![]() গ্যাংস্টারদের দিয়ে ফিলিস্তিনিদের দমন, নেতানিয়াহুর স্বীকারোক্তি
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() বৃহস্পতিবার (৫ জুন) এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পরামর্শে গাজার ভেতরে হামাসের বিরুদ্ধে আমরা কিছু স্থানীয় গোত্র ও পরিবারের সদস্যদের সক্রিয় করেছি। তবে তিনি স্বীকার করেননি যে এদের অনেকেই সশস্ত্র গ্যাং এবং ত্রাণবাহী ট্রাক লুটের সঙ্গে জড়িত। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ এবং টাইমস অব ইসরায়েলের পৃথক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একটি ইসলামিক স্টেট (আইএস)-ঘনিষ্ঠ সশস্ত্র চক্রও রয়েছে, যাদের ইসরায়েল সরাসরি অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে। গোষ্ঠীটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন দক্ষিণ গাজার এক প্রভাবশালী গোত্রের সদস্য ইয়াসের আবু শাবাব। টাইমস অব ইসরায়েলের সামরিক সূত্র জানিয়েছে, এই গ্যাংকে ইসরায়েল যেসব অস্ত্র সরবরাহ করেছে, তার মধ্যে হামাসের কাছ থেকে জব্দ করা অস্ত্রও রয়েছে। গোষ্ঠীটি বর্তমানে রাফাহ অঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। হামাস সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায় এই গ্যাং সদস্যদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে তারা। বিষয়টি সামনে আসতেই সমালোচনার মুখে পড়েছে নেতানিয়াহুর প্রশাসন। সাবেক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা অ্যাভিগডর লিবারম্যান বলেন, যেভাবে একসময় পিএলও-কে ঠেকাতে হামাসকে অর্থায়ন করেছিল ইসরায়েল, এখন ঠিক একইভাবে হামাসকে মোকাবিলায় আরেকটি সশস্ত্র বাহিনী তৈরি করছে নেতানিয়াহু সরকার। নেতানিয়াহুর এই স্বীকারোক্তির দিনেই ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় আরও অন্তত ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এই নতুন কৌশল শুধু সংঘাতই বাড়াবে, শান্তি নয়। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরায়েলের এই পদক্ষেপ ফিলিস্তিনি সমাজে গৃহযুদ্ধ উসকে দিতে পারে এবং মানবিক সংকটকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। |