![]() শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া বিএনপির উদ্যোগে পালিত
নতুন বার্তা, মেলবোর্ন,:
|
![]() এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি জনাব আরিফ খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম সম্পাদক জনাব ওমর শরীফ শিহান এবং ভিক্টোরিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জনাব আব্দুল রব। দোয়া পরিচালনা করেন বিএনপি নেতা হাফেজ মাহমুদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা, বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুস সালাম বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং সাহসী রাষ্ট্রনায়ক। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশবিরোধী একটি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তিনি শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর কমান্ডার ও ‘জেড ফোর্স’-এর প্রধান হিসেবে তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।” বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সভাপতি এ.এফ.এম. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, “জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন ধর্মভীরু মুসলমান। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশের সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ অন্তর্ভুক্ত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে পুনর্গঠন, মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক ইসলামিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদার এবং ওআইসি সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রের ধর্মীয় মূল্যবোধ সমুন্নত রাখেন।” বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হায়দার আলী বলেন, “বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি শহীদ জিয়ার রেখে যাওয়া আদর্শিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে। আজকের এই দিনে আমরা তার স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতে চাই— অনতিবিলম্বে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পুনর্গঠনই হবে শহীদ জিয়ার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা। অস্ট্রেলিয়াতে থেকেও আমাদের অঙ্গসংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও বিএনপি আরও শক্তিশালী হবে ইনশাআল্লাহ।” বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ফেরদৌস অমি বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের রূপকার। তিনি খাল খনন, সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি বিপ্লব ও গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে একটি উৎপাদনমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা’ অর্জনের যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, তা আজও জাতির জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। জিয়াউর রহমান কেবল একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের স্থপতি।” সভাপতির বক্তব্যে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি জনাব আরিফ খান বলেন, “জিয়াউর রহমান শুধু একজন রাষ্ট্রনায়কই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন আদর্শবাদী পথপ্রদর্শক। তার নীতিনিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা আজও আমাদের পথ দেখায়।” উক্ত অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ভিক্টোরিয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জালাল (কুমু) আহমেদ, অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি ড. মো. শাহাব উদ্দিন, নিউজিল্যান্ড বিএনপির সহ-সভাপতি সাঈদ আহমেদ, অস্ট্রেলিয়া যুবদলের আহ্বায়ক মো: জাহাঙ্গীর আলম, ভিক্টোরিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রহমত-উল-ইসলাম, সাবেক সচিব ড. এ.কে.এম. জাহাঙ্গীর, ভিক্টোরিয়ার স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. তেলাল খান, রাশেদুল আমিন (মনির), রাশেদ সরকার, আব্দুল জলিল, মিলন খন্দকার, এবং ভিক্টোরিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান হোসেন এলেন। আলোচনায় বক্তারা শহীদ জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন, আদর্শ ও দেশের জন্য তার অবদানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরাও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। |