আজ রবিবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ০১ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / ট্রাম্প-সালমান কথোপকথনে বিশ্ব কী বার্তা পেল
ট্রাম্প-সালমান কথোপকথনে বিশ্ব কী বার্তা পেল
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Monday, 26 May, 2025 at 9:19 PM
ট্রাম্প-সালমান কথোপকথনে বিশ্ব কী বার্তা পেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর গতানুগতিক বিষয়টিই যেন কোথায় হারিয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কখন কী বলবেন, কিভাবে বলবেন কিংবা তার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে-সেসব অনুমান করা অনেক বিশ্লেষকের কাছে রীতিমত অসম্ভব। নিজের মধ্যপ্রাচ্য সফরেও তিনি এ ধারা বজায় রেখেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটিই তার সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় সফর। নিজের স্বভাব অনুযায়ী এ সফরকালেও তিনি আলোচনার বিষয়ে ভিন্ন পথেই হেঁটেছেন। এর আগে পশ্চিমা নেতাদের মধ্যপ্রাচ্য সফরে মানবাধিকারের মতো বিষয় গুরুত্ব পেলেও কূটনৈতিক ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ট্রাম্প; আর মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতেও মানবাধিকারের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা এড়িয়ে গেছেন তিনি। এর পরও তার সফরকালে উচ্চ-প্রভাবশালী চুক্তির এক ধারা উন্মোচিত হয়, যা দুই জাতির স্বার্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সামঞ্জস্য প্রতিফলিত হয়। ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে ট্রাম্প জোরালো সমর্থন করেন। সৌদি আরবের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি তিনি জনসমক্ষে প্রশংসা করেন। ইরান, সিরিয়া এবং নিরাপত্তা সহযোগিতার মতো গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক বিষয়গুলোতে তার অকপট সমর্থন, ওয়াশিংটনের কৌশলগত গণনায় স্পষ্ট পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। এ সফরের ফল কেবল সৌদি আরবের মূল অগ্রাধিকারগুলোকেই প্রাধান্য দেয় না, বরং সেগুলোকে ছাড়িয়ে যায়। এতে সৌদি আরবের প্রভাব, বিনিয়োগ এবং কূটনৈতিক সম্পৃক্ততার বিষয়ে নতুন যুগের ইঙ্গিত দেয়। ট্রাম্প ক্রাউন প্রিন্সের প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন প্রকাশ করেছেন। সৌদি আরবের আঞ্চলিক নেতৃত্বের অনেক প্রশংসা করেছেন। প্রতিরক্ষা, বিনিয়োগ, ইরান, সিরিয়া এবং উপসাগরীয় নিরাপত্তার ব্যাপারে সৌদি আরবের অবস্থানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জোটবদ্ধতা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

ট্রাম্পের এই সফরের মাধ্যমে জ্বালানি, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, অবকাঠামো এবং উন্নত প্রযুক্তির মতো মার্কিন খাতে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের সৌদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপিত হয়েছে। পূর্ব নীতিগতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এ বিনিয়োগগুলো এখন কার্যকর করা হচ্ছে। এতে সৌদি ভিশন-২০৩০ এর বৈচিত্র্যকরণ লক্ষ্যগুলো এবং অর্থনৈতিক-নির্ভরতা শক্তিশালী হয়। মার্কিন সংস্থাগুলোর মূলধন প্রবাহ, শিল্প অংশীদারত্ব এবং যৌথ উদ্ভাবনী উদ্যোগ অনেক বাড়বে। ট্রাম্পের সফরের সময় অনুষ্ঠিত সৌদি-মার্কিন বিনিয়োগ ফোরামে ইলন মাস্ক, জেনসেন হুয়াং এবং ল্যারি ফিঙ্কসহ আমেরিকান সিইওদের উপস্থিতি সৌদি আরবের অর্থনৈতিক গতিপথের প্রতি বেসরকারি খাতের ক্রমবর্ধমান আস্থাকে তুলে ধরে। জ্বালানি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ক্লাউড কম্পিউটিং, লজিস্টিকস এবং উন্নত উৎপাদনের মতো বিষয়গুলোর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা সৌদি উন্নয়ন পরিকল্পনায় আমেরিকান প্রযুক্তিগত নেতৃত্ব অনেক গুরুত্ব পেয়েছে।প্রতিরক্ষা বিষয়ে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি পুনর্গঠিত কৌশলগত এজেন্ডার কেন্দ্রবিন্দু। এটি সৌদি আরবকে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা, মানুষবিহীন বিমানব্যবস্থা, সাইবার নিরাপত্তা এবং স্থানীয় অস্ত্র উৎপাদনে উন্নত ক্ষমতা প্রদান করে। এটি সৌদি আরবের প্রতিরোধমূলক অবস্থান এবং অপারেশনাল প্রস্তুতি বৃদ্ধি করেছে। বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক হুমকি এবং অস্থিতিশীলতার জন্য এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ চুক্তি উপসাগরীয় নিরাপত্তার নোঙর হিসেবে সৌদি আরবের ভূমিকার প্রতি আমেরিকানদের নতুন আস্থার ইঙ্গিত বহন করে। মার্কিন সামরিক সহযোগিতা, গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া এবং উপসাগরীয় মিত্রদের সুরক্ষার জন্য প্রস্তুতির বিষয়ে ট্রাম্পের স্পষ্ট পুনর্ব্যক্তকরণ করে।

ফলে পূর্ববর্তী মার্কিন প্রশাসনের সময় ভেঙে পড়া আস্থা পুনরুদ্ধার হওয়ার পথে। এ সফর ইরানের ব্যাপারেও ঐক্য নিশ্চিত করেছে। ট্রাম্প সৌদি আরবের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তেহরানের সামনে দুটি বিকল্প পথ রয়েছে: আচরণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে পুনঃএকত্রীকরণ অথবা বিচ্ছিন্নতা থাকা। মার্কিন-উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ শীর্ষ সম্মেলনে তার বক্তব্য সৌদি নেতৃত্বের সংস্কার এবং ইরানের দুঃসাহসিকতার মধ্যে বৈপরীত্যের ওপর বেশি জোর দেয়, যা কৌশলগত ঐক্যের স্পষ্ট ইঙ্গিত বলে বোঝা যায়।ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং তার আঞ্চলিক প্রতিনিধিদের ওপর চাপ প্রয়োগে যুক্তরাষ্ট্র সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছে। এদিকে সৌদি আরব একটি সুনির্দিষ্ট নীতি বজায় রেখেছে যা কূটনৈতিক চ্যানেলগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে। এর মধ্যে রয়েছে চীনের অতিরিক্ত তোষামোদি এবং মার্কিন প্রতিরক্ষা সম্পর্কের মধ্যে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ মূলক কাঠামো স্থাপন করা। শীর্ষ সম্মেলনের বার্তায় পুনর্নির্মিত উপসাগরীয় নিরাপত্তা কাঠামোর উত্থান তুলে ধরা হয়েছে যেখানে সৌদি আরবের ইচ্ছা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন রয়েছে। উল্লেখযোগ্য দিক হলো সিরিয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভিঙ্গির পরিবর্তন। রিয়াদে সৌদি আরবের নতুন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সঙ্গে ট্রাম্পের অনানুষ্ঠানিক বৈঠক যা যুবরাজের সহায়তায় হয়েছিল। এটি ছিল আরব-নেতৃত্বাধীন স্বাভাবিকীকরণ প্রচেষ্টার প্রতীক। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং সিরিয়ার উত্তরণের বিষয়টি আঞ্চলিক নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করে। ওয়াশিংটন সংঘাত-পরবর্তী কূটনীতিতে রিয়াদের কেন্দ্রীয় ভূমিকাকে পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিয়েছে।পুনর্গঠন, স্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যায়ক্রমে পুনঃএকত্রীকরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে সিরিয়ার বিষয়ে আরব লীগের ঐকমত্য গঠন করেছে সৌদি আরব।

এর ফলে অভ্যন্তরীণ আরব ঐকমত্য এবং বিশ্বব্যাপী ভারসাম্য বজায় রাখতে কূটনৈতিক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে সৌদি আরবের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে তুলে ধরা হয়েছে।ফিলিস্তিন ইস্যুতে ট্রাম্প শান্তির দিকে অগ্রগতিকে উৎসাহিত করছেন। কিন্তু ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাভাবিকীকরণ করা বা উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলোর বৃহত্তর কৌশলগত সম্পর্কের ওপর নির্ভর করা এড়িয়ে গেছেন তিনি। পরিবর্তে, তিনি জানিয়ে দিয়েছেন স্বাভাবিকীকরণ আঞ্চলিক পক্ষগুলোর মাধ্যমেই হওয়া উচিত তা সৌদি আরব বা সিরিয়া হোক তা তাদের পছন্দে হতে হবে। 
মার্কিন-জিসিসি শীর্ষ সম্মেলনে উপসাগরীয় নেতারা বিশেষ করে যুবরাজ ২০০২ সালে আরব শান্তি উদ্যোগে ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘাতের দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। মধ্যপ্রাচ্য শান্তি মীমাংসার বৃহত্তর ইস্যুতে ট্রাম্পের অস্পষ্টতা রিয়াদকে মূল্যবান কৌশলগত স্বাধীনতা দিয়ে রেখেছে। এটি আরব শান্তি উদ্যোগে ফিলিস্তিনদের অধিকারের বিষয়ে তার নীতিগত অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করার সুযোগ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে চূড়ান্ত অবস্থা আলোচনার জন্য বাইরের সংযোগ থেকে মুক্ত হয়ে নিজস্ব গতিতে স্বাভাবিকীকরণ করার চেষ্টা সম্মতি পায়। এ পদ্ধতি কেবল সৌদি কূটনৈতিক নমনীয়তাকেই শক্তিশালী করে না বরং আঞ্চলিক শান্তি প্রচেষ্টায় এটিকে বিশ্বাসযোগ্য এবং স্বায়ত্তশাসিত নেতা হিসেবেও অবস্থান করে দেয়।ফলে দেখা যায়, বৃহত্তর নীতি পুনর্বিন্যাসের ইঙ্গিত দেয়। কারণ মার্কিন-সৌদি সম্পর্ক বিশেষ করে জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্কের বাইরে বিনিয়োগ, আঞ্চলিক কূটনীতি এবং নিরাপত্তা সমন্বয়কে অন্তর্ভুক্ত করে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারত্ব বিকশিত হয়। সৌদি আরব এখন অনেক আঞ্চলিক উদ্যোগে নেতৃত্ব দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে একজন সহায়ক ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে পুনঃস্থাপন করছে।

ঐতিহাসিকভাবে সৌদি-যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারত্ব শীতল যুদ্ধের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, তেলের ঝুঁকি, সন্ত্রাসবাদ এবং কূটনৈতিক টানাপোড়েনকে প্রতিহত করেছে। যেমনটি তার প্রথম মেয়াদে হয়েছিল। দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্পের রিয়াদে প্রত্যাবর্তন এ জোটের স্থায়িত্বকে বাড়িয়ে তুলেছে। মধ্যপ্রাচ্য নীতি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী বিচ্ছিন্নতার সংশোধনও হয়েছে। সৌদি আরবের ভিশন-২০৩০, দেশের সামাজিক সংস্কার এবং আঞ্চলিক সম্পৃক্ততায় তার দ্ব্যর্থ সমর্থন তেল-নির্ভর রক্ষণশীলতা থেকে গতিশীল অবস্থা ফিরে পায়। হোয়াইট হাউসের সৌদি আরবের নেতৃত্বের প্রতি স্বীকৃতি এক ধরনের বড় বার্তা দেয়। আত্মবিশ্বাসী সৌদি আরব আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রিয়াদের পররাষ্ট্রনীতি ক্রমশ ভারসাম্য ও বৈচিত্র্যের ওপর জোর দিচ্ছে। সৌদি আরব চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে। ভারতের সঙ্গে জ্বালানি ও বিনিয়োগ সম্পর্ক গভীর করেছে। ওপেক সমন্বয়ের বিষয়ে রাশিয়া ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে তার মূল অংশীদারত্বের ওপরও অটল অবস্থায় রয়েছে।এই কৌশলগত বহুত্ববাদ মার্কিন নেতৃত্বের প্রত্যাখ্যান নয় বরং সৌদি আরবের উদীয়মান সংস্থার প্রতিফলন। ট্রাম্পের এই নমনীয় পদ্ধতিকে হুমকি হিসেবে দেখার পরিবর্তে গ্রহণ করা এবং বহুমেরু বিশ্বে জোট ব্যবস্থাপনার একটি বাস্তবসম্মত পুনঃসংজ্ঞাকে তুলে ধরেছে। যদিও তেলের মূল্য নির্ধারণ ও মুদ্রাপ্রবাহ অনেক পার্থক্য রয়ে গেছে। তার পরও সহযোগিতার নতুন কাঠামোর মধ্যে এগুলো পরিচালনা যোগ্য। এখন দুই দেশ আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, সন্ত্রাসবাদ দমন, সাইবার সহযোগিতা এবং দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক পরিকনল্পনা নিশ্চিত করতে যৌথ নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মার্কিন অবকাঠামো ও প্রযুক্তিতে সৌদি আরবের বিনিয়োগ আমেরিকান কর্মী ও শিল্পের জন্য বাস্তবসম্মত সুবিধা প্রদান করবে।

অন্যদিকে আমেরিকানদের জ্ঞান ও প্রযুক্তি সৌদি আরবের তেল অর্থনীতির রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করবে।ভবিষ্যতের দিকে তাকালে, রিয়াদ ওয়াশিংটনের কাছ থেকে কৌশলগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক ধারাবাহিকতা আশা করে। বিনিময়ে, তারা মূলধন, আঞ্চলিক নেতৃত্ব এবং নিরাপত্তা ও উদ্ভাবনের জন্য যৌথ প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে।যদি এই গতিপথ বজায় থাকে, তাহলে ট্রাম্পের সফরকে উজ্জ্বল মুহূর্ত হিসেবে স্মরণ করা হবে। তবে গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ১৯ মাসের অভিযানে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় শুধু বহিষ্কার নয়, ইসরাইলকে দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার দিকেও ইঙ্গিত করেছেন অনেকে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, তারা যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই মুহূর্তে অন্য কোনো দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সমালোচনা করলে তা হাস্যকর শোনায়। যুক্তরাষ্ট্রের এখন অন্য দেশকে তিরস্কার করার মতো নৈতিক অবস্থান, আইনি ভিত্তি বা বিশ্বাসযোগ্যতা-কোনোটিই নেই। বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সফরে মানবাধিকার বিষয়ে যতটা গুরুত্বের সাথে আলোচনা হওয়া উচিৎ, ট্রাম্পের সফরকালে বিষয়টি সেভাবে মনোযোগ পায়নি। তার পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সৌদি আরব সফর সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের এক নির্ণায়ক ও কৌশলগত রূপান্তরের সূচনা করেছে যা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি ফলাফল এনেছে।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
শক্তিশালী ইন্দোনেশিয়াকে রুখে দিলো বাংলাদেশ
শক্তিশালী ইন্দোনেশিয়াকে রুখে দিলো বাংলাদেশ
প্রথমবারের মতো  শক্তিশালী ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে দারুণ খেলেছে বাংলাদেশ। চোখে চোখে রেখে লড়েছেন বাংলাদেশ নারী দলের ফুটবলাররা। শেষ দিকে ভাগ্যকেও পাশে ...
কুষ্টিয়ায় ‘পোড়া থানা’র কার্যক্রম উদ্বোধনে বিএনপি-এনসিপির হট্টগোল
কুষ্টিয়ায় ‘পোড়া থানা’র কার্যক্রম উদ্বোধনে বিএনপি-এনসিপির হট্টগোল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যে পুড়িয়ে দেয়া কুষ্টিয়া মডেল থানার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার আয়োজনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের ...
অভিনয়ে মৌসুমী, সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
অভিনয়ে মৌসুমী, সামাজিক মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় নায়িকা মৌসুমীকে অনেক দিন ধরেই পর্দায় দেখা যায় না। এর মধ্যে তাঁর চিত্রনায়ক স্বামী ওমর সানী জানান, ...
ট্রেনে ঈদযাত্রার প্রথম দিনে ঢাকায় শাস্তি পেলেন বিনা টিকিটের ৩৭ জন
ট্রেনে ঈদযাত্রার প্রথম দিনে ঢাকায় শাস্তি পেলেন বিনা টিকিটের ৩৭ জন
ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ট্রেনে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছে। ট্রেন যাত্রার প্রথম দিন শনিবার (৩১ মে) যাত্রীদের নির্বিঘ্ন ভ্রমণ নিশ্চিত ...
৫ আগস্টের পর শ ম রেজাউলকে অপহরণ করতে চেয়েছিলেন ছাত্রলীগ নেতা!
৫ আগস্টের পর শ ম রেজাউলকে অপহরণ করতে চেয়েছিলেন ছাত্রলীগ নেতা!
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপি ও নেতাদের অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কারা কীভাবে ...
গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট বৃষ্টি
গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট বৃষ্টি
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে বেশ কিছু রকেট ছোড়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। রোববার (১ জুন) ...
ঐক্য নেই বরিশাল বিএনপিতে : সরোয়ার
ঐক্য নেই বরিশাল বিএনপিতে : সরোয়ার
বরিশাল বিএনপিতে গ্রুপিং দীর্ঘদিনের। এ গ্রুপিংয়ের কারণে ‘কেন্দ্রীয় থেকে জাতীয়’ সব কর্মসূচি পালন হচ্ছে পাল্টাপাল্টি এবং বিচ্ছিন্নভাবে। বিশেষ করে ২০২৪-এর ...
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী দুই নেতাকে সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ, ছুটে এলেন সারজিস
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী দুই নেতাকে সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদ, ছুটে এলেন সারজিস
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের রংপুরের বাড়িতে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি ও জেলা ...
গণপিটুনি, ৯ মাসে নিহত ১৬৩
গণপিটুনি, ৯ মাসে নিহত ১৬৩
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে গণপিটুনি দিয়ে হত্যাকাণ্ড কীভাবে বেড়েছে তা উঠে এসেছে মানবাধিকার সংস্থা আইন সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক পরিসংখ্যানে। সংস্থাটির ...
১০
আকার কমছে, বাজেটে বড় সংস্কার নেই
আকার কমছে, বাজেটে বড় সংস্কার নেই
দেশের অর্থনীতি নানা চাপের মুখে। এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়েও ছোট করে এনেছে বলে ...
 
আত্রাইয়ে প্রকৃতিতে শোভা ছড়াচ্ছে সোনালু ফুল
আত্রাইয়ে প্রকৃতিতে শোভা ছড়াচ্ছে সোনালু ফুল
উত্তর জনপদের শষ্যভান্ডার খ্যাত সবুজ অরণ্যে ঘেরা নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার পথে-প্রান্তরে গ্রীষ্মের রুক্ষ প্রকৃতিতে শোভা ছড়াচ্ছে সোনালু ফুল। কালের ...
টাঙ্গাইলে শহীদ জিয়ার ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
টাঙ্গাইলে শহীদ জিয়ার ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
টাঙ্গাইলে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার(৩০ মে) সকালে জেলা বিএনপির উদ্যোগে প্রেসক্লাবের ...
ঢাকার অনেক সড়কে পানি, মাঝরাতেও যানজটে ভোগান্তি
ঢাকার অনেক সড়কে পানি, মাঝরাতেও যানজটে ভোগান্তি
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আজ দেশজুড়ে বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় সারাদিনের বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে অধিকাংশ সড়ক। এতে যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচল ...
সাগরে নিম্নচাপটি কোন বন্দর থেকে কত দূরে
সাগরে নিম্নচাপটি কোন বন্দর থেকে কত দূরে
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে নিম্নচাপটি মোংলা সমুদ্রবন্দর ...
আমাদের শান্তিরক্ষীরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত: সেনাপ্রধান
আমাদের শান্তিরক্ষীরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বদা প্রস্তুত: সেনাপ্রধান
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী ...
এক লাখ শ্রমিক নেওয়ার পরিকল্পনা জাপানের : প্রেস সচিব
এক লাখ শ্রমিক নেওয়ার পরিকল্পনা জাপানের : প্রেস সচিব
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বড় পরিসরে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে জাপান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য ...
নেতানিয়াহুকে ইরানে হামলা করতে না করেছি : ট্রাম্প
নেতানিয়াহুকে ইরানে হামলা করতে না করেছি : ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ইরানে সামরিক হামলা না চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন। চলমান পরমাণু আলোচনা ...
সবজির বাজার এখনও চড়া, দাম কমেছে মুরগির  
সবজির বাজার এখনও চড়া, দাম কমেছে মুরগির  
বৃষ্টির অজুহাতে সরবরাহ ভালো থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের চেয়ে সব ধরনের সবজি কেজিতে ১০ ...
উপকূল অতিক্রম করেছে গভীর নিম্নচাপ, অমাবস্যায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
উপকূল অতিক্রম করেছে গভীর নিম্নচাপ, অমাবস্যায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়েছে। এর ফলে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে প্রবল দমকা হাওয়া ...
১০
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে বিএনপিকে কেন দোষারোপ করলেন তা বোধগম্য নয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে বিএনপিকে কেন দোষারোপ করলেন তা বোধগম্য নয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচন নিয়ে বিএনপিকে কেন দোষারোপ করলেন তা বোধগম্য নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র স্থায়ী ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com