আজ শুক্রবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ০৬ জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
 / বিশেষ / শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: বিএমইউ’র চিকিৎসকসহ ৩৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত
সরাসরি সহিংসতায় জড়িত ১৯ জন চিকিৎসক, দীর্ঘ হবে চাকরিচ্যুতির তালিকা, চলছে তদন্ত
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: বিএমইউ’র চিকিৎসকসহ ৩৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্ত
দোষী যে হোক, ছাড় নয়: বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
নতুন বার্তা, ঢাকা:
Published : Sunday, 1 June, 2025 at 8:54 PM
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা: বিএমইউ’র চিকিৎসকসহ ৩৪ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুতির সিদ্ধান্তবৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ৩৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সিন্ডিকেট সূত্র বলছে, গত বছরের ৪ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর নৃশংস হামলা, বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের সামনে এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার সুস্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএমইউ)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাকরিচ্যুতদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) বেশ কয়েকজন নেতাসহ আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা রয়েছেন। এসব শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চার ধরনের অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে কেবিন ব্লকের সামনে একজন ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ১৫ জন, ছাত্র-জনতার সঙ্গে মারামারিতে জড়িত ছিলেন প্রায় শতাধিক শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী। নেপথ্যে থেকে ওই ঘটনার নেতৃত্বদান ও পরিকল্পনাকারী ছিলেন ২৩ জন।

আন্দোলন মঞ্চ থেকে হাসপাতালে রণক্ষেত্র

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট। দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (তৎকালীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) এলাকায়। সেদিন দুপুরে কেবিন ব্লকের সামনে একদল চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে চড়াও হন আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর। উপস্থিত সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ভয়ংকর সব দৃশ্য। সেখানে দেখা যায়, এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে মাটিতে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ৩০টিরও বেশি গাড়ি-অ্যাম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভাঙচুর থেকে রক্ষা পায়নি প্রশাসনিক ভবন ও অফিস কক্ষ। এমনকি মূল্যবান যন্ত্রপাতি লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরে জানায়, সেদিনকার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের সামনে এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার সুস্পষ্ট ভিডিও প্রমাণ; ক্যাম্পাসে অগ্নিসংযোগ, মারামারি, ভাঙচুর ও লুটপাটে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
ওই ঘটনার ঠিক পরের সপ্তাহে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কয়েকজনকে সাময়িক বরখাস্ত করে। আর চলতি বছরের জানুয়ারিতে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পথ খুলে দেওয়া হয়।

১৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি, টানা ৩৬ সভায় চূড়ান্ত হয় ৩৪ জন

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় গঠিত ১৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি টানা ৩৬টি সভা করে চূড়ান্তভাবে ৩৪ জন চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশ’ এর ৮ (ক) (২) ধারা অনুযায়ী গঠিত কমিটির সভাপতি ছিলেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. কুদরত-এ-খুদা তালুকদার। তার সঙ্গে ছিলেন মেডিসিন, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি, অ্যানাটমি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা। ছিলেন ফ্যাকাল্টি অব মেডিকেল টেকনোলজি ও ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন অনুষদের ডিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের উপাচার্য প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এবং নাগরিক নিরাপত্তা, চিকিৎসা সহায়তা ও শৃঙ্খলা কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্যরা।
কমিটির সদস্যরা ওই সময়ের ভিডিও ফুটেজ, নিরাপত্তা প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ, প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের জবানবন্দি এবং অভিযুক্তদের লিখিত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছান। তদন্তে দেখা গেছে, অভিযুক্তদের একাংশ সরাসরি হামলায় অংশ নেয়, কেউ-বা নেপথ্যে থেকে নেতৃত্ব ও পরিকল্পনা দেয়, আবার কেউ নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা ধ্বংসে ভূমিকা রাখে।
এমনকি তদন্তের ভিত্তিতে কমিটি দুই দফায় শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা, হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৩৪ জন শিক্ষক, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ‘চূড়ান্তভাবে অপরাধ প্রমাণিত’ হয়েছে বলে সুপারিশ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও দক্ষতা অধ্যাদেশ অনুযায়ী, তাদের প্রত্যেককে চাকরি থেকে ‘পদচ্যুত’ বা ‘চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত’ করার প্রস্তাব করে কমিটি।
কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, হামলার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের সামনে এক শিক্ষার্থীকে ‘প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে’ যেভাবে নির্যাতন করা হয়, তার ভিডিও ফুটেজ ও সাক্ষ্য সুস্পষ্ট। ওই ঘটনায় ‘ক’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত ১৫ জন চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা সরাসরি অংশ নিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ৫ (ঘ), ৫ (ঝ) এবং ৫ (ট) ধারায় আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়, তাদের চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে পদচ্যুত করার সুপারিশ করেছে কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় সংখ্যক চিকিৎসক-কর্মকর্তার একযোগে চাকরিচ্যুতির সুপারিশ।
এছাড়া ‘খ’ ক্যাটাগরিতে থাকা ২৩ জনের মধ্যে ১৯ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগে অংশ নেওয়ার অকাট্য প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ভিডিও ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি রেকর্ড বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তিরা হামলার সময় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাদের ক্ষেত্রেও অধ্যাদেশের ৬ (ঠ) ধারা অনুযায়ী চাকরি থেকে পদচ্যুত করার সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেকর্ড অনুযায়ী, তাদের মধ্যে অনেকেই চিকিৎসক ও প্রশাসনিক পদে দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন।

চাকরিচ্যুত হচ্ছেন চিকিৎসকসহ যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী

তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী গত শনিবার (৩১ মে) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সিন্ডিকেট সভায় ৩৪ জনকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে ‘ক’ ক্যাটাগরিতে শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টায় সরাসরি জড়িতদের এবং ‘খ’ ক্যাটাগরিতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
‘ক’ ক্যাটাগরিতে অভিযুক্ত ১৫ জন হলেন- প্যালিয়েটিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবু তোরাব মীম, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগে মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ রিয়াদ সিদ্দিকী, পরিচালক (হাসপাতাল) অফিসের পেইন্টার নিতীশ রায় ও মো. সাইফুল ইসলাম, এমএলএসএস মেহেদী কাজী, সহকারী ড্রেসার মো. শহিদুল ইসলাম, সুইপার সন্দীপ দাস, রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের অফিস সহকারী উজ্জ্বল মোল্ল্যা, পরিবহন শাখার ড্রাইভার সুজন বিশ্ব শর্মা, ওপিডি-১ এর এমএলএসএস ফকরুল ইসলাম জনি, ল্যাবরেটরি সার্ভিস সেন্টারের কাস্টমার কেয়ার অ্যাটেনডেন্ট রুবেল রানা, ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস শাহাদাত, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে সিনিয়র স্টাফ নার্স শবনম নূরানী, ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের এমএলএসএস মো. আনোয়ার হোসেন এবং কার্ডিওলজি বিভাগের এমএলএসএস মো. মুন্না আহমেদ।
‘খ’ ক্যাটাগরিতে অভিযুক্ত ১৯ জন হলেন- ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন, নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আহসান হাবিব, ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ, নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি দে, অনকোলজি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোহাম্মদ জাহান শামস্, সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. নূর-ই-এলাহী, অটোল্যারিংগোলজি- নাক কান গলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. হাসানুল হক, শিশু নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কে এম তারিকুল ইসলাম, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আশীষ কুমার সরকার, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল-মামুন, নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. শাহনেওয়াজ বারী, কার্ডিওলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. অমল কুমার ঘোষ, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ।
এছাড়া এ্যানেসথেসিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, জেনারেল সার্জারি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মাঈদুল হাসান, অর্থোপেডিক্স সার্জারি বিভাগের গবেষণা সহকারী/স্ব-বেতনে কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ তারিকুল মতিন, ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেশিয়াল সার্জারি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ওমর ফারুক এবং গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন।
তদন্ত প্রতিবেদনে ‘খ’ ক্যাটাগরি তালিকায় ২৩ জনের নাম আসলেও তাদের মধ্য থেকে চারজনের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করে পরবর্তীতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। তারা হলেন- অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. জিল্লুর রহমান ভূইয়া, নিউরোসার্জারি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মনোয়ার হোসেন, সহকারী পরিচালক ও উপ-পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. মো. বেলাল হোসেন সরকার এবং প্রন্থোডনটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবিদ।
তদন্ত কমিটি আরও বলেছে, অভিযুক্তরা শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালাই লঙ্ঘন করেননি বরং ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন। অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, শারীরিক নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার মতো ঘটনা বাংলাদেশ দণ্ডবিধির আওতাভুক্ত গুরুতর অপরাধ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের এবং তদন্তের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট তাদের প্রোফাইল, প্রমাণ ও তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করার সুপারিশ করেছে কমিটি।

নিজেদের পক্ষে প্রামাণ্য দলিল উপস্থাপন করতে পারেননি অভিযুক্তরা

তদন্ত কমিটি বলছে, তারা কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় নয় বরং কেবল প্রমাণের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। কমিটির একাধিক সদস্যের ভাষ্যমতে, অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য ছিল গতানুগতিক ও অসংলগ্ন এবং ঘটনাস্থল সম্পর্কিত কোনো সুনির্দিষ্ট বা কার্যকর প্রমাণ উপস্থাপন করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন। কমিটি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, সংশ্লিষ্টদের আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক বক্তব্য ছিল প্রমাণহীন ও দুর্বল। কেউই ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করতে পারেননি বা ঘটনার সময়ে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করার মতো গ্রহণযোগ্য তথ্য দিতে পারেননি।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের জবাব চাওয়া হলে তাদের মধ্যে ১৮ জন পেনড্রাইভ ও সিডিতে ভিডিও জমা দেন; যেগুলো তদন্তে ‘একই উৎস থেকে তৈরি, এডিটেড এবং ঘটনাস্থলের সাথে সরাসরি সম্পর্কহীন’ বলে চিহ্নিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তদন্ত কমিটি বলছে, একাধিক অভিযুক্ত একই ভিডিও কনটেন্ট আলাদা আলাদা হিসেবে জমা দিয়েছেন, যা ঘটনাটির প্রকৃত প্রেক্ষাপট বা দোষ নির্ধারণে কোনোভাবেই সহায়ক নয়। বরং এটি বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্রচেষ্টা হতে পারে। এমনকি কমিটি জানায়, তদন্তের সময় অভিযুক্তদের পাঠানো বিভাগীয় হাজিরা শিট, ছবি বা চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্রও পরীক্ষা করে দেখা হয়। এসব তথ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা ঘটনার দিন ক্যাম্পাসে ছিলেন— এ বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া যায়।
কমিটির এক সিনিয়র সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘একাধিকবার যাচাই-বাছাই ও প্রত্যক্ষ তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশ প্রস্তুত করেছি। গত জুলাই-আগস্টে দেশে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরাসরি সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে— এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার।’
তিনি বলেন, ‘মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় একটি সেবামূলক ও গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান। এখানে যারা আসেন, তাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানুষের সেবা, জ্ঞানচর্চা এবং মানবিকতা। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক পরিচয়ে কেউ কেউ রাজনৈতিক হিংসা ও দমন-পীড়নের অংশ হয়েছেন, এমনকি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হয় না। এ কারণে আমরা সুপারিশ তৈরির সময় বিশেষভাবে খেয়াল রেখেছি যেন ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউই দায়িত্ব-কর্তব্য ভুলে গিয়ে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হয়।’

আরও দীর্ঘ হবে চাকরিচ্যুতির তালিকা, চলছে তদন্ত কার্যক্রম

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ও সিন্ডিকেট সদস্য জানান, এখন পর্যন্ত দুই দফায় ৩৪ জন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এখানেই তদন্ত থেমে নেই। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ‘মূলত তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী ৩৮ জনের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তদন্তাধীন চারজনকে আপাতত তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তাদের বিষয়ে আরও যাচাই চলছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় দফার সিদ্ধান্তে যেসব চিকিৎসক চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাদের ভূমিকা ছিল অনেক বেশি উদ্বেগজনক।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘তদন্ত এখনও অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন নজর দিচ্ছে অন্যান্য সহায়ক কর্মী— যেমন নার্স, ওয়ার্ডবয়, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ও প্রশাসনিক কর্মচারীদের ভূমিকার দিকেও। হয়তো আগামী সিন্ডিকেট সভায় সেই তালিকাও আসবে। তখন তাদের বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
শিক্ষার্থীদের ওপর সহিংসতার প্রসঙ্গে এ সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, ‘হামলাটি ছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। আমরা দেখতে পেয়েছি, কিছু চিকিৎসক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে এতে জড়িত ছিলেন। এমন ঘটনায় শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নয়, পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর একটা কালো দাগ লেগেছে।’

তদন্ত কমিটি স্বচ্ছভাবে কাজ করেছে : উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত এবং তদন্ত প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম প্রথমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। বলেন, ‘এই মুহূর্তে কিছু বলতে চাই না।’ বিষয়টি নিয়ে বারবার অনুরোধ করা হলে তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিটি স্বচ্ছভাবে কাজ করেছে, কোনো রাজনৈতিক প্রভাব বা ব্যক্তিগত বিবেচনা এখানে কাজ করেনি। আমরা তদন্ত কমিটির সুপারিশ সিন্ডিকেটে আলোচনা করেছি এবং সেখানকার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রশাসনিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছি।’


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
 
প্রথমবার ভিসি নিয়োগে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে সরকার
প্রথমবার ভিসি নিয়োগে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে সরকার
পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যোগ্য উপাচার্য খুঁজে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। সে ঘোষণা অনুযায়ী বরিশাল ...
বাড়ল স্বর্ণের দাম
বাড়ল স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়ানোর কথা জানায়।শুক্রবার থেকে ...
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস মা ও শিশুর জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস মা ও শিশুর জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ
গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস মা ও গর্ভের শিশুর মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। গর্ভধারণের শেষ ৪-৮ সপ্তাহে শিশুর মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ যদি ...
কুলার থেকে ঠান্ডা বাতাস পেতে যা করবেন
কুলার থেকে ঠান্ডা বাতাস পেতে যা করবেন
গরমের তীব্রতা এখন ধীরে ধীরে বাড়ছে। সকাল থেকেই সূর্যের তীব্র রশ্মি জ্বালাপোড়া শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে সবার বাড়িতে এসি লাগানো ...
সাতক্ষীরায় বাইপাস সড়কে ৩০টি ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার, এলাকায় আতঙ্ক
সাতক্ষীরায় বাইপাস সড়কে ৩০টি ককটেল সদৃশ বস্তু উদ্ধার, এলাকায় আতঙ্ক
সাতক্ষীরা শহরের বাইপাস সড়কের মৌবন রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে ককটেল সদৃশ বোমা উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত ৯টার ...
কালুরঘাট সেতুতে ট্রেনের সঙ্গে কয়েকটি যানবাহনের সংঘর্ষ, নিহত ৩
কালুরঘাট সেতুতে ট্রেনের সঙ্গে কয়েকটি যানবাহনের সংঘর্ষ, নিহত ৩
চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় বেশ কয়েকটি যানবাহনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত হওয়ার খবর ...
বুলু ও দুদুকে বিএনপির সতর্কীকরণ নোটিশ
বুলু ও দুদুকে বিএনপির সতর্কীকরণ নোটিশ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু এবং শামসুজ্জামান দুদুকে অসংলগ্ন ও বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য সতর্কীকরণ নোটিশ দিয়েছে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার ...
গুমের ঘটনায় পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি ও সিটিটিসি’র ভূমিকা কী, উঠে এলো তদন্ত প্রতিবেদনে
গুমের ঘটনায় পুলিশ, র‌্যাব, ডিবি ও সিটিটিসি’র ভূমিকা কী, উঠে এলো তদন্ত প্রতিবেদনে
দেশে সংঘটিত বেশিরভাগ গুমের পেছনে পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি) এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ...
সোহাগ মৃধার ‘কালো মানিক’ গ্রহণ করেননি খালেদা জিয়া
সোহাগ মৃধার ‘কালো মানিক’ গ্রহণ করেননি খালেদা জিয়া
সোহাগ মৃধার দেয়া কুরবানির গরু ‘কালো মানিক’ গ্রহণ করেননি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরিবর্তে তিনি সোহাগ মৃধাকে নির্দেশ দিয়েছেন নিজ ...
১০
ফুলবাড়ীতে যানযট নিরসনে ফুটপাতের অবৈধ্য দোকানপাট উচ্ছেদ
ফুলবাড়ীতে যানযট নিরসনে ফুটপাতের অবৈধ্য দোকানপাট উচ্ছেদ
ফুলবাড়ীতে পবিত্র ঈদুর আযাহা উপলক্ষে ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং যানজট নিরসনে অভিযান চালিয়েছে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসাহাক ...
 
কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার মূসা ডিবি পুলিশের হাতে আটক
কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার মূসা ডিবি পুলিশের হাতে আটক
কুখ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার মূসা ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। ডিবি মিরপুর বিভাগ ব্ল্যাড বাবু হত্যা মামলায় কিলার মূসাকে আটক ...
মহাসড়কে গাড়ির চাপ, চলছে ধীরগতিতে
মহাসড়কে গাড়ির চাপ, চলছে ধীরগতিতে
নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষ ছুটছেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অন্যান্য দিনের চেয়ে যাত্রী, গণপরিবহন ও পশুবাহী গাড়ির চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ। যানজট না ...
টাঙ্গাইলে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলে ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জর্ডান প্রবাসির মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনায় মূল হোতাসহ পাঁচ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ...
সকালে ঘুম থেকেই উঠেই মোবাইল ফোন ঘাঁটেন? হতে পারে যেসব বিপদ
সকালে ঘুম থেকেই উঠেই মোবাইল ফোন ঘাঁটেন? হতে পারে যেসব বিপদ
স্মার্টফোন আসার পর থেকেই এ যেন আমাদের স্বভাব। সকালে আমাদের ঘুম ভাঙে মোবাইলের অ্যালার্ম বন্ধ করে। এরপর মোবাইলে ইন্টারনেট চালু ...
সমালোচনাকারীদের মানসিকতারও সংস্কার প্রয়োজন : আইন উপদেষ্টা
সমালোচনাকারীদের মানসিকতারও সংস্কার প্রয়োজন : আইন উপদেষ্টা
সমালোচনাকারীদের মানসিকতারও সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর বিচার প্রশাসন ...
রোহিঙ্গা-কেএনএফ সমস্যা : কড়িডোর : সঙ্কটের আবর্তে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা-কেএনএফ সমস্যা : কড়িডোর : সঙ্কটের আবর্তে বাংলাদেশ
০১. বাংলাদেশের কক্সবাজারসহ পার্বত্য তিন জেলা মোট চারটি জেলা নিয়ে চলছে দেশী-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্র। আগের শান্তি বাহিনী সহ পার্বত্য অঞ্চলের ...
হজযাত্রীদের বহনকারী বাসে সেনাদের হামলা
হজযাত্রীদের বহনকারী বাসে সেনাদের হামলা
হজযাত্রীদের বহনকারী বাসে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে। এ সময় তারা হজযাত্রীদের ...
লক্ষ্মীপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী রাসেল অস্ত্রসহ গ্রেফতার
লক্ষ্মীপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী রাসেল অস্ত্রসহ গ্রেফতার
লক্ষ্মীপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী, অস্ত্র, চাঁদাবাজী, অপহরণ, মাদক, চুরিসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামী মোঃ রাসেল (২৭) কে অস্ত্রসহ চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের ...
রোহিঙ্গা সংকট, আরাকান আর্মি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূরাজনৈতিক সমীকরণ
রোহিঙ্গা সংকট, আরাকান আর্মি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূরাজনৈতিক সমীকরণ
মিয়ানমার আজ আন্তর্জাতিক ভূরাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। দেশটি কেবল সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রণে থাকা একটি একক রাষ্ট্রই নয়, বরং ...
১০
বিপ্লবী মহানায়ক ইমাম খোমেনি লও সালাম
বিপ্লবী মহানায়ক ইমাম খোমেনি লও সালাম
বিশ্ব ইতিহাসে এক বরনীয় ও স্বরনীয় নাম হচ্ছে ইরানের ইসলামিক বিপ্লবের নেতা সৈয়দ রুহুল্লাহ মুসাভি খোমেনি অর্থাৎ ইমাম খোমেনি। ৮০ ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com