![]() ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যাকাণ্ড একটি চক্রান্তের অংশ : এ্যানি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
|
![]() শুক্রবার (১৬ মে) বেলা ১১ টার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা নির্বাচনের লক্ষ্যে তালহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে আয়োজিত সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন। বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সব দাবি এখনই মানতে পারবে না। যেখানে ১৭ বছর লুটপাট হয়েছে, অনিয়ম-অত্যাচার হয়েছে। তাহলে একটি নির্বাচিত সরকার এসেও সব সমস্যা সমাধান করতে পারবে না। এখন অন্তর্বর্তী সরকার এ অল্প কয়দিনের মধ্যে সব দাবি মানতে পারবে না। অনেকে দাবি তুলবে। এ আলোচনাগুলো করতে হবে, সমাধানেরও চেষ্টা বাহির করতে হবে। কিন্তু সেখানে পুলিশ যেভাবে ছাত্রদেরকে পিটিয়েছে, এটাও কিন্তু ঠিক করেনি। এর ভেতরে আবার ষড়যন্ত্র ঢুকছে। ষড়যন্ত্রটা হচ্ছে, পরিবেশটাকে উত্তপ্ত করার জন্য ভোটের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করার জন্য স্বাভাবিক পরিবেশকে অস্বাভাবিক করার জন্য, একটি চক্র অর্থকড়ি নিয়ে বসে আছে। তারা দূর থেকে এ কাজগুলো করাচ্ছে। এ্যানি বলেন, একজন উপদেষ্টাকে পানির বোতল মারা এটাও কিন্তু কম ষড়যন্ত্রের অংশ নয়। একপক্ষ যদি আরেকপক্ষের সঙ্গে যদি লাগিয়ে দেওয়া যায়, একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি যদি সৃষ্টি করা যায়, তাহলে আমাদরে টার্গেট ভবিষ্যতের ভোট, যার জন্য আমাদের এতো আন্দোলন সংগ্রাম, আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এটি একটি অদৃশ্য শক্তি। এটি বার বার দেখা যাচ্ছিল না। এখন কিছুটা দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে, বুঝা যাচ্ছে। কারা এ প্রক্রিয়াটাকে বাধাগ্রস্ত করছে। বিচার ও আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে দ্রুত আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করে এ্যানি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা দাবি করছি, একদিকে হাসিনার বিচার প্রক্রিয়াটাকে খুব দ্রুত করণ, দৃশ্যমাণ করণ। এখন পর্যন্ত আমরা দেখিনা একটা বিচারের রায় আসছে। এখন পর্যন্ত একটা আদেশ দেখি না। হাসিনার সঙ্গে যারা ছিল, লুটপাট করছে, সে উপর থেকে নীচ পর্যন্ত। মামলা তো অনেক হয়েছে, বিচার তো দৃশ্যমাণ হতে হবে। এজন্য আমরা বারবার বলছি- হাসিনা যে সমস্ত অপকর্মগুলো করছে, যদি বিচার প্রক্রিয়ায় মধ্যে দিয়ে, আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে স্বচ্ছ দ্রুত বিচার হয়, একদিকে হাসিনা নিষিদ্ধ আরেক দিকে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ হবে। এটা আমরা আমরা বার বার বলতেছি। দ্রুত ভোট না হলে দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে জানিয়ে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, দ্রুত সংস্কার শেষ হতে হবে, দ্রুত নির্বাচন শেষ করতে হবে। সরকারের কাছে আমরা বারবার দাবি জানাই। না হলে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন কিছু কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা সহযোগিতা করছি এবং করব। কিন্তু কোন ভাবে যদি বড় ধরনের আঘাতপ্রাপ্ত হয়, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়, আমাদের দেশ কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে, দেশের ভোট প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জনগণের শাসন না থাকা পর্যন্ত আমাদের মধ্যে অস্থিরতা দূর হবে না, স্থিতিশীলতা আসবেনা। দেশে স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। স্থিতিশীলতা জরুরী। আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। স্থিতিশীলতা না থাকলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে থাকবে। বিদেশি ইনভেস্টমেন্টরা এখনো আসে না৷ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন৷ দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতি হয়। এটা আমার আট আপনার জন্য ক্ষতিকর। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক হাসিবুর রহমান, সদস্য হাফিজুর রহমান ও সদর উপজেলা (পূর্ব) বিএনপির আহ্বায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ প্রমুখ। |