আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ০৯ মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / বিশ্ব অর্থনীতির সন্ধিক্ষণ ও চ্যালেঞ্জ
বিশ্ব অর্থনীতির সন্ধিক্ষণ ও চ্যালেঞ্জ
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Thursday, 1 February, 2024 at 6:13 PM
বিশ্ব অর্থনীতির সন্ধিক্ষণ ও চ্যালেঞ্জবৈশ্বিক ভূরাজনীতির উত্তেজনা আগে থেকেই বিশ্ব অর্থনীতিতে চাপ বাড়াচ্ছে। সর্বশেষ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাগরের গুরুত্বপূর্ণ এক জলপথে জাহাজের ওপর ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধাদের হামলা। এ হামলা আবার ঘটছে গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের জেরে। ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির জগতে টালমাটাল যে অবস্থা ইতিমধ্যে রয়েছে, তাতে অস্থিতিশীলতার আরেকটি বার্তা যুক্ত হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি সংকটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এর আগে ছিল কোভিড-১৯ ও ইউক্রেনে যুদ্ধ। বিশ্বের অর্থনীতিতে এসব ঘটনা বড় অঘটন হিসেবে এসেছে। সব মিলিয়ে অর্থনীতি পথ হারিয়েছে, অর্থনীতিতে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। তবে এগুলোই যেন শেষ নয়। আগামীতে আসছে একের পর এক নির্বাচন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, নানা প্রান্তে। যে অস্থিরতা এসব নির্বাচনের কারণে তৈরি হবে, তার ফলাফল হবে গভীর ও সুদূরপ্রসারী। কমবেশি ৬০ টি দেশে ২০০ কোটির বেশি মানুষ ২০২৪ সালে ভোট দেবেন। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র ও ২৭ সদস্যের ইউরোপীয় পার্লামেন্টে নতুন বছরে ভোট হবে।২০২৪ সালের নির্বাচন অলিম্পিয়াডে যেসব দেশ যোগ দিচ্ছে, সব মিলিয়ে তাদের অর্থনীতির আকার বৈশ্বিক অর্থনীতির ৬০ শতাংশ। অনেক দেশেই সরকারের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস বাড়ছে, ভোটাররা তিক্তপূর্ণভাবে বিভক্ত। আবার অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ আছে অনেক দেশে। জনতুষ্টির লক্ষ্য নিয়ে যারা রাজনীতি করে, তারা যদি নির্বাচনে জিতে যায়, তাহলে সেসব সরকার বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অভিবাসনে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপের পথে হাঁটতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজের জননীতির অধ্যাপক ডায়ান কোয়েল বলেন, এসব নীতি বৈশ্বিক অর্থনীতিকে এমন এক দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা আমাদের পরিচিত অর্থনীতি থেকে পুরোপুরি অন্য রকম।

জীবনযাত্রার মানের অবনতি ও ক্রমশ প্রকট হওয়া বৈষম্যের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশ্বায়নের বিষয়ে সন্দেহ-অবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলেছে। ডায়ান কোয়েল যেমনটা বলেছেন, বিশ্বে যখন বাণিজ্য কমে যায়, তখন মানুষের আয়ও কমে। অনেক অর্থনীতিবিদ বর্তমান অবস্থার সঙ্গে ১৯৭০ দশকের পরিস্থিতির তুলনা করেন। আবার অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে বরং ১৯৩০ দশকের মিল অনেক বেশি। সে সময়ের অস্থির রাজনীতি ও আর্থিক অসাম্য জনতুষ্টিবাদ উসকে দিয়েছিল। ফলে বাণিজ্যিক লেনদেন কমে, আর বাড়ে কট্টর রাজনৈতিক ভাবনা। নতুন বছরের অস্থিতিশীল অবস্থা থেকে বলা যেতে পারে, বিশ্ব অর্থনীতি একটি সন্ধিক্ষণে রয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতি অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে:জলবায়ু পরিবর্তন,যুদ্ধের অস্থিরতা, কর্মসংস্থান সমস্যা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংকট এবং বিশ্বায়নের একটি নতুন ও ভালো কাঠামোর অনুসন্ধান। অবশ্যই প্রত্যেকেরই চিন্তা-ভাবনায় প্রতিষ্ঠিত পুরনো পদ্ধতি বাদ দিয়ে অবশ্যই নতুন সৃজনশীল কার্যকর সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। প্রয়োজনে এ প্রচেষ্টা সমন্বয়হীন এবং পরীক্ষামূলক হিসেবে স্বীকৃত হবে। জলবায়ু পরিবর্তন সবচেয়ে ভীতিকর চ্যালেঞ্জ। অনেক ক্ষতির বিনিময়ে জলবায়ু পরিবর্তনকে দীর্ঘ সময় ধরে উপেক্ষা করা হয়েছে। যদি বিশ্বকে প্রাকৃতিক মহাবিপর্যয় থেকে মুক্ত করে সুন্দর বিশ্ব গড়ে তুলতে চাই তাহলে বিশ্ব অর্থনীতিকে কার্বনমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। একটি বিষয় খুবই স্পষ্ট, পরিবেশকে অবশ্যই জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে মুক্ত রাখতে হবে এবং পরিবেশ উপযোগী নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এছাড়া অতীতের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণে পরিবেশের যে স্থায়ী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

তবে এটা স্পষ্ট যে বৈশ্বিক সহযোগিতার অনুকূল নীতির মাধ্যমে তা খুব কমই অর্জন করা সম্ভব। প্রত্যেক দেশ তার নিজস্ব গ্রিন এজেন্ডা গঠন করে এগিয়ে যাবে, তারা এমন নীতিগুলো বাস্তবায়ন করবে যা তাদের নির্দিষ্ট রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার জন্য সর্বোত্তম জবাবদিহিতা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এরই মধ্যে তা করছে। ফলে নির্গমন সীমা, কর প্রণোদনা, গবেষণা ও উন্নয়ন সহায়তা এবং অন্যান্য দেশের জন্য স্বল্প বৈশ্বিক সংহতি এবং অনিয়মিত ব্যয়ের সঙ্গে গ্রিন শিল্পনীতির একটি সংমিশ্রণ হবে। এটা হতে পারে অগোছালো ও জলবায়ু কার্যক্রমের জন্য সমন্বয়হীন। তবে এ ধাক্কাটিই হতে পারে সর্বোত্তম এবং বাংলাদেশের জলবায়ু উন্নয়নে সত্যিকার আশাবাদ সৃষ্টি করবে। কিন্তু বাংলাদেশের ভৌত পরিবেশই একমাত্র হুমকি নয়, যার মুখোমুখি আমরা নিয়মিত হই।অসমতা,মধ্যবিত্তের পতন এবং শ্রমবাজারের মেরুকরণ আমাদের সামাজিক পরিবেশেরও সমানভাবে অবনতি ঘটাচ্ছে। এর পরিণতি এখন ব্যাপকভাবে স্পষ্ট। দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক, আঞ্চলিক ও সামাজিক ব্যবধান প্রসারিত হচ্ছে, উদার গণতন্ত্র হ্রাস পাচ্ছে বলেও প্রতীয়মান হচ্ছে। বিদেশবিদ্বেষী, কর্তৃত্ববাদী পপুলিস্টদের জন্য ক্রমবর্ধমান সমর্থন এবং বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান প্রতিক্রিয়া প্রতিফলিত করছে। সামাজিক রূপান্তর ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সাহায্য করতে পারে, তবে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো স্বল্প শিক্ষিত শ্রমিকদের জন্য ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা, যারা তাদের কাছে প্রবেশাধিকার হারিয়েছে। বাংলাদেশের জন্য আরো বেশি প্রয়োজন, উৎপাদনশীল ও ভালো পারিশ্রমিক সম্পন্ন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি ছাড়া শ্রমিকরাও পাবেন মর্যাদা ও সামাজিক স্বীকৃতি।

এ ধরনের কর্মসংস্থান সরবরাহের ক্ষেত্রে শুধু শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় জোরালো পদক্ষেপের প্রসারই যথেষ্ট নয়, আরো প্রয়োজন পরিষেবার জন্য শিল্পনীতির জন্য একটি নতুন ব্র্যান্ড, যেখানে ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের একটি বৃহৎ অংশ তৈরি হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদনকাজের অনুপস্থিতি বৃহৎ স্বয়ংক্রিয়তা ও শক্তিশালী বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা উভয়কেই প্রতিফলিত করে। অনেকেই অকাল শিল্পায়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে: নিয়মমাফিক শ্রমিকদের শোষণ, উৎপাদনশীল উৎপাদন ব্যবস্থা খুবই সীমিত, তার মানে রফতানিভিত্তিক উন্নয়ন কৌশল অনুসরণ করা থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে, যা পূর্ব এশিয়া ও অন্যান্য কয়েকটি দেশে কার্যকর হয়েছে। জলবায়ু চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি, স্বল্প আয়ের দেশগুলোয় প্রবৃদ্ধি কৌশলের এ সংকট একটি সম্পূর্ণ নতুন উন্নয়ন মডেল দাবি করছে।উন্নত অর্থনীতির মতো, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রধান উৎস হবে পরিষেবা। কিন্তু এ অর্থনীতিতে বেশির ভাগ পরিষেবায় ক্ষুদ্র ও বিধিবহির্ভূত উদ্যোগের আধিপত্য রয়েছে। প্রায়ই একক মালিকানা এবং প্রতিযোগিতা করার জন্য পরিষেবা নেতৃত্বাধীন উন্নয়নের কোনো প্রস্তুত মডেল নেই। শ্রম শোষণকারী পরিষেবাগুলোয় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সঙ্গে টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সংমিশ্রণে সরকারগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। পরিশেষে, বিশ্বায়নকেই পুনরায় উদ্ভাবন করতে হবে। ১৯৯০-পরবর্তী অতিবিশ্বায়নের মডেলটি মার্কিন-চীন ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতার উত্থান এবং অভ্যন্তরীণ সামাজিক, অর্থনৈতিক, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশগত উদ্বেগের ওপর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পেয়েছে। আমরা জানি, বিশ্বায়নকে একটি নতুন বোঝাপড়ার মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করতে হবে।

যা জাতীয় চাহিদা এবং একটি সুস্থ বিশ্ব অর্থনীতির প্রয়োজনীয়তাগুলোকে পুনরায় ভারসাম্যপূর্ণ করে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিদেশী বিনিয়োগকে সহজতর করে।সম্ভবত সব দেশের চাহিদাকে স্বীকার করে নতুন বিশ্বায়নের মডেলটি কম অনুপ্রবেশকারী হবে, যা অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ ও জাতীয় নিরাপত্তার বাধ্যবাধকতা- গুলো মোকাবেলায় আরো বেশি নীতিগত নমনীয়তা চায়। ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা চীন তার নিরাপত্তা প্রয়োজনের বিষয়ে অতিরিক্ত ব্যয়বহুল দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করার সম্ভাবনা রয়েছে, বিশ্বব্যাপী প্রাধান্য বা আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তার চাইছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলাফল হবে অস্ত্রায়ণের অর্থনৈতিক আন্তঃনির্ভরতা এবং উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতার সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে জিরো-সাম গেম হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তবে আরো অনুকূল অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে, যেখানে উভয় শক্তি তাদের ভূরাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে,স্বীকার করতে হবে যে তাদের প্রতিযোগিতা মূলক অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলো আবাসন ও সহযোগিতার মাধ্যমে আরো বেশি উপযোগী হবে। এ পরিস্থিতি বিশ্ব অর্থনীতিতে ভালোভাবে কাজ করতে পারে। কারণ এটি অতিবিশ্বায়নের তুলনায় কম হতে পারে। যেমনটা ব্রেটন-উডস যুগ দেখিয়েছিল, বিশ্ব বাণিজ্য ও বিনিয়োগের একটি উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ বিশ্বায়নের একটি দুর্বল মডেলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যেখানে দেশগুলো যথেষ্ট নীতিগত স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখার ফলে দেশে সামাজিক সংহতি এবং অর্থনৈতিক বিকাশকে উৎসাহিত হয় এবং দেশগুলো যথেষ্ট নীতিগত স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখার পাশাপাশি দেশে সামাজিক সংহতি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করা যায়। প্রধান শক্তিগুলো বিশ্ব অর্থনীতিকে যে সবচেয়ে বড় উপহার দিতে পারে তা হলো তাদের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে ভালোভাবে পরিচালনা করা। এ চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য নতুন ধারণা এবং কাঠামো প্রয়োজন।

আমরা জানি, অনিশ্চয়তা অর্থনীতিকে নির্জীব করে তোলে। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ, ব্যবসা সম্প্রসারণ ও কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠাগুলো ধীরে চলো নীতি নিয়ে আগায়। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক জরিপে দেখা গেছে, প্রধান অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে ভূরাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক সম্পর্কে অব্যাহত অস্থিরতা সরকারি ও বেসরকারি খাতের জন্য মূল উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই চলমান সামরিক সংঘাত, চরম আবহাওয়া ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশে নির্বাচন ২০২৪ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে তেমন কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে না। বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা অনেক দিন ধরেই স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠন, রাজস্বক্ষেত্রে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পৃথক্করণের প্রয়োজনীয়তা, ব্যাংকের সঞ্চয় ও ঋণ-সুদ হার ও টাকার বিনিময় হারের বাজারমুখী সমন্বয়, সরকারি ব্যয় সংস্কার, ভর্তুকি ও প্রণোদনা পর্যালোচনা ও পুনর্বিন্যাসসহ বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা বলে আসছেন। আইএমএফের শর্তের কারণে নয়, আমাদের সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে আমাদেরই প্রয়োজনে এবং আগামী দিনের অর্থনীতির চাহিদার নিরিখে। ২০২২ সালের অভিজ্ঞতার আলোকে ২০২৩ সালকে অর্থনৈতিক সংস্কার, সুশাসন ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বছর হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। সরকার প্রণীত রূপকল্প ২০৪১-এ বাংলাদেশকে আগামী দুই দশকের মধ্যে একটি অর্থনৈতিকভাবে উন্নত, সামাজিক ভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশবান্ধব দেশ হিসেবে রূপান্তরের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করে দ্বিতীয় প্রজন্মের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ সময়ের দাবি।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
সিএনএনের রিপোর্ট: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান
সিএনএনের রিপোর্ট: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যেকার যুদ্ধ এরইমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। ফলে স্থানীয় ও বৈশ্বিক শক্তিগুলোর মধ্যে একটি সংঘর্ষ দিন ...
এসপির শীতবস্ত্র পেল আবিরনগরবাসী
এসপির শীতবস্ত্র পেল আবিরনগরবাসী
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ তাঁর নিজ হাতে আবিরনগর গ্রামের অসংখ্য অসহায় নারী-পুরুষের হাতে শীতবস্ত্র (কম্বল) উপহার তুলে ...
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কানের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইসে পরীক্ষা দেয়ায় আজিম আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কানের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইসে পরীক্ষা দেয়ায় আজিম আটক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার দায়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারী) সকালে ...
বোয়ালখালীতে ২ দিনব্যাপী ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও উরছে গাউসুল আজম দস্তগীর (র.)মাহফিল সম্পন্ন
বোয়ালখালীতে ২ দিনব্যাপী ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও উরছে গাউসুল আজম দস্তগীর (র.)মাহফিল সম্পন্ন
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে দুইদিনব্যাপী আজিমুশশান ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দঃ) ও ওরছে গাউসুল আজম আব্দুল কাদের জিলানী (র.) মাহফিল (৩০-৩১ জানুয়ারি) বুধবার -বৃহস্পতিবার ...
ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ সাইকেল উদ্ধারসহ ২ চোর গ্রেফতার
ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ সাইকেল উদ্ধারসহ ২ চোর গ্রেফতার
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় আটটি বাইসাইকেল উদ্ধারসহ দুইজন চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার রুহিয়া থানাধীন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নিজ বাড়ি ...
স্মার্ট ট‍্যুরিজম করতে হলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে আরো বেশি সাজাতে হবে
স্মার্ট ট‍্যুরিজম করতে হলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে আরো বেশি সাজাতে হবে
কক্সবাজারে সাউদ এশিয়া স‍্যোশাল কালচারাল কাউন্সিল ও সাউদ এশিয়া বিজনেস পার্টনারশীপের আয়োজনে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা, ...
লক্ষ্মীপুরে হযরত শাহজালাল (রহঃ)আইডিয়াল স্কুলের পিঠা উৎসব
লক্ষ্মীপুরে হযরত শাহজালাল (রহঃ)আইডিয়াল স্কুলের পিঠা উৎসব
নানা আয়োজনে হযরত শাহজালাল (রহ:) আইডিয়াল স্কুলে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রথমবারের মতো দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন ...
ডলারের বিপরীতে টাকা ধার দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
ডলারের বিপরীতে টাকা ধার দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশে দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলছে ডলার সংকট। এর সঙ্গে ব্যাংক খাতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে তারল্য সংকট। তাই ডলার ...
বিএনপি’র বিরুদ্ধে মামলা বেশি খুলনায় এরপর ঢাকা, রাজশাহী
বিএনপি’র বিরুদ্ধে মামলা বেশি খুলনায় এরপর ঢাকা, রাজশাহী
মামলা, গ্রেপ্তারে জেরবার বিএনপি। নির্বাচন এলেই মামলার গতি বেড়ে যায়। জেলা-উপজেলায় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার হিড়িক পড়ে। এবারো জেলায় জেলায় মামলা ...
১০
রাখাইনের উন্নয়নে রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের শান্তিপূর্ণ সহবস্থান নিশ্চিত করতে হবে
রাখাইনের উন্নয়নে রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের শান্তিপূর্ণ সহবস্থান নিশ্চিত করতে হবে
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে স্থানীয় রাখাইন ও মিয়ানমার সেনাবাহিনী মিলে রোহিঙ্গাদের উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে তাদেরকে তাদের ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য ...
 
হাতীবান্ধায় মাথা বিহীন মরদেহ উদ্ধারের একদিন পরে মাথা ও হত্যায় ব্যাবহার কৃত ছুড়ি উদ্ধার
হাতীবান্ধায় মাথা বিহীন মরদেহ উদ্ধারের একদিন পরে মাথা ও হত্যায় ব্যাবহার কৃত ছুড়ি উদ্ধার
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মাথা বিহীন মরদেহ উদ্ধারের একদিন পরেই  মাথা ও হত্যায় ব্যাবহার কৃত ছুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানাগেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ...
সুন্দরবনে অভয়ারন্য এলাকায় মাছ ধরার অপরাধে ৫ জেলে আটক
সুন্দরবনে অভয়ারন্য এলাকায় মাছ ধরার অপরাধে ৫ জেলে আটক
সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের অধিনস্থ নীলকমল টহল ফাঁড়ির প্রবেশ নিষিদ্ধ পুটনিরদীপ এলাকায় মাছ ধরার অপরাধে ৫ জেলে আটক করেছে বন বিভাগ। ...
মাশরাফির সমালোচনা নিয়ে যা বললেন আকরাম খান
মাশরাফির সমালোচনা নিয়ে যা বললেন আকরাম খান
পুরোপুরি ফিট না হয়ে বিপিএলে খেলায় মাশরাফি বিন মুর্তজার সমালোচনা করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। তার মতে আনফিট ...
অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে যে পোস্ট দিলেন রাজ
অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে যে পোস্ট দিলেন রাজ
পরীমনির ছেলে রাজ্যর অসুস্থতার খবর ইতোমধ্যে সকলেরই জানা। তবে দু’দিন আগে ছেলের সুস্থ হওয়ার খবরও জানিয়েছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই নায়িকা। ...
ভোটের পর মাঠের কর্মসূচিতে বিরোধীরা
ভোটের পর মাঠের কর্মসূচিতে বিরোধীরা
জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে ফের রাজপথে নামছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ বাতিলের দাবিতে আজ জেলায় জেলায় ...
সিদ্ধান্তের আগেই সংসদে বিরোধী দলের আসন বিন্যাস
সিদ্ধান্তের আগেই সংসদে বিরোধী দলের আসন বিন্যাস
বিরোধী জোটের বর্জনের মধ্যে হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই সংসদে বিরোধী দল কে হবে- এনিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে। ...
সিএনএনের রিপোর্ট: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান
সিএনএনের রিপোর্ট: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যেকার যুদ্ধ এরইমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। ফলে স্থানীয় ও বৈশ্বিক শক্তিগুলোর মধ্যে একটি সংঘর্ষ দিন ...
আরেক দফা বেড়েছে রোজার পণ্যের দাম
আরেক দফা বেড়েছে রোজার পণ্যের দাম
সপ্তাহের ব্যবধানে রোজায় ব্যবহৃত পণ্য- ছোলা, ভোজ্যতেল, ডাল, পেঁয়াজের দাম আরেক দফা বেড়েছে। পাশাপাশি সব ধরনের মসলা পণ্যের দামও বাড়তি। ...
আপনার পুরোনো ল্যাপটপ আর মোবাইল ফোন যেন সোনার খনি
আপনার পুরোনো ল্যাপটপ আর মোবাইল ফোন যেন সোনার খনি
এমন এক খবর দেব, শুনলে চমকে যাবেন। আপনার রাতের ঘুমও নষ্ট হতে পারে। কেবলই আফসোস হতে পারে- আহা, কী করেছি ...
১০
‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা পাচ্ছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা পাচ্ছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
প্রথিতযশা রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ভারতের পদ্মশ্রী সম্মাননা পাচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে এ পদ্ম সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com