![]() অন্তর্বর্তী সরকারের আশপাশে কুচক্রী কারা, জানালেন জুলকারনাইন
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() শুক্রবার (২৩ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এমনটা দাবি করেন তিনি। পোস্টে জুলকারনাইন লেখেন, প্রফেসর ইউনূস একজন ৮৪ বছর বয়সী সম্মানীত ও সমাদৃত ব্যক্তিত্ব। তার অর্জনের সিংহভাগই নিজ যোগ্যতা ও পরিশ্রমের ফসল। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে স্বৈরাচার হাসিনা সৃষ্ট আইনি ঝামেলা ব্যতিত তেমন কোনো সমস্যার সম্মুখীন তিনি হননি। এর অন্যতম কারণ হতে পারে তার আশেপাশে সব সময়ই বিশ্বস্ত, শিক্ষিত, সৎ মানুষেরা ছিলেন। জুলকারনাইন আরও বলেন, কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্বভার গ্রহণের পর তার পাশে চিহ্নিত কিছু ব্যক্তি (৩-৪) জন একটা বিষ বলয় বা টক্সিক সার্কেল তৈরি করেছে। এদের পরিচয় আমি আগেও আপনাদের জানিয়েছি, নতুন করে জানানোর কিছু নেই। নূরুল ইসলাম ভূঁইয়া ছোটন ও আরও কয়েকজন কুচক্রীর পরামর্শে এরা প্রতিনিয়ত প্রফেসর ইউনূসের কাছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব, বিএনপি ও জামায়াতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে একটা কুৎসিত রকমের চক্রান্ত করছে। তিনি লেখেন, এরা এতটাই উচ্চাভিলাষী যে, দেশের মূলধারার কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্বই তারা রাখতে চায় না এবং সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে দেশকে একটা গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চায়। লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন কারা প্রতিনিয়ত সেনা নেতৃত্ব, বিএনপির নেতৃত্ব, জামায়াত নেতৃত্ব- প্রত্যেককে ভিলিফাই করেছে, করে চলেছে। এরা সকলেই একসূত্রে গাঁথা। তিনি আরও লেখেন, হাসিনা কাল্ট যেভাবে গুম-খুন-নির্যাতনের মাধ্যমে দেশে একটা ভয়ের চক্র গড়ে তুলেছিলো, এই ছোটন চক্র দেশে তেমনি একটা সার্কেল তৈরি করেছে, যা জনমনে ঘৃণা ও অজানা আতংকের সৃষ্টি করেছে। আশা করছি সকল রাজনৈতিক দল ও দেশের সিভিল সোসাইটির সদস্যরা সমন্বিতভাবে এদের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করবেন, প্রফেসর ইউনূস যেন সম্মানের সাথে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব সফলতার সাথে সম্পন্ন করে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে রাষ্ট্রভার হস্তান্তর করতে পারেন এমন ক্ষেত্র তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবেন। সবশেষে সেনাবাহিনীর ওপর ভরসা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি লেখেন, আপনার দেশের নিরাপত্তা বাহিনী ও এর নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখুন, তারা আপনাদের নিরাপত্তা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পরে অন্য এক পোস্টে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে খলিল-ছোটন-শুভ্র-রিজওয়ানা-ফরহাদ মাজহার গং এর প্রভাব মুক্ত করতে না পারলে দেশের পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হতে পারে। এসব ডার্ক মাইন্ডেড লোকজন দূর করে, সৎ ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের যাদের কোন রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ নেই তাদের ক্যাবিনেটে স্থান দিন, দেশ ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতার দিকে যাবে। |