![]() নতুন প্রজন্মের রাজনীতি: আস্থা না বিতৃষ্ণা?
মীর আব্দুর আলীম:
|
![]() তরুণদের রাজনীতি অংশগ্রহণের গুরুত্ব বোঝাতে গেলে প্রথমেই বোঝা দরকার-তরুণ মানে কী? তরুণ মানে শুধু বয়সে তরুণ নয়, বরং চিন্তায়, উদ্যমে, নতুনত্বে এবং সংস্কারে তরুণ। একক দলগত কোন বিষয় নায়। সকল দলে তরুণরা গুরুত্ব পাক। তরুণ মানেই সম্ভাবনার ঝর্ণাধারা। একজন তরুণের মধ্যে থাকে সাহস, সততা, আত্মবিশ্বাস, নতুন কিছু করার আকাঙ্ক্ষা, সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন। তারা দীর্ঘমেয়াদি লাভ বা ক্ষমতা ধরে রাখার চেয়ে তাৎক্ষণিক পরিবর্তনের জন্য কাজ করতে আগ্রহী থাকে। তারা ‘হয়ে গেছে’ বলতে রাজি নয়, তারা চায় ‘নতুন করে গড়ে তোলা’। এটাই তরুণদের শক্তি। বিশ্বরাজনীতির প্রেক্ষাপটে এ ধারাটি অত্যন্ত স্পষ্ট। ফিনল্যান্ডের সানা মারিন, নিউজিল্যান্ডের জাসিন্ডা আরডার্ন, ফ্রান্সের ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, চিলির গ্যাব্রিয়েল বরিচ, ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কি—এরা সবাই তরুণ বয়সে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছে গেছেন। শুধু নির্বাচনে জয়ী হওয়া নয়, তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় নতুন ধারা সৃষ্টি করেছেন। উদ্ভাবনী চিন্তা, প্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত, পরিবেশবান্ধব নীতি এবং মানবিক নেতৃত্বের আদর্শ তাঁরা তৈরি করেছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে তরুণদের হাতে ক্ষমতা দিলে রাষ্ট্র মেধাবী, মানবিক ও কার্যকর হতে পারে। বাংলাদেশেও আমরা তার ব্যতিক্রম নই। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ, গণআন্দোলন থেকে শুরু করে সা¤প্রতিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পর্যন্ত-তরুণরাই ছিলেন সামনে। ১৯৫২-র শহীদ সালাম, রফিক, বরকত ছিলেন তরুণ। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনানী ছিলেন তরুণরা। ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাই ছিল নেতৃত্বে। শাহবাগ আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন-সবখানেই তরুণরাই নেতৃত্ব দিয়েছে। তারা শুধু ক্ষোভ প্রকাশ করেনি, যুক্তি ও গঠনমূলক প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, সা¤প্রতিক বছরগুলোতে মূলধারার রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণ কমে গেছে। রাজনীতি হয়ে উঠেছে অভিজ্ঞদের ‘ক্লোজড সার্কেল’। এই ক্লোজড সার্কেলে তরুণদের প্রবেশাধিকার নেই। আবার তরুণরাও রাজনীতিকে দুর্নীতিগ্রস্ত, হিংস্র এবং অসৎ বলেই ভাবতে শিখেছে। এর ফলে দেশের মেধাবী একটি অংশ রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে। এ এক বিপজ্জনক প্রবণতা। কারণ যখন ভালো মানুষ রাজনীতি থেকে দূরে থাকে, তখনই খারাপ মানুষদের দখলে চলে যায় সমাজ ও রাষ্ট্র। তরুণদের রাজনীতিতে ফেরানোর জন্য আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে- প্রথমত, রাজনৈতিক দলগুলোকে তরুণদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোটাভিত্তিক নেতৃত্বের স্থান নির্ধারণ করতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ড, উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে কমপক্ষে ৩০-৪০ শতাংশ পদ তরুণদের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। তবে কেবল কাগজে-কলমে না থেকে, এটি বাস্তবায়নের জন্য কঠোর নজরদারি করা প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলের সুষ্ঠু এবং কার্যকর নেতৃত্বের জন্য তরুণদের প্রয়োজনীয় অংশগ্রহণ এবং প্রভাব নিশ্চিত করা অপরিহার্য। তরুণদের নেতৃত্বে আনা কেবল একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়, এটি তাদের ক্ষমতায়ন এবং পরিবর্তনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগও। তরুণদের নেতৃত্বের বিষয়টি যদি দৃষ্টিভঙ্গি, নীতি এবং চিন্তাভাবনার পরিবর্তন আনতে পারে, তবে তা রাষ্ট্র পরিচালনায় নতুন দিশা এবং উদ্ভাবন নিয়ে আসবে। দলের অভ্যন্তরে তরুণদের সুনির্দিষ্ট স্থান নিশ্চিত করার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম আরও প্রাণবন্ত এবং প্রগতিশীল হতে পারে। দ্বিতীয়ত, তরুণদের রাজনৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা জরুরি। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ‘নাগরিক শিক্ষা’ এবং ‘নৈতিক নেতৃত্ব’ বিষয়ক পাঠ্যক্রম বাধ্যতামূলক করা দরকার। এতে তরুণরা রাজনীতি ও রাষ্ট্রচিন্তা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাসী এবং সচেতন হয়ে উঠবে। এই শিক্ষা তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলবে, যা ভবিষ্যতে তাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘লিডারশিপ প্রোগ্রাম’, ‘ইয়ুথ পার্লামেন্ট’, ‘ডেমোক্রেসি ক্যাম্প’ ইত্যাদি আয়োজন করলে তারা বাস্তব রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। তরুণরা যদি রাজনৈতিক বিষয়ে গভীর জ্ঞান এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারে, তবে তারা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। এই ধরনের উদ্যোগগুলি যুব সমাজের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে সাহায্য করবে এবং তাদের আত্মবিশ্বাস ও প্রস্তুতি বাড়াবে। তৃতীয়ত, তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং সক্ষমতা রাজনৈতিক দলে কাজে লাগাতে হলে একটি সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তোলা জরুরি। আজকের তরুণরা সংঘাতমুখী নয়, তারা সহমত ও সমঝোতায় বিশ্বাস করে। কিন্তু বাস্তব রাজনীতি এখনও অনেক ক্ষেত্রে সংঘাত, অপবাদ, প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধে ভরপুর। এই সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে তরুণরা রাজনীতিতে প্রবেশ করেই হতাশ হয়ে পড়বে। রাজনীতির মাঠে নেতিবাচক কার্যকলাপ, অপরাজনীতি এবং অসুস্থ প্রতিযোগিতা দূর করার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা জরুরি। তরুণরা চাইলে রাজনীতি আরও মানবিক, সহনশীল এবং শান্তিপূর্ণ হতে পারে। রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ যদি তরুণদের মতামত ও মতপার্থক্যকে সন্মান করে এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির বৈচিত্র্য গ্রহণ করে, তবে রাজনীতি তরুণদের জন্য আরও আকর্ষণীয় এবং সুযোগসুবিধাযুক্ত হবে। চতুর্থত, মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইতিবাচক ব্যবহার তরুণদের উৎসাহিত করতে পারে। তরুণদের সফল নেতৃত্বের গল্প প্রচার, রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনকারী তরুণ জনপ্রতিনিধিদের কাজ তুলে ধরা—এসব তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে। পাশাপাশি নেতিবাচক রাজনীতির প্রতি তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হবে। সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য মিডিয়াগুলির মাধ্যমে তরুণরা বাস্তব রাজনৈতিক ঘটনাবলি জানতে পারবে এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন হতে পারবে। এই ধরনের প্রচার তাদেরকে রাজনীতিতে অংশগ্রহণের প্রতি উৎসাহিত করবে এবং তাদের নেতৃত্বের মনোভাব গড়ে তুলবে। তাই, রাজনৈতিক দলগুলো ও সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের শক্তি ব্যবহার করে তরুণদের মধ্যে ইতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি করতে পারে, যা রাজনীতির মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যতের নেতৃত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে। রাজনীতিতে তরুণদের বাধা আসে কেবল সিস্টেম থেকে নয়, পরিবার ও সমাজ থেকেও। বাবা-মা চায় সন্তান ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস ক্যাডার হোক, কিন্তু রাজনীতিবিদ হোক—এটা তারা চায় না। কারণ রাজনীতিকে তারা মনে করেন ‘ঝুঁকিপূর্ণ ও নোংরা’ একটি পেশা। এই মনোভাবও ভাঙতে হবে। রাজনীতি একটি সম্মানজনক পেশা হতে পারে—এই বার্তা সমাজে পৌঁছাতে হবে। তরুণদের সামনে রাজনীতিতে অংশগ্রহণের নতুন মডেলও হাজির করতে হবে। একটি বিকেন্দ্রীকৃত রাজনৈতিক কাঠামো, যেখানে তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ থাকবে, তা তরুণদের এগিয়ে আনবে। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় তরুণদের বেশি করে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ বা পৌরসভায় তরুণ প্রার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হলে প্রার্থী মনোনয়নে স্বচ্ছতা ও অগ্রাধিকার দিতে হবে। তরুণদের অংশগ্রহণ রাজনীতিকে শুধু প্রাণবন্তই করবে না, বরং উদ্ভাবনী, প্রযুক্তিনির্ভর, এবং দায়িত্বশীল করে তুলবে। তরুণরাই পারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে স্বচ্ছতা আনতে এবং মানুষের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করতে। তারা অন্ধ অনুসরণ নয়, নেতৃত্বে জবাবদিহিতা চায়। বিশ্বব্যাপী দেখা গেছে, তরুণ নেতৃত্ব কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়নই নয়, সামাজিক ন্যায়বিচার, জলবায়ু পরিবর্তন, শিক্ষানীতি, নারী অধিকারসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কার্যকর ভ‚মিকা পালন করেছে। আজকের পৃথিবী, যেখানে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ, সংকট এবং সমস্যাগুলোর মুখোমুখি, সেখানে তরুণরা তাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, উদ্ভাবনী চিন্তা, এবং সাহসিকতার মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধানে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। তারা সমাজে নতুন সংস্কৃতি, পরিবর্তন, এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন নিয়ে এসেছে, যা রাষ্ট্র পরিচালনায় উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রের মুল্যবোধে অবদান রেখেছে। উদাহরণস্বরূপ, জলবায়ু পরিবর্তন, যা একটি বৈশ্বিক সংকট, সে বিষয়ে তরুণ নেতারা আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছে। এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছে যে তরুণরা শুধুমাত্র দেশীয় নয়, বৈশ্বিক সমস্যারও সমাধান খুঁজে বের করার শক্তি রাখে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল, তরুণ জনগোষ্ঠীসমৃদ্ধ দেশে এই ধরনের নেতৃত্ব অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজনীয়। আমাদের দেশে প্রায় ৪ কোটি তরুণ ভোটার রয়েছেন, যারা আগামী দিনের নেতৃত্ব নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে পারেন। এই তরুণরা যদি তাদের ক্ষমতা ও প্রভাব সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে, তবে তারা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থায় উন্নতি আনতে সক্ষম হবে। তরুণরা দেশের সমৃদ্ধি, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং পরিবেশ রক্ষায় নেতৃত্ব দিতে পারে। তাদের চিন্তা, উদ্ভাবন এবং দৃষ্টিভঙ্গি সমাজকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, পরিবেশবান্ধব এবং উদ্দীপক করে তুলতে পারে। এভাবেই আগামী দিনের বাংলাদেশে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠবে, যা তরুণ নেতৃত্বের হাতে আলোকিত হবে। অতএব, তরুণদের রাজনীতিতে আসার পথ সুগম করতে হলে কেবল আহŸান নয়, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব হবে যে তারা তরুণদের নেতৃত্বের জন্য স্থান করে দেবে এবং তাদেরকে রাজনৈতিক কর্মকাÐের সাথে যুক্ত করবে। সরকার এবং প্রশাসনকেও তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া, তাদের ক্ষমতায়ন করা এবং তাদের চিন্তা ও প্রস্তাবনা শোনার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তরুণদের রাজনৈতিক শিক্ষায় এবং নাগরিক দায়িত্বে আগ্রহী করে তুলতে প্রভাবশালী ভ‚মিকা রাখতে পারে। পরিবার এবং গণমাধ্যমও তরুণদের নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে সহায়ক হতে পারে। পরিবার তরুণদের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নৈতিক শিক্ষা প্রদান করতে পারে, যা তাদের আগামী দিনের নেতৃত্বে সাহায্য করবে। গণমাধ্যম তরুণদের সফল নেতৃত্বের গল্প প্রচার করে তাদের মধ্যে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করতে পারে, যাতে তারা রাজনীতির প্রতি আগ্রহী হয় এবং রাজনৈতিক কর্মকাÐে অংশগ্রহণ করে। এই পরিবর্তন সম্ভব হতে পারে শুধুমাত্র যখন এই সমস্ত সেক্টরগুলো একত্রে কাজ করবে এবং তরুণদের জন্য সঠিক অবকাঠামো গড়ে তুলবে। সবার সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের পথ খুলে যাবে এবং তারাই একটি নতুন, উন্নত, এবং উদ্যমী বাংলাদেশ গড়ার পক্ষে কার্যকর ভ‚মিকা রাখবে। তরুণদের নেতৃত্বের মধ্যেই লুকিয়ে আছে একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন, যেখানে তারা সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সাফল্যের ধারক ও বাহক হিসেবে কাজ করবে। রাজনীতিকে তরুণরা যদি নেতৃত্ব দেয়, তাহলে সেই রাজনীতি হবে গণমুখী, মানবিক এবং অগ্রগতিমুখী। কারণ তরুণরা স্বপ্ন দেখে, সাহস করে, আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নিজের সবটুকু ঢেলে দেয়। তাদের এই শক্তিকে অবজ্ঞা নয়, স্বীকৃতি দিতে হবে। দেশ গড়ার রাজনীতিতে তাদের অগ্রণী ভ‚মিকাই হোক আগামী বাংলাদেশের প্রধান দিকনির্দেশনা। ✍ লেখক: মীর আব্দুল আলীম, চেয়ারম্যান-আল-রাফি হাসপাতাল লিমিটেড, সাংবাদিক, জীবনমুখী লেখক, কলামিস্ট। |