![]() অজ্ঞান অবস্থায় ব্যাংকে পড়েছিলেন ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী, অতঃপর...
নতুন বার্তা, কিশোরগঞ্জ:
|
![]() অসুস্থ ব্যাংক কর্মকর্তারা হলেন- আইএফআইসি ব্যাংকের ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান, কর্মকর্তা, সিয়াম রহমান, হোসনা বেগম, সৌমিক জামান খান, সিকিউরিটি গার্ড কামাল মিয়া ও মেরিন আক্তার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুর দেড়টায় হঠাৎ কুলিয়ারচরে আইএফআইসি ব্যাংকের কয়েকজন গ্রাহক এসে দেখতে পায় ব্যাংকটির ছয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং একে একে বমি করতে থাকেন। ধীরে ধীর কর্মকর্তা কর্মচারীরা অজ্ঞান হয়ে যায়। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও চারজনকে বাজিতপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকা দুইজনকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে তারা দুইজনও বাজিতপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। স্থানীয় ব্যবসায়ী তোফায়েল আহমেদ ভুলন জানান, ৬ জন কর্মকর্তা দিয়ে ব্যাংকটি পরিচালিত হয়। এদের মধ্যে দুজন মহিলা ও চারজন পুরুষ। ব্যাংকে কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিষাক্ত গ্যাসে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আমরা এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তবে যতটুকু বুঝতে পেরেছি ব্যাংকে কোন লুটপাট হয়নি। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা ফয়জুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। এসে সিয়াম ও হোসনা নামের দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবস্থার অবনতি দেখলে তাদের কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেল এএসপি নাজমুস সাকিব জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমিসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কুলিয়ারচর থানা পুলিশ ও বাজিতপুর ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর সদস্যরা আসি। এখানে এসে কয়েকজন কাস্টমারের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পারি এখানে কোন রকম ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। তবে ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে। ব্যাংকটি আপাতত বন্ধ রয়েছে। কুলিয়ারচর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাবিহা ফাতেমাতুজ-জোহরা জানান, বাজিতপুর আইএসআইসি ব্যাংকের উপ-শাখা কুলিয়ারচর ব্যাংকটি। দুপুরে যে কোন এক সময় ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারীরা অজ্ঞান হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে বাজিতপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তারা ভর্তি রয়েছেন। যতটুকু জানতে পেরেছি তাদের অক্সিজেন ল্যাবেল কমতে শুরু করেছিল। হাসপাতালে নেয়ার পর তাদের অক্সিজেন দিলে তারা কিছুটা সুস্থ হয়। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে তাদের কি ধরনের চেতনানাশক দেয়া হয়েছে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংক তালাবদ্ধ করে রেখেছে খোলার পর বিস্তারিত জানা যাবে। |