![]() অ্যামনেস্টির মহাসচিব
‘গাজায় বর্বরতার মধ্যেই মুখোশ খুলে গেছে পশ্চিমাদের’
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() শনিবার (৩১ মে) এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের জবাবে বলেন, সত্যি? বিশ্বাসযোগ্যতা তো ১৯ মাস আগেই হারিয়েছে— ইসরায়েলের গণহত্যায় পশ্চিমা বিশ্বের মদদ ও নিষ্ক্রিয়তার কারণেই। খবর আল জাজিরা। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ সম্প্রতি বলেছিলেন, ইউক্রেন ও গাজার যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে পারে। ক্যালামার্ডের মতে, এ বক্তব্য অতিমাত্রায় বিলম্বিত ও বাস্তবতা বিচ্যুত। তিনি আরও বলেন, এখন কেবল কথায় কিছু হবে না— পশ্চিমার বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে দরকার কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ। অ্যাগনেস ক্যালামার্ড পশ্চিমা বিশ্বের কাছে ছয়টি সুস্পষ্ট ও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন, যা তাদের নৈতিক অবস্থান পুনরুদ্ধারে সহায়ক হতে পারে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া এবং সেখানে সকল প্রকার অস্ত্র সরবরাহ—পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ—সম্পূর্ণ বন্ধ করা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইসরায়েল বাণিজ্য ও সহযোগিতা চুক্তি বাতিল করা। এছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন, যার মধ্যে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও বিনিয়োগ প্রত্যাহার। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাগুলো কার্যকর করা। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের—তাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলেও—জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের আওতায় আনা। হামাসের হাতে আটক ব্যক্তিদের পাশাপাশি ইসরায়েলের বেআইনিভাবে আটক রাখা সকল ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া। প্রসঙ্গত, গত বছর জাতিসংঘ-সমর্থিত আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক যুদ্ধমন্ত্রী ইয়াওভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ওই বছরের মে মাসে আইসিসি’র প্রধান কৌঁসুলি করিম খান এসব পরোয়ানার আবেদন করেছিলেন। উল্লেখ্য, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, চলমান ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৪ হাজার ৩৮১ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৪ জন আহত হয়েছেন। পুরো উপত্যকায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। খাবার, পানি ও চিকিৎসা সেবার তীব্র সংকটের কারণে হাজারো মানুষ প্রতিদিনই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এই প্রেক্ষাপটেই অ্যামনেস্টির মহাসচিব বলেছেন, এই নিস্তব্ধতা, পক্ষপাত ও দ্বিমুখী নীতিই প্রমাণ করেছে— গাজায় বর্বরতার মধ্যেই পশ্চিমা মুখোশ খুলে গেছে। |