![]() অস্ট্রেলিয়ায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত
নতুন বার্তা, অস্ট্রেলিয়া:
|
![]() উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সভাপতি এ.এফ.এম. তাওহীদুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হায়দার আলী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ শফিউল আলম শফিক। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মো: ইলিয়াস। প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, “শহীদ জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম। বাংলাদেশের জন্মের সাথে জড়িয়ে থাকা অবিচ্ছেদ্য নাম, জিয়াউর রহমান। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষক নন, বরং জাতীয়তাবাদের রূপকার এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপনকারী। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আজকের দিনে আমরা তার আত্মত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।” বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক মো: আজিজুল বারী হেলাল বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির ক্রান্তিলগ্নে রাজনৈতিক নেতারা যখন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিলেন, তরুণ মেজর জিয়া জোড়ালো কন্ঠে ঘোষণা করেছিলেন "ইউ রিভল্ট"। তিনি নিজের, স্ত্রী, এবং দুই শিশুপূত্রের জীবনের কথা চিন্তা না করে এবং যুদ্ধ ব্যর্থ হলে সবার নিশ্চিত মৃত্যু জেনে শুনে চট্রগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে ঘোষণা দেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক মো: রাশেদুল হক বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এবং সাহসী রাষ্ট্রনায়ক। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দেশবিরোধী একটি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে তিনি শহীদ হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর কমান্ডার ও ‘জেড ফোর্স’-এর প্রধান হিসেবে তার নেতৃত্ব বাংলাদেশের ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।” অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হায়দার আলী বলেন, “৩০ মে ১৯৮১ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক দিন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় জিয়াউর রহমানকে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আজকের এই দিনে আমরা তার স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলতে চাই— অনতিবিলম্বে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের পুনর্গঠনই হবে শহীদ জিয়ার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।” স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ফেরদৌস অমি বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের রূপকার। তিনি খাল খনন, সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি বিপ্লব ও গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে একটি উৎপাদনমুখী রাষ্ট্রে পরিণত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। ‘খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা’ অর্জনের যে স্বপ্ন তিনি দেখেছিলেন, তা আজও জাতির জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। জিয়াউর রহমান কেবল একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের স্থপতি।” সভাপতির বক্তব্যে অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সভাপতি এ.এফ.এম. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, “জিয়াউর রহমান ছিলেন এক দূরদর্শী ও সাহসী রাষ্ট্রনায়ক। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আত্মমর্যাদাশীল একটি জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ মানুষ। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ অন্তর্ভুক্ত হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে পুনর্গঠন, মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক ইসলামিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদার এবং ওআইসি সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রের ধর্মীয় মূল্যবোধ সমুন্নত রাখেন। মৃতুর আগের দিন রাতেও তিনি নামাজ এবং কুরআন তেলোয়াত করার পরে ঘুমিয়েছিলেন। ঘুমানোর পূর্বে ম্যাডাম জিয়াকে বলেছিলেন কালকে দেখা হবে, কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেটাই ছিলো তাদের শেষ কথা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সহ-সভাপতি সরোয়ার কামাল চৌধুরী, শাহ আলম, মোমোবারক হোসেন, ড. শাহাবুদ্দীন আহমদ, সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক ইলিয়াস কাঞ্চন শাহীন, যুগ্ন সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত সবুজ, মো: কামরুজ্জামান, বুয়েট ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারি মশিউর রহমান মুন্না, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদিকা হাসনা হেনা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো:জাহিদুর রহমান, যুগ্ন আহবায়ক মুরাদ হোসেন, যুবদলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন খান, যুগ্ন আহবায়ক শরিফুল ইসলাম শিবলী। উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলে অস্ট্রেলিয়া বিএনপি সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক গোলাম ফারুকী নাদিম, আসওয়াদুল হক বাবু, যুবদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মশিউর রহমান তুহিন, অস্ট্রেলিয়া বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান লাবু, প্রচার সম্পাদক জুম্মন হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আবিদা সুলতানা, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আজিম, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আল-মাসুদ পারভেজ, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মজিবুর রহমান, বিএনপির সহ-কোষাধ্যক্ষ খাজা দাউদ হোসেন, সহ-দপ্তর সম্পাদক রেজানুর রহমান রুপন, মো: বাদশা বুলবুল, ছাত্র-বিষয়ক সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক মফিজুল ইসলাম সাগর, স্বেচ্ছাসেবল দলের যুগ্ন আহবায়ক মো: আলী, নিউ সাউথ ওয়েলস সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ফারদিন দোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। |