![]() শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদ গ্রেপ্তার
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() মঙ্গলবার (২৭ মে) ভোর পাঁচটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের কালীশংকরপুর এলাকায় সোনার বাংলা মসজিদের পাশে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সুব্রত বাইনকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০টি ম্যাগাজিন ও ৫৩ টি পিস্তল এ্যামোনেশন উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। বিকেল ৫টায় এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও আইএসপিআর জানায়। নব্বইয়ের দশকে ঢাকার অপরাধ জগতের আলোচিত নাম ছিল সুব্রত বাইন। তার নামে ৩০টিরও বেশি খুনের মামলা রয়েছে, যার প্রায় সবগুলোতেই এই সন্ত্রাসী সাজাপ্রাপ্ত, এছাড়াও অবৈধ অস্ত্র এবং চাঁদাবাজি সহ প্রায় ১০০ মামলার আসামীও তিনি। ২০০১ সালে পুরস্কার ঘোষিত এই শীর্ষ সন্ত্রাসী আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার রেড কর্নার নোটিশ প্রাপ্ত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র বলছে, প্রায় দেড় বছর আগে বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে তাকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। উদ্দেশ্য ছিল টার্গেটেড রাজনৈতিক গুপ্তহত্যার উদ্দেশ্যে ভিন্ন পরিচয়ে যুক্তরাজ্যে পাঠানোর, তৈরিও করা হচ্ছিলো সেভাবে। কিন্তু ৫ই আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী সময়ে তার আশ্রয়দাতারা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে যাওয়ার কারণে পেশাদার এই অপরাধী সাধারণ জনগণের সাথে মিশে যায়। বর্তমানে রাজধানী ঢাকাতেই বসবাস করছে সুব্রত বাইন। ২০০১ থেকে ভারতে সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থা আইবি'র ( ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো) ছত্রছায়ায় ছিলো সুব্রত। ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী তাকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে অবস্থান করা ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদি সংগঠন উলফা, নাগাল্যান্ড লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা সহ, মোস্তাকিম চাপ কাবাব এর মালিক মোস্তাকিমকে হত্যা করিয়েছে। বিশেষ সূত্রমতে, বর্তমানে ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কাজ করছে তিমোথি সুব্রত বাইন হিসেবে পরিচিত এই সন্ত্রাসী। আগষ্ট পরবর্তী সময়ে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মতিঝিলের ইখতিয়ার (মালিবাগ সানরাইজ হোটেলে ডিবি পুলিশ হত্যা মামলার আসামী) এর মাধ্যমে সুব্রত অস্ত্র ক্রয় করেছে। থানা থেকে লুট হওয়া প্রায় ১৭টি অস্ত্র বর্তমানে তার হাতে রয়েছে। সুব্রত তার ডান হাত আরেক পুরস্কার ঘোষিত সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ(বর্তমানে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদে অবস্থানরত) এর মাধ্যমে মতিঝিল গোপীবাগের একটি ক্রীড়া প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সুব্রত বাইন সুইডেন আসলামের সাথে দেখা করে কাওরান বাজার একসাথে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারেও সমঝোতা করেছে। এছাড়াও তাকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে হাসিনার অনুগত কিছু নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা পরোক্ষ মদদ দিচ্ছে বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। সুব্রত গত দুদিন আগে নেপালে পলাতক বিডিআর ম্যাসাকারের সহযোগী (পরে হাসিনা নিজে তার নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেয়ার ব্যবস্থা করে) হাজারীবাগের হারুন অর রশীদ লিটন ওরফে লেদার লিটন এবং যুবলীগের ক্যাসিনো সম্রাট (বর্তমানে কলকাতায় ও খালেদের (বর্তমানে মালেয়শিয়ায়) মাধ্যমে অস্ত্র কম মূল্যে কেনার সমঝোতা করেছে। বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে হাইভ্যালু টার্গেট এসাসিনেশনের পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে এই সন্ত্রাসী। |