![]() সাকিব অধ্যায় এখনই শেষ নয়
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() গত বছরের অক্টোবর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে সাকিব। সর্বশেষ ভারতের কানপুরে টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। এরপর নিরাপত্তাজনিত কারণে দেশে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলার সুযোগ মেলেনি তার। সেজন্যই টেস্টে তার অবসর এখনও পরিষ্কার নয়। বলা যেতে পারে ঝুলে আছে তা। টি-টোয়েন্টিটা নাকি তিনি ছেড়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া বিশ্বকাপেই। বাকি রইল ওয়ানডে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে অবসরের একটা ভাবনা শোনা গেলেও সেটা আর হয়ে উঠেনি। তারপরও সাকিবের জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে চাইলেন না বিসিবির এই পরিচালক। গুলশানে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সমাপনীতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘ডেফিনিটলি নট (সম্পর্ক শেষ নয়)। আমাদের যে ম্যানেজমেন্ট আছে, টিম ম্যানেজমেন্ট, টিম সেট আপ… আর সাকিব তো প্রথম টুর্নামেন্ট খেলল শোধরানোর পর। সেটা সামনে দেখার ব্যাপার। তবে সে বিশ্বমানের ক্রিকেটার। যে কোনো দলের জন্য সে একটা সম্পদ। আমাদের নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের বিবেচনায় সবসময় থাকে।’ বোলিং অ্যাকশন শুধরে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরা সাকিব জাতীয় দলে কবে ফিরতে পারেন, সে উত্তর সময়ের কাছেই রাখলেন মিঠু, ‘সাকিব শুধরে যে এলো, এরপর মাত্রই তো দুটি (তিনটি) ম্যাচ খেলল। আরও কয়েকটি ম্যাচ খেলতে দিন, তখন এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব।’ অবশ্য সাকিবের অনুপস্থিতি দলে একটা শূন্যতা তৈরি করেছে। সম্প্রতি সময়ে দল হিসেবেও খুব একটা ভালো ক্রিকেট খেলছেন না লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্তরা। এটা ক্রিকেটের জনপ্রিয়তার জন্য সমস্যা মানছেন বিসিবির এই পরিচালক, ‘অ্যালার্মিং তো পরের কথা…। তবে অবশ্যই বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স একটা বড় ইস্যু জনপ্রিয়তার জন্য।’ তবে ভিন্ন যুক্তিও দেখালেন তিনি, ‘আপনাদের বুঝতে হবে যে, এই মুহূর্তে আমাদের দলটা নতু্ন। চারজন সিনিয়র ক্রিকেটার (সাকিব, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ) চলে যাওয়ার পর একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে। আমার মনে হয়, প্রতিভা আছে। আগেও বলেছি, অ্যাপ্লিকেশনের অভাব। যত ম্যাচ খেলবে, তারা উন্নতি করবে।’ দলের বর্তমান অবস্থা থেকে আর তলানীতে নামা সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা যে পর্যায়ে আছি, আমাদের কেবল উন্নতিই হবে।’ |