![]() ঠাকুরগাঁওয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টা-গ্রেপ্তার ২
কামরুল হাসান,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
|
![]() গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পঞ্চগড়ের পোড়ামানিকপীর গ্রামের অনজুল হকের ছেলে মো. জুয়েল (২৮) এবং তার মা গোলাপি বেগম। সোমবার দিবাগত রাতে তাদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, আহত কিশোরীর নাম বৃষ্টি আক্তার আখি। তিনি এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। গত ৮ মে সকালে তিনি ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিতে যান। পরীক্ষা শেষে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে কেন্দ্র থেকে বের হলে অভিযুক্তরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে অপহরণ করে। মামলার এজাহারে বলা হয়, জুয়েল মেয়েটিকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নেয়। তার সঙ্গে থাকা মা গোলাপি বেগম, বাবা অনজুল হক এবং সুলতানা বেগম অটোরিকশায় পেছনে পেছনে চলছিলেন। তবে মেয়েটিকে বাড়ির পথে না নিয়ে জুয়েল দ্রæতগতিতে পঞ্চগড়ের দিকে রওনা হয়। পথে বারবার অনুরোধ করলেও জুয়েল কর্ণপাত করেনি। একপর্যায়ে ভূল্লী থানার ১১ মাইল এলাকায় পৌঁছে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা দিয়ে মেয়েটিকে ফেলে দেয়। সেই সময় একটি চলন্ত ট্রাকের সামনে পড়ে গিয়ে তার মাথা, মুখ, কোমর ও হাত-পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি ৮ থেকে ১০ মে পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ভুক্তভোগী কিশোরীর মা মোছা. হাসিনা বেগম গত ১১ মে শনিবার ঠাকুরগাঁও সদর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। পরিবার থেকে রাজি না হওয়ায় তারা এ ঘটনা ঘটায়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরোয়ারে আলম খান বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’ |