এটাকে অনেকে সুযোগ হিসেবে নিচ্ছে এবং বিভিন্ন জায়গায় হামলা ও বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে।তবে সরকার এগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এমনকি এসব বিষয়গুলোকে সরকার দ্রুত অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করছে। যারা বাকস্বাধীনতা বা ধর্মীয় স্বাধীনতা হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে, তাদেরকে দ্রুতই আইনের আওতায় আনার জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং সে অনুযায়ী নানা পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। কিন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগিতা করার কথা ছিল তা করা হচ্ছে না। আর এর জন্যই নানা সঙ্কট মোকাবিলা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে যত চ্যালেঞ্জ আসছে। আবার অনেকেই সহযোগিতার বদলে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার সুযোগ নিচ্ছেন-যা মোটেও কাম্য হতে পারে না। আমরা কি পারি না, সবাই একত্রিত হয়ে, সব সঙ্কট মোকাবিলা করে একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে?

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
ওবায়দুল কাদের গ্রেপ্তার দাবিতে প্রচার, যা জানা গেল
ওবায়দুল কাদের গ্রেপ্তার দাবিতে প্রচার, যা জানা গেল
সম্প্রতি, ‘ব্রেকিং–গুলশান থেকে গ্রেপ্তার ওবায়দুল কাদের...’ শীর্ষক ক্যাপশনে একটি তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।তবে পলাতক ওবায়দুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ...
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় পৌনে ৩ কোটি টাকার টোল আদায়
যমুনা সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় পৌনে ৩ কোটি টাকার টোল আদায়
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে ঘরমুখো যানবাহনের চাপ বেড়েছে। যানবাহনের চাপ বাড়লেও মহাসড়কে যানজট নেই। যমুনা সেতুর ...
মামলা থেকে নাম বাদ দিতে ৫ লাখ টাকা চাইলেন এসআই
মামলা থেকে নাম বাদ দিতে ৫ লাখ টাকা চাইলেন এসআই
নাটোরে মামলা থেকে আমেরিকা প্রবাসী রাসেল হোসাইনের নাম প্রত্যাহারের কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে গুরুদাসপুর থানার ...
‘বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ হওয়ার জন্য দেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীরাই দায়ী’
‘বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ হওয়ার জন্য দেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীরাই দায়ী’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের দেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীরাই দায়ী। এ ক্ষেত্রে ...
হজযাত্রীদের বহনকারী বাসে সেনাদের হামলা
হজযাত্রীদের বহনকারী বাসে সেনাদের হামলা
হজযাত্রীদের বহনকারী বাসে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এ সময় তারা হজযাত্রীদের ...
সমালোচনাকারীদের মানসিকতারও সংস্কার প্রয়োজন : আইন উপদেষ্টা
সমালোচনাকারীদের মানসিকতারও সংস্কার প্রয়োজন : আইন উপদেষ্টা
সমালোচনাকারীদের মানসিকতারও সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর বিচার প্রশাসন ...
দোকানের শাটারের নিচ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছিল রক্ত, অতঃপর...
দোকানের শাটারের নিচ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছিল রক্ত, অতঃপর...
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে দোকানের ভেতর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেল ৫টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী নয়াপাড়া অনাবিল ...
বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি, রেল স্টেশনেই প্রসব
বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি, রেল স্টেশনেই প্রসব
মুষলধারে যখন বৃষ্টি হচ্ছে তখন এক নারী যশোরের কোতোয়ালী থানার রূপদিয়া রেলস্টেশনে কাতরাচ্ছে প্রসব যন্ত্রণায়। ক্রমেই তা মাত্রা ছাড়াচ্ছে। অবস্থা ...
প্রধান উপদেষ্টার সামনে ‘তর্কে’ জড়ালেন সালাহউদ্দিন ও নাহিদ
প্রধান উপদেষ্টার সামনে ‘তর্কে’ জড়ালেন সালাহউদ্দিন ও নাহিদ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সামনেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ...
১০
প্রবাসীসহ সর্বস্তরের মানুষকে ঠকানোর বাজেট : মোমিন মেহেদী
প্রবাসীসহ সর্বস্তরের মানুষকে ঠকানোর বাজেট : মোমিন মেহেদী
নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকার লক্ষ্য থেকে ‘বিশেষ বাজেট’ না দিয়ে প্রবাসীসহ সর্বস্তরের মানুষকে ঠকানোর ...
 
কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার মূসা ডিবি পুলিশের হাতে আটক
কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার মূসা ডিবি পুলিশের হাতে আটক
কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার মূসা ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। ডিবি মিরপুর বিভাগ ব্ল্যাড বাবু হত্যা মামলায় কিলার মূসাকে আটক ...
অনলাইন জুয়া সিন্ডিকেটের চার সদস্য গ্রেপ্তার, ৬টি মোবাইল ১২৫টি সিম কার্ড ও অ্যাপ জব্দ
অনলাইন জুয়া সিন্ডিকেটের চার সদস্য গ্রেপ্তার, ৬টি মোবাইল ১২৫টি সিম কার্ড ও অ্যাপ জব্দ
লালমনিরহাটে অনলাইন জুয়া সিন্ডিকেটের চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে জুয়া পরিচালনায় ...
মহাসড়কে গাড়ির চাপ, চলছে ধীরগতিতে
মহাসড়কে গাড়ির চাপ, চলছে ধীরগতিতে
নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষ ছুটছেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অন্যান্য দিনের চেয়ে যাত্রী, গণপরিবহন ও পশুবাহী গাড়ির চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ। যানজট না ...
সকালে ঘুম থেকেই উঠেই মোবাইল ফোন ঘাঁটেন? হতে পারে যেসব বিপদ
সকালে ঘুম থেকেই উঠেই মোবাইল ফোন ঘাঁটেন? হতে পারে যেসব বিপদ
স্মার্টফোন আসার পর থেকেই এ যেন আমাদের স্বভাব। সকালে আমাদের ঘুম ভাঙে মোবাইলের অ্যালার্ম বন্ধ করে। এরপর মোবাইলে ইন্টারনেট চালু ...
রোহিঙ্গা-কেএনএফ সমস্যা : কড়িডোর : সঙ্কটের আবর্তে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা-কেএনএফ সমস্যা : কড়িডোর : সঙ্কটের আবর্তে বাংলাদেশ
০১. বাংলাদেশের কক্সবাজারসহ পার্বত্য তিন জেলা মোট চারটি জেলা নিয়ে চলছে দেশী-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্র। আগের শান্তি বাহিনী সহ পার্বত্য অঞ্চলের ...
সমালোচনাকারীদের মানসিকতারও সংস্কার প্রয়োজন : আইন উপদেষ্টা
সমালোচনাকারীদের মানসিকতারও সংস্কার প্রয়োজন : আইন উপদেষ্টা
সমালোচনাকারীদের মানসিকতারও সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর বিচার প্রশাসন ...
লক্ষ্মীপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী রাসেল অস্ত্রসহ গ্রেফতার
লক্ষ্মীপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী রাসেল অস্ত্রসহ গ্রেফতার
লক্ষ্মীপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী, অস্ত্র, চাঁদাবাজী, অপহরণ, মাদক, চুরিসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামী মোঃ রাসেল (২৭) কে অস্ত্রসহ চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের ...
রোহিঙ্গা সংকট, আরাকান আর্মি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূরাজনৈতিক সমীকরণ
রোহিঙ্গা সংকট, আরাকান আর্মি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূরাজনৈতিক সমীকরণ
মিয়ানমার আজ আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দেশটি কেবল সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি একক রাষ্ট্রই নয়, বরং ...
হজযাত্রীদের বহনকারী বাসে সেনাদের হামলা
হজযাত্রীদের বহনকারী বাসে সেনাদের হামলা
হজযাত্রীদের বহনকারী বাসে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এ সময় তারা হজযাত্রীদের ...
১০
কুরবানির পশু কি কারো সঙ্গে পরিবর্তন করা যাবে?
কুরবানির পশু কি কারো সঙ্গে পরিবর্তন করা যাবে?
দুই ব্যক্তি কুরবানির পশু কেনার পর পরস্পরের পশু বদল করে কুরবানি দেয়। এখন এর হুকুম কি? উভয়ের কুরবানি সহীহ হবে ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com