![]() কুরবানির পশুর চামড়া-গোশত বিক্রি করা যাবে?
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর কাছে পৌঁছে না এগুলোর (কুরবানির পশুর) গোশত ও রক্ত, বরং তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি সেসবকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর তাকবির পাঠ করতে পারো, এ জন্য যে তিনি তোমাদের হেদায়াত দান করেছেন, সুতরাং তুমি সৎকর্মশীলদেরকে সুসংবাদ দাও। (সুরা হজ, আয়াত: ৩৭) অন্যদিকে মাহনাফ ইবন সুলায়মান (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সঙ্গে আরাফায় অবস্থান করছিলাম। তখন তিনি (নবীজি) বলেন, হে লোক সকল! আমাদের প্রত্যেক গৃহবাসীর ওপর প্রতি বছর কুরবানি করা ওয়াজিব। (আবু দাউদ, হাদিস: ২৭৭৯) এ ক্ষেত্রে কুরবানির পশু যেমন সুস্থ হতে হবে, তেমনি রোগাক্রান্ত হওয়া চলবে না। এমনকি কানা-খোঁড়া পশু দিয়ে কুরবানি দেয়াও উচিত নয়। শরিয়তে কুরবানির পশুর গোশত ৩ ভাগে ভাগ করার বিধান রয়েছে। তবে আমাদের সমাজে কুরবানির পশুর চামড়া বা হাড় বিক্রি করার প্রথা রয়েছে। প্রশ্ন হলো- কেউ যদি কুরবানির গোশত কিংবা পশুর চামড়া বা হাড়গোড় বিক্রি করে তবে কি তার কুরবানি বিশুদ্ধ হবে? শায়খ আহমাদুল্লাহসহ বেশিরভাগ আলেমদের মতে, যিনি কুরবানি করেছেন তার জন্য কুরবানির পশুর গোশত, হাড়, ভুরি কোনোকিছুই বিক্রি করা জায়েজ নেই। তবে যাকে চামড়া বা গোশত দান করা হয়েছে, তিনি যদি সেগুলো বিক্রি করেন, সে ক্ষেত্রে এটি ওই ব্যক্তির জন্য জায়েজ। তবে কুরবানির পশুর চামড়া নিজে ব্যবহার করতে পারলে সেটি জায়েজ। চামড়া প্রসেস করে সেটি নিজে ব্যবহার করলে এতে কোনো অসুবিধা নেই। আবার কোনো কোনো অঞ্চলে মানুষ চামড়া রান্না করে খায়, সেটিতেও কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কুরবানির পশুর চামড়া বিক্রি করা মোটেও উচিত নয়। সরাসরি চামড়া বা গোশত কিংবা হাড় দান করে দেয়াই উত্তম। আলী (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসেও এমনটাই এসেছে, তিনি বলেন- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের পাঠালেন, আমি কুরবানির পশুর পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম, তারপর তিনি (নবীজি) আমাকে আদেশ করলেন। আমি ওগুলোর মাংস বণ্টন করে দিলাম। এরপর তিনি আমাদের আদেশ করলেন। আমি এর পিঠের আবরণ এবং চামড়াগুলোও বিতরণ করে দিলাম। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ১৬০৮) |