![]() নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে দুদু
আপনি যদি ডেট দিতে না পারেন, আমরাই দিয়ে দেবো
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেল ৩টায় খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হল মিলনায়তনে ‘গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় জিয়াউর রহমান’ শীর্ষক মহানগর বিএনপির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানান। শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আপনাদের যারা কর্মচারী-এখানের পুলিশ, প্রশাসন। যারা দেশের মানুষের অর্থে চলেন আর সেখানে আপনি যদি নববধূর মতো আচরণ করেন, তাহলে আমরা কী করবো। আমাদের তো একটা ডেট দরকার। দরকার না? এখন পাত্রী আমরা দেখতে গেছি, পছন্দ হইছে। একটা দিন বলতে হবে না। দিন না বললে তো আমরা কাউকে দাওয়াত দিতে পারবো না। দিন বলবেন না দাওয়াত দিয়ে কী হবে। তারেক রহমান চূড়ান্ত কথা বলেননি। যখন চূড়ান্ত কথা বলবেন, সারা দেশ স্থবির হয়ে যাবে, সেদিন বুঝবেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, যদি বিএনপি ১৭ বছর আন্দোলনে না থাকতো। এক মাসের আন্দোলনে হাসিনার পতন হতো না। আমরা যে আন্দোলন নিয়ে গর্ব করি। সেই ২৪-এর আন্দোলনকে যারা ছোট করছে, শত শত না হাজার হাজার ছোট ভাই-বোনকে সহযোগিতার জন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান সেখানে পাঠিয়েছেন। বিএনপি বলেছে, আগামীতে যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যায়, আগামীতে আহত-নিহত পরিবারের দায়িত্ব নেবে বিএনপি। আপনারা ইতিহাস পড়েন। না হলে কীভাবে একমাসের অর্জন ছোট করছেন। শামসুজ্জামান দুদু বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নেতার নেতা উল্লেখ করে বলেন, তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে অপেক্ষমান জাতির প্রত্যাশাকে পূরণ করেছিলেন। তার রাষ্ট্রক্ষমতাকালীন সাড়ে তিন বছরে একটি নয়া পয়সারও দুর্নীতি নাই। আগামী দেড়শ বছরেও তার কোনো দুর্নীতি খুঁজে পাওয়া যাবে না। তিনি এমন রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন, যার মৃত্যুর পর একটি প্লট, ব্যাংক ব্যালেন্স বা সম্পদ ছিল না। তিনি জাতিকে ’বাংলাদেশি’ একাতাবদ্ধ করেছিলেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ড. ইউনূস সংস্কারের কথা বলছেন, আগে তো তার সংস্কার হওয়া উচিত। উচ্চ আদালতে ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানোর নির্দেশ দিলেও তিনি ও তার উপদেষ্টা তা হতে দেননি। হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করেছেন। পদত্যাগ নাটক করেছেন। হাসিনার মতো বিনিয়োগ সম্মেলনের নামে ৫ কোটি বিনিয়োগ করেছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ উচ্চারণ করেছেন। আর ড. ইউনূস সরাব আগে গ্রামীণ ব্যাংক, সবার আগে টাকা দেব না ছয় মাসের, সবার আগে বিদেশে লোক পাঠাবো-লাইন্সেস নেবো বলছেন। তিনি রাষ্ট্রের আমন্ত্রণে কোথাও যাননি, ব্যবসার কাজে গেছেন। সাম্য হত্যা, রাজশাহী ও চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা গুপ্ত সংগঠন চালিয়েছে উল্লেখ করে তিনি দ্রুত তাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তিনি বলেন, জামায়াত ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সেখানে তাদের স্ত্রীরা ভোট দিলে তা ধানের শীষে যাবে। তাই নারীসহ মানুষের অধিকার আদায়ে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবি, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, মহানগর সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন, বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোমরেজুল ইসলাম। বক্তব্য দেন সরকারি আযম খান কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী শেখ শামসাদ হোসেন আবিদ, চিকিৎসক হুমায়ারা মুসলিমা বাবলি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী ও মাসুদ পারভেজ বাবু। |