![]() কুরবানির পশু কি কারো সঙ্গে পরিবর্তন করা যাবে?
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই আসে। এ ক্ষেত্রে ইসলামী চিন্তাবিদদের ভাষ্য, কুরবানির নিয়তে ক্রয়কৃত পশু পরিবর্তন করা সাধারণভাবে অনুচিত। তবে, যদি কোনো ব্যক্তি সাহিবে নিসাব (যার উপর কুরবানি ওয়াজিব) হয় এবং সে কুরবানির উদ্দেশ্যে একটি পশু কেনার পর নিয়ত পরিবর্তন করে অন্য আরেকটি পশু কিনে নেয় তাহলে দ্বিতীয় পশু কুরবানির জন্য যথেষ্ট হবে, অর্থাৎ তার কুরবানি সহিহ হবে। তবে মনে রাখতে হবে: প্রথম পশুর মূল্যের চেয়ে দ্বিতীয় পশুর মূল্য যেন কম না হয়। যদি দ্বিতীয় পশুর মূল্য প্রথম পশুর মূল্যের চেয়ে কম হয়, তাহলে বাকি টাকা (যত টাকা কম) সদকা করে দিতে হবে। আর যদি সাহিবে নিসাব না হয় (তার উপর কুরবানি ওয়াজিব নয়), তবুও সে কুরবানির নিয়তে কোনো পশু কিনে নেয়, তাহলে তার জন্য ওই নির্দিষ্ট পশুটিই কুরবানি করা ওয়াজিব। এ অবস্থায় তার জন্য পশু পরিবর্তনের অনুমতি নেই। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উভয় ব্যক্তি ধনী হলে প্রথম বিধান (তথা পশু পরিবর্তন করতে পারবে), গরিব হলে দ্বিতীয় বিধান (তথা পরিবর্তন করতে পারবে না) কার্যকর হবে। কুরবানির নিয়তে ভালো পশু কেনার পর যদি তাতে এমন কোনো দোষ দেখা দেয় যে কারণে কুরবানি জায়েজ হয় না- তাহলে ওই পশুর কুরবানি সহীহ হবে না। এর স্থলে আরেকটি পশু কুরবানি করতে হবে। তবে ক্রেতা গরিব হলে ত্রুটিযুক্ত পশু দ্বারাই কুরবানি করতে পারবেন। নিশ্চিত অবগতি না থাকলে যদি বিক্রেতা কুরবানির পশুর বয়স পূর্ণ হয়েছে বলে স্বীকার করে আর পশুর শরীরের অবস্থা দেখেও তাই মনে হয় তাহলে বিক্রেতার কথার ওপর নির্ভর করে পশু কেনা এবং তা দ্বারা কুরবানি করা যাবে। |