![]() মৌলভীবাজারে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারী যুবলীগ ক্যাডার মিছবা প্রকাশ্যে বেড়াচ্ছে!
নিজস্ব প্রতিবেদক :
|
![]() মৌলভীবাজার সদর উপজেলার জগৎপুর গ্রামের মছদ্দর মিয়ার ছেলে নিষিদ্ধ বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আখাইলকুড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ- সভাপতি মিছবা মিয়া। স্বৈরাচার সরকারের সেই দুসর এর বিরুদ্ধে অভিযাগ উঠেছে, বিগত সরকারের আমলে তার প্রভাব প্রতিপত্তি আর দাপটে ভয়ে কেহ কথা বলতে পারতোনা। কিন্তুু আওয়ামীলীগের ছোট বড় পাতি নেতারা পালিয়ে বেড়ালেও মিছবা কিভাবে প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। আরো জানা গেছে, এই মিছবা বিএনপির কয়েকজন নেতার ছত্র ছায়ায় এখনো দাপট দেখিয়ে বহাল তবিয়তে থেকে সাধারন মানুষকে হয়রানী করে আসছে। গুঞ্জন উঠেছে মিছবা আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীর অফিসে বসে আড্ডা দিতে দেখা গেছে। বিগত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তার এলাকা সহ মৌলভীবাজার শহরে বহু কর্মকান্ডে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্টানে ছিল তার নিয়ন্ত্রনে। সে সময় তার অন্যায় অকর্মের প্রতিবাদ করলে মামলা হামলার স্বীকার হতে হয়েছে অনেককে। গত জুলাই আন্দোলনের ৪ আগষ্টে মৌলভীবাজার চৌমুহনায় ছাত্র জনতার উপর হামলায় জড়িত ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,তার নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া একটি বাহিনী নিয়ে চৌমুহনায় ছাত্র জনতার উপর হামলায় চালান। সদর থানার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের জগৎপুর এলাকার ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকারের দোসর মিছবা মিয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে সক্রিয় আক্রমনকারী নেতা হয়েও প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই, বলার কেউ নেই। পুলিশ প্রশাসন নিরব ভূমিকা থাকায় পূর্বের ন্যায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে সে। যার ফলে এলাকায় সচেতন মহলে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক ব্যাক্তি জানান, যুবলীগের নেতা পরিচয়দানকারী প্রভাবশালী মিছবা মিয়াকে এখনো মানুষ ভয় পায়। যার কারনে যুবলীগের পদধারী ৪ আগষ্টের হামলাকারী হওয়ার পরও তার উপর কেহ মামলা দেওয়ার সাহস পায়নি বলেও জানা গেছে। হুমকী-ধামকী, চাঁদাবাজি এবং নারী কেলেংকারি সেই মিছবার যেন নিত্যদিনের ঘটনা। । শুধু তাই না সে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায় বাহিরে। উদাহরণস্বরূপ মিছবা তার সৎ বড় ভাই আমেরিকা প্রবাসী ফজলুর রহমান এর পরিবারকে হুমকি দামকিসহ বাড়ি ও বাসা দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে তার ভয়ে বর্তমানে দেশে আসতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন তিনি বলে অভিযোগ রয়েছে লোকমুখে। কোন অপরাধীই পার পাবে না বলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হলেও মিছবা কি তার ঊর্ধ্বে এনিয়ে ও প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। তবে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন পিপিএম সেবা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন বিষয়টি তিনি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। |