![]() নাসুমের চড়কাণ্ড নিয়ে তামিমের দিকে আঙ্গুল তুললেন সাকিব!
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() বাংলাদেশ দলে এক সময়ে তারা খুব ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন। দুজনে মিলে বিশ্ব ক্রিকেটে লাল সবুজের নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেন। দেশের দুই ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান–তামিম ইকবালের সেই ঘনিষ্টতা এখন আর নেই। এটা কমবেশি সবারই জানা। সেই সময় দলের অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা সাকিব আল হাসানের দাবি, সেই ঘটনা ফাঁস করতে উস্কানি দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। এদিকে তিন সদস্যের কমিটিকে তামিম বলেছেন, সাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু দেড় বছর কেটে গেলেও কোনো এক অজানা কারণে সেই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি ক্রিকেট বোর্ড। অবশেষে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এলো। বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে এই কমিটি গঠন করে নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ড। সেই ৩ সদস্যের কমিটিতে ছিলেন এনায়েত হোসেন সিরাজ, মাহবুব আনাম ও আকরাম খান। অনুসন্ধানে নেমে ৮ ক্রিকেটার, ২ নির্বাচক, একজন বোর্ড পরিচালক এবং কোচিং স্টাফ ও টিম ম্যানেজমেন্টের ৫ জনের সাক্ষাৎকার নেয় কমিটি। সেখানে আলোচিত অনেক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান তারা। কাহিনী এখানেই শেষ হয়নি। এরপর এই ঘটনা ফাঁস হয় গণমাধ্যমে। সেই সময় দলের অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা সাকিব আল হাসান কমিটির কাছে সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, নাসুমকে ফোন করে ঘটনা ফাঁসে প্ররোচনা দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও সেসময়ের ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। মূলত বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে সাকিব-তামিম দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। তামিমের অবসর, আবার অবসর ভেঙে ফিরে আসা, অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হওয়া, বিশ্বকাপ দলে না থাকা–আর এসব ঘটনার পর সাকিবের বিশ্বকাপে নেতৃত্ব পাওয়া সবকিছু নিয়ে ভীষণ অস্থির সময় কেটেছে দেশের ক্রিকেটে। তবে, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির কাছে তামিম পরে বলেছেন যে, সাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে নাকি বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। এদিকে শুক্রবার এ বিষয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন তামিম। যদিও তিনি ‘চড়কাণ্ড’ বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কিছু উল্লেখ করেননি। ফেসবুক পোস্টে তামিম লেখেন, 'আমি আপনাদের সঙ্গে কখনো হাত মেলাব না! যারা আমার পিছু নিয়েছেন, আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন আমাকে হাত করার জন্য, সেই মানুষগুলোকে বলছি, আমি কখনও আপনাদের সঙ্গে হাত মেলাব না।' 'আমি যদি কখনো ক্রিকেট প্রশাসনে আসি, সঠিক পথ ধরেই আসব এবং শুধুমাত্র ক্রিকেটের ভালোর জন্য আসব। প্রয়োজন হলে কখনো ক্রিকেট বোর্ডে আসব না, তবু আপনাদের সঙ্গে হাত মেলাব না।' নিজের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে তামিম এরপর বলেন, 'যারা আমার ভক্ত-সমর্থক ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনুসারী, তাদের জন্য বলছি, কোনো একজন ব্যক্তির নিজস্ব ধারণা আর তদন্ত রিপোর্টে অভিযুক্ত হওয়া, দুটির মধ্যে ব্যবধান আকাশ-পাতাল। একজন ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত ধারণার কথা বলেছেন তদন্ত কমিটিতে। সেটা তার ব্যাপার। সেই ব্যক্তি আগেও একটি টিভি চ্যানেলে আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন, নানা সময়ে নানা কিছু বলেছেন।' আত্মপক্ষ সমর্থন করে তামিম বলেন, 'আমি কখনো প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করিনি। শুধু এটুকু বলছি, তদন্ত কমিটির রিপোর্টে কোনো অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়নি এবং তথ্য ফাঁস করা সংক্রান্ত কোনো কিছু তারা আমাকে জিজ্ঞাসাও করেননি। আমি তো তখন দলেই ছিলাম না! তদন্ত কমিটির কাছেও একইরকম মনে হলে নিশ্চয়ই তারা একবার হলেও সেই প্রসঙ্গ তুলতেন বা আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন!' শেষে তামিম যোগ করেন, 'কোনো এক ব্যক্তির নিজস্ব ধারণা আর তদন্ত কমিটির অভিযোগের মধ্যে যে বিশাল ব্যবধান আছে, আশা করি সবাই বুঝতে পারবেন। এই ব্যাপারটিকে যারা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছেন অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে, তাদেরকে আবারো বলছি, আমাকে কোনোভাবেই আপনাদের কাতারে পাবেন না। আমি হাত মেলাব না।' |