![]() তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক কেন হয়? ঝুঁকিমুক্ত থাকতে করণীয়
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() অতিরিক্ত গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে হিট স্ট্রোক হয়। এর ফলে ঘাম বন্ধ হয়ে গিয়ে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে শুরু করে। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে মাথা ব্যথা ও মাথা ঘোরা এবং চোখে ঝাপসা দেখা, দুর্বলতা, মাংসে টান ও বমি অনুভব হওয়া এবং একটা পযার্য়ে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে এবং খিঁচুনি হতে পারে। রাস্তাঘাটে খোলা খাবার খাওয়া যাবে না। এই গরমে ডায়রিয়া অনেক বেশি হয় তাই সবসময় খাবারের দিকটা একটু খেয়াল রাখতে হবে। সহজে হজম হয় এ ধরনের খাবার খেতে হবে। খোলা বাসি খাবার খাওয়া একদমই যাবে না। এগুলো খেলে পাতলা পায়খানা-ডায়রিয়া হবে; শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়বে। রাস্তায় ও ফুটপাতের অপরিষ্কার, নোংরা পরিবেশে তৈরি শরবত, চা বা অন্যান্য খাবার খাওয়া পরিহার করতে হবে এবং অনিরাপদ পানি পান করা যাবে না। একটানা রোদের মধ্যে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যারা শ্রমিক, দিনমজুর তারা এই রোদে টানা বাইরে কাজ করছেন তারা অবশ্যই এক নাগারে কাজ না করে ছায়ার নিচে আধাঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে তারপর আবার কাজ করবেন। বারবার মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দেবেন। অবশ্যই যদি মাথা ঝিমঝিম করে অথবা বমি ভাব পায় বা যেকোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা না করলে মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি। প্রাথমিকভাবে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে একটু ঠান্ডা জায়গায় নিয়ে শুইয়ে দিতে হবে। টাইট কাপড়-চোপড় পড়া থাকলে সেগুলো ঢিলা করে দিতে হবে। ফ্যান বা এসির ব্যবস্থা থাকলে দ্রুত তা চালু করতে হবে। ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর মুছতে হবে এবং অতি দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। তীব্র গরম এ হিট স্ট্রোক ছাড়াও জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগ, নিউমোনিয়া, পানিবাহিত টাইফয়েড ও জন্ডিস এবং চর্ম রোগ বা ফুসকুাড়র প্রকোপ অনেক বেড়ে যায়। |