আজ শুক্রবার, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩০ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / ট্রাম্প-সালমান কথোপকথনে বিশ্ব কী বার্তা পেল
ট্রাম্প-সালমান কথোপকথনে বিশ্ব কী বার্তা পেল
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Monday, 26 May, 2025 at 9:19 PM
ট্রাম্প-সালমান কথোপকথনে বিশ্ব কী বার্তা পেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর গতানুগতিক বিষয়টিই যেন কোথায় হারিয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কখন কী বলবেন, কিভাবে বলবেন কিংবা তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে-সেসব অনুমান করা অনেক বিশ্লেষকের কাছে রীতিমত অসম্ভব। নিজের মধ্যপ্রাচ্য সফরেও তিনি এ ধারা বজায় রেখেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটিই তার সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় সফর। নিজের স্বভাব অনুযায়ী এ সফরকালেও তিনি আলোচনার বিষয়ে ভিন্ন পথেই হেঁটেছেন। এর আগে পশ্চিমা নেতাদের মধ্যপ্রাচ্য সফরে মানবাধিকারের মতো বিষয় গুরুত্ব পেলেও কূটনৈতিক ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ট্রাম্প; আর মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতেও মানবাধিকারের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা এড়িয়ে গেছেন তিনি। এর পরও তার সফরকালে উচ্চ-প্রভাবশালী চুক্তির এক ধারা উন্মোচিত হয়, যা দুই জাতির স্বার্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সামঞ্জস্য প্রতিফলিত হয়। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে ট্রাম্প জোরালো সমর্থন করেন। সৌদি আরবের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি তিনি জনসমক্ষে প্রশংসা করেন। ইরান, সিরিয়া এবং নিরাপত্তা সহযোগিতার মতো গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক বিষয়গুলোতে তার অকপট সমর্থন, ওয়াশিংটনের কৌশলগত গণনায় স্পষ্ট পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এ সফরের ফল কেবল সৌদি আরবের মূল অগ্রাধিকারগুলোকেই প্রাধান্য দেয় না, বরং সেগুলোকে ছাড়িয়ে যায়। এতে সৌদি আরবের প্রভাব, বিনিয়োগ এবং কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার বিষয়ে নতুন যুগের ইঙ্গিত দেয়। ট্রাম্প ক্রাউন প্রিন্সের প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন প্রকাশ করেছেন। সৌদি আরবের আঞ্চলিক নেতৃত্বের অনেক প্রশংসা করেছেন। প্রতিরক্ষা, বিনিয়োগ, ইরান, সিরিয়া এবং উপসাগরীয় নিরাপত্তার ব্যাপারে সৌদি আরবের অবস্থানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জোটবদ্ধতা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

ট্রাম্পের এই সফরের মাধ্যমে জ্বালানি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, অবকাঠামো এবং উন্নত প্রযুক্তির মতো মার্কিন খাতে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের সৌদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপিত হয়েছে। পূর্ব নীতিগতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এ বিনিয়োগগুলো এখন কার্যকর করা হচ্ছে। এতে সৌদি ভিশন-২০৩০ এর বৈচিত্র্যকরণ লক্ষ্যগুলো এবং অর্থনৈতিক-নির্ভরতা শক্তিশালী হয়। মার্কিন সংস্থাগুলোর মূলধন প্রবাহ, শিল্প অংশীদারত্ব এবং যৌথ উদ্ভাবনী উদ্যোগ অনেক বাড়বে। ট্রাম্পের সফরের সময় অনুষ্ঠিত সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে ইলন মাস্ক, জেনসেন হুয়াং এবং ল্যারি ফিঙ্কসহ আমেরিকান সিইওদের উপস্থিতি সৌদি আরবের অর্থনৈতিক গতিপথের প্রতি বেসরকারি খাতের ক্রমবর্ধমান আস্থাকে তুলে ধরে। জ্বালানি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্লাউড কম্পিউটিং, লজিস্টিকস এবং উন্নত উৎপাদনের মতো বিষয়গুলোর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা সৌদি উন্নয়ন পরিকল্পনায় আমেরিকান প্রযুক্তিগত নেতৃত্ব অনেক গুরুত্ব পেয়েছে।প্রতিরক্ষা বিষয়ে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি পুনর্গঠিত কৌশলগত এজেন্ডার কেন্দ্রবিন্দু। এটি সৌদি আরবকে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা, মানুষবিহীন বিমানব্যবস্থা, সাইবার নিরাপত্তা এবং স্থানীয় অস্ত্র উৎপাদনে উন্নত ক্ষমতা প্রদান করে। এটি সৌদি আরবের প্রতিরোধমূলক অবস্থান এবং অপারেশনাল প্রস্তুতি বৃদ্ধি করেছে। বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক হুমকি এবং অস্থিতিশীলতার জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ চুক্তি উপসাগরীয় নিরাপত্তার নোঙর হিসেবে সৌদি আরবের ভূমিকার প্রতি আমেরিকানদের নতুন আস্থার ইঙ্গিত বহন করে। মার্কিন সামরিক সহযোগিতা, গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া এবং উপসাগরীয় মিত্রদের সুরক্ষার জন্য প্রস্তুতির বিষয়ে ট্রাম্পের স্পষ্ট পুনর্ব্যক্তকরণ করে।

ফলে পূর্ববর্তী মার্কিন প্রশাসনের সময় ভেঙে পড়া আস্থা পুনরুদ্ধার হওয়ার পথে। এ সফর ইরানের ব্যাপারেও ঐক্য নিশ্চিত করেছে। ট্রাম্প সৌদি আরবের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তেহরানের সামনে দুটি বিকল্প পথ রয়েছে: আচরণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে পুনঃএকত্রীকরণ অথবা বিচ্ছিন্নতা থাকা। মার্কিন-উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ শীর্ষ সম্মেলনে তার বক্তব্য সৌদি নেতৃত্বের সংস্কার এবং ইরানের দুঃসাহসিকতার মধ্যে বৈপরীত্যের ওপর বেশি জোর দেয়, যা কৌশলগত ঐক্যের স্পষ্ট ইঙ্গিত বলে বোঝা যায়।ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং তার আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের ওপর চাপ প্রয়োগে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছে। এদিকে সৌদি আরব একটি সুনির্দিষ্ট নীতি বজায় রেখেছে যা কূটনৈতিক চ্যানেলগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে। এর মধ্যে রয়েছে চীনের অতিরিক্ত তোষামোদি এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা সম্পর্কের মধ্যে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ মূলক কাঠামো স্থাপন করা। শীর্ষ সম্মেলনের বার্তায় পুনর্নির্মিত উপসাগরীয় নিরাপত্তা কাঠামোর উত্থান তুলে ধরা হয়েছে যেখানে সৌদি আরবের ইচ্ছা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে। উল্লেখযোগ্য দিক হলো সিরিয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভিঙ্গির পরিবর্তন। রিয়াদে সৌদি আরবের নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে ট্রাম্পের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক যা যুবরাজের সহায়তায় হয়েছিল। এটি ছিল আরব-নেতৃত্বাধীন স্বাভাবিকীকরণ প্রচেষ্টার প্রতীক। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং সিরিয়ার উত্তরণের বিষয়টি আঞ্চলিক নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করে। ওয়াশিংটন সংঘাত-পরবর্তী কূটনীতিতে রিয়াদের কেন্দ্রীয় ভূমিকাকে পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিয়েছে।পুনর্গঠন, স্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যায়ক্রমে পুনঃএকত্রীকরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে সিরিয়ার বিষয়ে আরব লীগের ঐকমত্য গঠন করেছে সৌদি আরব।

এর ফলে অভ্যন্তরীণ আরব ঐকমত্য এবং বিশ্বব্যাপী ভারসাম্য বজায় রাখতে কূটনৈতিক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সৌদি আরবের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে তুলে ধরা হয়েছে।ফিলিস্তিন ইস্যুতে ট্রাম্প শান্তির দিকে অগ্রগতিকে উৎসাহিত করছেন। কিন্তু ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাভাবিকীকরণ করা বা উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর বৃহত্তর কৌশলগত সম্পর্কের ওপর নির্ভর করা এড়িয়ে গেছেন তিনি। পরিবর্তে, তিনি জানিয়ে দিয়েছেন স্বাভাবিকীকরণ আঞ্চলিক পক্ষগুলোর মাধ্যমেই হওয়া উচিত তা সৌদি আরব বা সিরিয়া হোক তা তাদের পছন্দে হতে হবে। 
মার্কিন-জিসিসি শীর্ষ সম্মেলনে উপসাগরীয় নেতারা বিশেষ করে যুবরাজ ২০০২ সালে আরব শান্তি উদ্যোগে ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘাতের দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। মধ্যপ্রাচ্য শান্তি মীমাংসার বৃহত্তর ইস্যুতে ট্রাম্পের অস্পষ্টতা রিয়াদকে মূল্যবান কৌশলগত স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছে। এটি আরব শান্তি উদ্যোগে ফিলিস্তিনদের অধিকারের বিষয়ে তার নীতিগত অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করার সুযোগ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে চূড়ান্ত অবস্থা আলোচনার জন্য বাইরের সংযোগ থেকে মুক্ত হয়ে নিজস্ব গতিতে স্বাভাবিকীকরণ করার চেষ্টা সম্মতি পায়। এ পদ্ধতি কেবল সৌদি কূটনৈতিক নমনীয়তাকেই শক্তিশালী করে না বরং আঞ্চলিক শান্তি প্রচেষ্টায় এটিকে বিশ্বাসযোগ্য এবং স্বায়ত্তশাসিত নেতা হিসেবেও অবস্থান করে দেয়।ফলে দেখা যায়, বৃহত্তর নীতি পুনর্বিন্যাসের ইঙ্গিত দেয়। কারণ মার্কিন-সৌদি সম্পর্ক বিশেষ করে জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্কের বাইরে বিনিয়োগ, আঞ্চলিক কূটনীতি এবং নিরাপত্তা সমন্বয়কে অন্তর্ভুক্ত করে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারত্ব বিকশিত হয়। সৌদি আরব এখন অনেক আঞ্চলিক উদ্যোগে নেতৃত্ব দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে একজন সহায়ক ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে পুনঃস্থাপন করছে।

ঐতিহাসিকভাবে সৌদি-যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব শীতল যুদ্ধের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, তেলের ঝুঁকি, সন্ত্রাসবাদ এবং কূটনৈতিক টানাপোড়েনকে প্রতিহত করেছে। যেমনটি তার প্রথম মেয়াদে হয়েছিল। দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্পের রিয়াদে প্রত্যাবর্তন এ জোটের স্থায়িত্বকে বাড়িয়ে তুলেছে। মধ্যপ্রাচ্য নীতি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী বিচ্ছিন্নতার সংশোধনও হয়েছে। সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০, দেশের সামাজিক সংস্কার এবং আঞ্চলিক সম্পৃক্ততায় তার দ্ব্যর্থ সমর্থন তেল-নির্ভর রক্ষণশীলতা থেকে গতিশীল অবস্থা ফিরে পায়। হোয়াইট হাউসের সৌদি আরবের নেতৃত্বের প্রতি স্বীকৃতি এক ধরনের বড় বার্তা দেয়। আত্মবিশ্বাসী সৌদি আরব আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রিয়াদের পররাষ্ট্রনীতি ক্রমশ ভারসাম্য ও বৈচিত্র্যের ওপর জোর দিচ্ছে। সৌদি আরব চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে। ভারতের সঙ্গে জ্বালানি ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গভীর করেছে। ওপেক সমন্বয়ের বিষয়ে রাশিয়া ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে তার মূল অংশীদারত্বের ওপরও অটল অবস্থায় রয়েছে।এই কৌশলগত বহুত্ববাদ মার্কিন নেতৃত্বের প্রত্যাখ্যান নয় বরং সৌদি আরবের উদীয়মান সংস্থার প্রতিফলন। ট্রাম্পের এই নমনীয় পদ্ধতিকে হুমকি হিসেবে দেখার পরিবর্তে গ্রহণ করা এবং বহুমেরু বিশ্বে জোট ব্যবস্থাপনার একটি বাস্তবসম্মত পুনঃসংজ্ঞাকে তুলে ধরেছে। যদিও তেলের মূল্য নির্ধারণ ও মুদ্রাপ্রবাহ অনেক পার্থক্য রয়ে গেছে। তার পরও সহযোগিতার নতুন কাঠামোর মধ্যে এগুলো পরিচালনা যোগ্য। এখন দুই দেশ আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, সন্ত্রাসবাদ দমন, সাইবার সহযোগিতা এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক পরিকনল্পনা নিশ্চিত করতে যৌথ নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মার্কিন অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে সৌদি আরবের বিনিয়োগ আমেরিকান কর্মী ও শিল্পের জন্য বাস্তবসম্মত সুবিধা প্রদান করবে।

অন্যদিকে আমেরিকানদের জ্ঞান ও প্রযুক্তি সৌদি আরবের তেল অর্থনীতির রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করবে।ভবিষ্যতের দিকে তাকালে, রিয়াদ ওয়াশিংটনের কাছ থেকে কৌশলগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক ধারাবাহিকতা আশা করে। বিনিময়ে, তারা মূলধন, আঞ্চলিক নেতৃত্ব এবং নিরাপত্তা ও উদ্ভাবনের জন্য যৌথ প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে।যদি এই গতিপথ বজায় থাকে, তাহলে ট্রাম্পের সফরকে উজ্জ্বল মুহূর্ত হিসেবে স্মরণ করা হবে। তবে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ১৯ মাসের অভিযানে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় শুধু বহিষ্কার নয়, ইসরাইলকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার দিকেও ইঙ্গিত করেছেন অনেকে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, তারা যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই মুহূর্তে অন্য কোনো দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনা করলে তা হাস্যকর শোনায়। যুক্তরাষ্ট্রের এখন অন্য দেশকে তিরস্কার করার মতো নৈতিক অবস্থান, আইনি ভিত্তি বা বিশ্বাসযোগ্যতা-কোনোটিই নেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সফরে মানবাধিকার বিষয়ে যতটা গুরুত্বের সাথে আলোচনা হওয়া উচিৎ, ট্রাম্পের সফরকালে বিষয়টি সেভাবে মনোযোগ পায়নি। তার পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরব সফর সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের এক নির্ণায়ক ও কৌশলগত রূপান্তরের সূচনা করেছে যা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ফলাফল এনেছে।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
সবজির বাজার এখনও চড়া, দাম কমেছে মুরগির  
সবজির বাজার এখনও চড়া, দাম কমেছে মুরগির  
বৃষ্টির অজুহাতে সরবরাহ ভালো থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে সব ধরনের সবজি কেজিতে ১০ ...
বিয়ের খবর শুনে প্রেমিকার পর নিজেকেও ছুরিকাঘাত করলেন ছাত্রলীগ নেতা
বিয়ের খবর শুনে প্রেমিকার পর নিজেকেও ছুরিকাঘাত করলেন ছাত্রলীগ নেতা
বিয়ের খবর জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাত করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ...
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে বিএনপিকে কেন দোষারোপ করলেন তা বোধগম্য নয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে বিএনপিকে কেন দোষারোপ করলেন তা বোধগম্য নয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন নিয়ে বিএনপিকে কেন দোষারোপ করলেন তা বোধগম্য নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র স্থায়ী ...
সেনাবাহিনীর হাতে এনসিপি নেতা আটক
সেনাবাহিনীর হাতে এনসিপি নেতা আটক
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ট্রাকের গতিরোধ করে চাঁদিবাজির অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)র নেতা তারিকুল ইসলাম (৪০)কে আটক করেছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৯ ...
বাংলাদেশকে ১৩ হাজার কোটি টাকা বাজেট সহায়তা দিচ্ছে জাপান
বাংলাদেশকে ১৩ হাজার কোটি টাকা বাজেট সহায়তা দিচ্ছে জাপান
বাংলাদেশকে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা বাজেট সহায়তা দিচ্ছে জাপান। এই সহায়তা দেওয়া হবে বাংলাদেশের রেলওয়ে খাতের উন্নয়নের জন্য।শুক্রবার (৩০ ...
ভয়ে জানালা দিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা ফেলে দিলেন সরকারি কর্মকর্তা
ভয়ে জানালা দিয়ে কাড়ি কাড়ি টাকা ফেলে দিলেন সরকারি কর্মকর্তা
ভারতের ওড়িশার ভুবনেশ্বরে দুর্নীতি দমন দপ্তরের অভিযানে রাজ্য সরকারের পল্লী উন্নয়ন দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বৈকুন্ঠ নাথ শরণগীর বিরুদ্ধে বড় ধরনের ...
চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা খেলেন বৈষম্যবিরোধী নেতা, ভিডিও ভাইরাল
চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা খেলেন বৈষম্যবিরোধী নেতা, ভিডিও ভাইরাল
গাজীপুরের শেরেবাংলা রোডের একটি বাসা থেকে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আকাশ খানের ...
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা থাকবে না: মির্জা আব্বাস
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা থাকবে না: মির্জা আব্বাস
এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির ...
রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা
রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা
জনগণ ও রাষ্ট্র এক অবিচ্ছেদ্য বিষয়। সরকার একটি স্বল্পস্থায়ী প্রতিষ্ঠান মাত্র এবং জনগণের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কই রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে সরকারের বৈধতা ...
১০
জোরপূর্বক পদচ্যুত করা হয়েছে, আইসিসিকে জানিয়েছি: ফারুক 
জোরপূর্বক পদচ্যুত করা হয়েছে, আইসিসিকে জানিয়েছি: ফারুক 
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, আমি যে অন্যায়ের শিকার, আমাকে যে জোরপূর্বক পদচ্যুত করা হয়েছে, আমি আনচ্যালেঞ্জড ...
 
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে শিশু নারীসহ ১৭ জনকে বিএসএফের পুশইন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে শিশু নারীসহ ১৭ জনকে বিএসএফের পুশইন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ১৭ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স-বিএসএফ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১৬ বিজিবির রোকনপুর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ...
মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে : তারেক রহমান
মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে : তারেক রহমান
মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে গুমের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক ...
শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ গ্রেপ্তার
শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ গ্রেপ্তার
দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও তার সহযোগী ও মোল্লা মাসুদকে কুষ্টিয়ার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনীর একটি চৌকস ...
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিশেনের নতুন কার্যকরি কমিটির প্রথম সভা
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিশেনের নতুন কার্যকরি কমিটির প্রথম সভা
বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ) সিলেট বিভাগীয় কমিটির ২০২৫-২০২৭ সনের নতুন কার্যকরি কমিটির প্রথম সভা গতকাল রোববার রাতে এসোসিয়েশনের কার্যলয়ে ...
মগবাজারে ১০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৩
মগবাজারে ১০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৩
রাজধানীর বড় মগবাজার এলাকা থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে ...
বিএনপি অফিস ভাঙচুর, সাকিবের বাবাকে প্রধান আসামি করে মামলা
বিএনপি অফিস ভাঙচুর, সাকিবের বাবাকে প্রধান আসামি করে মামলা
মাগুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বোমা হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে মামলা ...
রাবিতে ছাত্রজোট ও শাহবাগবিরোধী শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ
রাবিতে ছাত্রজোট ও শাহবাগবিরোধী শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দুই সংগঠনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ক্যাম্পাসের পরিবহন ...
সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলন একদিনের জন্য স্থগিত
সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলন একদিনের জন্য স্থগিত
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল করার বিষয়ে কর্মচারীদের দাবি বুধবার (২৭ মে) মন্ত্রিপরিষদসচিবের কাছে তুলে ধরবেন সচিবেরা। এমন পরিস্থিতিতে ...
দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২৮২০ ডলার
দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২৮২০ ডলার
চলতি অর্থবছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮২০ মার্কিন ডলার। যা গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ২ হাজার ৭৩৮ ...
১০
যুগে যুগে তরুণদের মাধ্যমেই বড় বড় পরিবর্তন এসেছে
যুগে যুগে তরুণদের মাধ্যমেই বড় বড় পরিবর্তন এসেছে
২৭ মে মঙ্গলবার সিলেট জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের হলরুমে তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণ শীর্ষক আলোচনা সভা ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com