আজ শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / অনিশ্চয়তা অর্থনীতিকে নির্জীব করে তোলে
অনিশ্চয়তা অর্থনীতিকে নির্জীব করে তোলে
রায়হান আহমেদ তপাদার:
Published : Thursday, 18 January, 2024 at 12:40 AM
অনিশ্চয়তা অর্থনীতিকে নির্জীব করে তোলেঅর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পালে তেমন কোনো হাওয়া আর দেখা যাচ্ছে না।মানুষ ব্যয় করার বেলায় অনেকটা সতর্ক। সে কারণে বেসরকারি খাতের তৎপরতা অনেকটা কমে গেছে। চীনের অর্থনীতিবিদদের নিয়ে ব্লুমবার্গ যে জরিপ করেছে, সেখানে তাঁরা বলেছেন, ২০২৪ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশের নিচে নেমে যাবে। চীনের বর্তমান পরিস্থিতি একধরনের ব্যালেন্সশিট রিসেশন। এ পরিস্থিতিতে মানুষ বিনিয়োগ করে অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর চেয়ে ঋণের অঙ্ক হ্রাসের দিকে বেশি নজর দেয়। ফলে সামগ্রিকভাবে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাইওয়ান বংশোদ্ভূত মার্কিন অর্থনীতিবিদ রিচার্ড কু ‘ব্যালেন্সশিট রিসেশন’ কথাটি প্রচলন করেন। তিনি জাপানের নোমুরা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান অর্থনীতিবিদ। ব্যালেন্সশিট রিসেশনের সময়ে পারিবারিক ও ব্যবসায়িক সম্পদের মূল্য কমে যায়। এতে অর্থনীতির ভারসাম্য নষ্ট হয়। মানুষ আরও বেশি সঞ্চয়মুখী হয়, কমে যায় বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ। চীন কবে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে, এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংস্থা পূর্বাভাস দিয়েছে। কিন্তু বারবার দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়া এবং চীনের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে একসময় সন্দেহ সৃষ্টি হয়, আদৌ চীনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাওয়া সম্ভব কি না। এই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ভূরাজনীতির উত্তেজনা আগে থেকেই বিশ্ব অর্থনীতিতে জেঁকে বসে আছে। সর্বশেষ এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সাগরের গুরুত্বপূর্ণ এক জলপথে জাহাজের ওপর ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধাদের হামলা। এ হামলা আবার ঘটছে গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের জেরে। ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির জগতে টালমাটাল যে অবস্থা ইতিমধ্যে রয়েছে, তাতে অস্থিতিশীলতার আরেকটি ডোজ যুক্ত হয়েছে। 

নিউইয়র্ক টাইমস জানাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি সংকটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এর আগে ছিল কোভিড-১৯ ও ইউক্রেনে যুদ্ধ। বিশ্বের অর্থনীতিতে এসব ঘটনা বড় অঘটন হিসেবে এসেছে। সব মিলিয়ে অর্থনীতি পথ হারিয়েছে, অর্থনীতিতে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। তবে এগুলোই যেন শেষ নয়। আগামীতে আসছে একের পর এক নির্বাচন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, নানা প্রান্তে। যে অস্থিরতা এসব নির্বাচনের কারণে তৈরি হবে, তার ফলাফল হবে গভীর ও সুদূরপ্রসারী। কমবেশি ৫০টি দেশে ২০০ কোটির বেশি মানুষ ২০২৪ সালে ভোট দেবেন। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র ও ২৭ সদস্যের ইউরোপীয় পার্লামেন্টে নতুন বছরে ভোট হবে। ২০২৪ সালের নির্বাচন অলিম্পিয়াডে যেসব দেশ যোগ দিচ্ছে, সব মিলিয়ে তাদের অর্থনীতির আকার বৈশ্বিক অর্থনীতির ৬০ শতাংশ। অনেক দেশেই সরকারের বিরুদ্ধ অবিশ্বাস বাড়ছে,ভোটাররা তিক্তপূর্ণ ভাবে বিভক্ত। আবার অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ আছে অনেক দেশে। যেসব দেশে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু নয়, সেসব দেশেও অর্থনীতির সর্বশেষ হালচাল নিয়ে নেতারা স্পর্শকাতর। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আদেশ দিয়েছেন রপ্তানি আয় দ্রুত রুবলে রূপান্তরিত করতে হবে। সম্ভবত এটা করা হয়েছে দেশটির মুদ্রা রুবলকে শক্তিশালী করতে। আগামী মার্চে রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, তাই পুতিন দ্রব্যমূল্য কমাতে চান। বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে যাঁরা জিতবেন, তাঁরা ঠিক করবেন ভর্তুকি, কর-সুবিধা, প্রযুক্তি হস্তান্তর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ মূলক ব্যবস্থা, বাণিজ্য বাধা, বিনিয়োগ, ঋণ মওকুফ ও জ্বালানি রূপান্তর-এসব বিষয়ে ওই দেশের নীতি কী হবে। এসব নীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং একটি দেশের অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি এসব নীতির ওপর নির্ভর করে।

জনতুষ্টির লক্ষ্য নিয়ে যারা রাজনীতি করে, তারা যদি নির্বাচনে জিতে যায়, তাহলে সেসব সরকার বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অভিবাসনে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপের পথে হাঁটতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজের জননীতির অধ্যাপক ডায়ান কোয়েল বলেন, এসব নীতি বৈশ্বিক অর্থনীতিকে এমন এক দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা আমাদের পরিচিত অর্থনীতি থেকে পুরোপুরি অন্যরকম। নিশ্চল আয়, জীবনযাত্রার মানের অবনতি ও ক্রমশ প্রকট হওয়া বৈষম্যের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশ্বায়নের বিষয়ে সন্দেহ-অবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলেছে। ডায়ান কোয়েল যেমনটা বলেছেন, বিশ্বে যখন বাণিজ্য কমে যায়, তখন মানুষের আয়ও কমে। আর সে কারণেই একটি দুষ্টচক্র গড়ে ওঠার আশঙ্কা বাড়ে। কারণ, ডানপন্থী জাতীয়তা বাদীদের ক্ষমতায় আসার ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি দুর্বল করতে পারে। ডায়ান কোয়েল মনে করেন, এতে অর্থনীতির সম্ভাবনায়ও ক্ষত তৈরি হয়। অনেক অর্থনীতিবিদ বর্তমান অবস্থার সঙ্গে ১৯৭০ দশকের পরিস্থিতির তুলনা করেন। তবে ডায়ান কোয়েল অবশ্য মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে বরং ১৯৩০ দশকের মিল অনেক বেশি। সে সময়ের অস্থির রাজনীতি ও আর্থিক অসাম্য জনতুষ্টিবাদ উসকে দিয়েছিল। ফলে বাণিজ্যিক লেনদেন কমে, আর বাড়ে কট্টর রাজনৈতিক ভাবনা। নির্বাচনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষের নির্বাচন হবে ভারতে। এটি এ মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধির অর্থনীতি, চীনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশটি বিশ্বের উৎপাদন কেন্দ্র হতে চায়। জানুয়ারিতে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে আরেক দফা উত্তেজনা তৈরি হতে পারে।

মেক্সিকোতে জ্বালানি ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নীতি কী হবে, তা ঠিক করবেন ভোটাররা। আর ইন্দোনেশিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট নিকেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ ধাতুর বিষয়ে নীতি পরিবর্তন করতে পারেন। অন্যদিকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে এযাবৎ কালের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচন এরই মধ্যে নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখা শুরু করেছে। সম্প্রতি ইউরোপের ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম এবং মার্কিন হুইস্কি ও মোটরসাইকেলের শুল্ক নিয়ে আলোচনা আগামী নির্বাচনের পর করার বিষয়ে ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলস একমত হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্ভবত রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হবেন। তিনি প্রবল ভাবে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের পক্ষে। তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে আসা সব পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। এটি হবে এমন একটি পদক্ষেপ, যা পৃথিবীর অন্য দেশকেও একই রকম পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথাবার্তা একনায়কদেরই স্মরণ করিয়ে দেয়। ইতিমধ্যেই তিনি যথেষ্ট জোরালো ইঙ্গিত দিয়েছেন, আবার নির্বাচিত হলে তিনি ইউরোপের সঙ্গে আমেরিকার দীর্ঘদিনের অংশীদারত্ব ভেঙে দেবেন, ইউক্রেনের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেবেন এবং চীনের সঙ্গে আরও সংঘাতমূলক অবস্থান গ্রহণ করবেন। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইওয়াই-পার্থেনন সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলেছে, এ নির্বাচনের ফলাফল অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক নীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখতে পারে। এসব নীতির মধ্যে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন, বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ আরোপ ও বৈশ্বিক জোটের বিষয়াবলি।

২০২৪ সালের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস এখন পর্যন্ত মিশ্র। বিশ্বের বেশির ভাগ অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি শ্লথ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বেশ অনেকগুলো উন্নয়নশীল দেশ ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হবে, এমন আশঙ্কা রয়েছে। তবে ইতিবাচক দিক হলো, মূল্যস্ফীতির দ্রুত পতন কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোকে সুদের হার কমাতে কিংবা এ হার আর না বাড়াতে উৎসাহিত করছে। ঋণ করার খরচ কমে এলে বিনিয়োগ বাড়ে এবং মানুষ বাড়ি কেনেন। তবে বিশ্বে যেহেতু নতুন নতুন জোট হচ্ছে, তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ছে, তাই অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার উদ্বেগ গুলো আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি বিবেচনা করা হবে। রাশিয়ার তেল, গ্যাস ও কয়লা আরও বেশি পরিমাণে কিনছে চীন, ভারত ও তুরস্ক। ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর ইউরোপ রুশ জ্বালানি কেনা ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছিল। এ সময়েই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বাড়লে ওয়াশিংটন বিদ্যুৎ-চালিত গাড়ি, সেমিকন্ডাক্টর ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় বলে বিবেচিত অনেক খাতে বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা দিতে শুরু করে। লোহিত সাগরে জাহাজের ওপর ইরান-সমর্থিত হুতি গোষ্ঠীর ড্রোন ও মিসাইল হামলা বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে বিভক্তির চিত্রটি আরও পরিষ্কার করেছে। ইওয়াই-পার্থেননের ভূরাজনীতি বিষয়ক বিশ্লেষক ও প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা প্রতিবেদনের লেখক কোর্টনি রিকার্ট ম্যাকক্যাফ্রি বলেন, সাম্প্রতিক সময় ইয়েমেন, হামাস, আজারবাইজান ও ভেনেজুয়েলার মতো শক্তির উত্থান ঘটেছে, যারা আর প্রচলিত ব্যবস্থা মেনে নিতে আগ্রহী নয়। যদিও এসব সংঘাত আকারে ছোট, তারপরও এগুলো অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে বিশ্বের সরবরাহব্যবস্থা ওলটপালট করতে পারে। 

ভূরাজনৈতিক শক্তিগুলো আগের চেয়ে বেশি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ছে। অনিশ্চয়তা অর্থনীতিকে নির্জীব করে তোলে। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ, ব্যবসা সম্প্রসারণ ও কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠাগুলো ধীরে চলো নীতি নিয়ে আগায়। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক জরিপে দেখা গেছে, প্রধান অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে ভূরাজনৈতিক ও ভূ-অর্থনৈতিক সম্পর্কে অব্যাহত অস্থিরতা সরকারি ও বেসরকারি খাতের জন্য মূল উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই চলমান সামরিক সংঘাত, চরম আবহাওয়া ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশে নির্বাচন ২০২৪ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে তেমন কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে না।অর্থনীতির গতি কমে যাওয়ার কারণে চীন শিগগিরই বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ হতে পারছে না। এমনকি ভবিষ্যতে কোনো এক সময় তারা শীর্ষস্থানে উঠলেও বেশি দিন সেখানে থাকতে পারবে না। চীনের অর্থনীতিতে যে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে, সেটি অনেক গভীর হচ্ছে।ব্লুমবার্গ ইকোনমিকসের সূত্রে ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, এখন ধারণা করা হচ্ছে, ২০৪০-এর দশকের মধ্যভাগে চীনের জিডিপি মার্কিন জিডিপি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে সেটা ঘটলেও চীন যে খুব বেশি এগিয়ে যেতে পারবে, তা নয়। এমনকি বেশি দিন তারা শীর্ষস্থানে থাকতে পারবে, তা-ও মনে করে না ব্লুমবার্গ ইকোনমিকস। অথচ মহামারির আগে তাদের ধারণা ছিল, চীন ২০৩০-এর দশকের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে। অর্থনীতিবিদেরা এখন মনে করছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের প্রবৃদ্ধির হার ২০৩০ সালে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ২০৫০ সালে ১ শতাংশে নেমে আসতে পারে। এ পরিস্থিতিতে চীন কবে নাগাদ যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি হতে পারবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যায় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
সিএনএনের রিপোর্ট: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান
সিএনএনের রিপোর্ট: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যেকার যুদ্ধ এরইমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। ফলে স্থানীয় ও বৈশ্বিক শক্তিগুলোর মধ্যে একটি সংঘর্ষ দিন ...
এসপির শীতবস্ত্র পেল আবিরনগরবাসী
এসপির শীতবস্ত্র পেল আবিরনগরবাসী
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ তাঁর নিজ হাতে আবিরনগর গ্রামের অসংখ্য অসহায় নারী-পুরুষের হাতে শীতবস্ত্র (কম্বল) উপহার তুলে ...
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কানের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইসে পরীক্ষা দেয়ায় আজিম আটক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কানের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইসে পরীক্ষা দেয়ায় আজিম আটক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার দায়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে এক পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারী) সকালে ...
বোয়ালখালীতে ২ দিনব্যাপী ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও উরছে গাউসুল আজম দস্তগীর (র.)মাহফিল সম্পন্ন
বোয়ালখালীতে ২ দিনব্যাপী ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও উরছে গাউসুল আজম দস্তগীর (র.)মাহফিল সম্পন্ন
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে দুইদিনব্যাপী আজিমুশশান ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (দঃ) ও ওরছে গাউসুল আজম আব্দুল কাদের জিলানী (র.) মাহফিল (৩০-৩১ জানুয়ারি) বুধবার -বৃহস্পতিবার ...
ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ সাইকেল উদ্ধারসহ ২ চোর গ্রেফতার
ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ সাইকেল উদ্ধারসহ ২ চোর গ্রেফতার
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় আটটি বাইসাইকেল উদ্ধারসহ দুইজন চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার রুহিয়া থানাধীন এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নিজ বাড়ি ...
স্মার্ট ট‍্যুরিজম করতে হলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে আরো বেশি সাজাতে হবে
স্মার্ট ট‍্যুরিজম করতে হলে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পকে আরো বেশি সাজাতে হবে
কক্সবাজারে সাউদ এশিয়া স‍্যোশাল কালচারাল কাউন্সিল ও সাউদ এশিয়া বিজনেস পার্টনারশীপের আয়োজনে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা, ...
লক্ষ্মীপুরে হযরত শাহজালাল (রহঃ)আইডিয়াল স্কুলের পিঠা উৎসব
লক্ষ্মীপুরে হযরত শাহজালাল (রহঃ)আইডিয়াল স্কুলের পিঠা উৎসব
নানা আয়োজনে হযরত শাহজালাল (রহ:) আইডিয়াল স্কুলে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রথমবারের মতো দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন ...
ডলারের বিপরীতে টাকা ধার দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
ডলারের বিপরীতে টাকা ধার দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশে দীর্ঘ দুই বছর ধরে চলছে ডলার সংকট। এর সঙ্গে ব্যাংক খাতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে তারল্য সংকট। তাই ডলার ...
বিএনপি’র বিরুদ্ধে মামলা বেশি খুলনায় এরপর ঢাকা, রাজশাহী
বিএনপি’র বিরুদ্ধে মামলা বেশি খুলনায় এরপর ঢাকা, রাজশাহী
মামলা, গ্রেপ্তারে জেরবার বিএনপি। নির্বাচন এলেই মামলার গতি বেড়ে যায়। জেলা-উপজেলায় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার হিড়িক পড়ে। এবারো জেলায় জেলায় মামলা ...
১০
রাখাইনের উন্নয়নে রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের শান্তিপূর্ণ সহবস্থান নিশ্চিত করতে হবে
রাখাইনের উন্নয়নে রোহিঙ্গা ও রাখাইনদের শান্তিপূর্ণ সহবস্থান নিশ্চিত করতে হবে
২০১৭ সালের আগস্ট মাসে স্থানীয় রাখাইন ও মিয়ানমার সেনাবাহিনী মিলে রোহিঙ্গাদের উপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে তাদেরকে তাদের ভিটেমাটি ছাড়তে বাধ্য ...
 
হাতীবান্ধায় মাথা বিহীন মরদেহ উদ্ধারের একদিন পরে মাথা ও হত্যায় ব্যাবহার কৃত ছুড়ি উদ্ধার
হাতীবান্ধায় মাথা বিহীন মরদেহ উদ্ধারের একদিন পরে মাথা ও হত্যায় ব্যাবহার কৃত ছুড়ি উদ্ধার
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় মাথা বিহীন মরদেহ উদ্ধারের একদিন পরেই  মাথা ও হত্যায় ব্যাবহার কৃত ছুড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানাগেছে, হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ...
সুন্দরবনে অভয়ারন্য এলাকায় মাছ ধরার অপরাধে ৫ জেলে আটক
সুন্দরবনে অভয়ারন্য এলাকায় মাছ ধরার অপরাধে ৫ জেলে আটক
সুন্দরবন খুলনা রেঞ্জের অধিনস্থ নীলকমল টহল ফাঁড়ির প্রবেশ নিষিদ্ধ পুটনিরদীপ এলাকায় মাছ ধরার অপরাধে ৫ জেলে আটক করেছে বন বিভাগ। ...
মাশরাফির সমালোচনা নিয়ে যা বললেন আকরাম খান
মাশরাফির সমালোচনা নিয়ে যা বললেন আকরাম খান
পুরোপুরি ফিট না হয়ে বিপিএলে খেলায় মাশরাফি বিন মুর্তজার সমালোচনা করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। তার মতে আনফিট ...
অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে যে পোস্ট দিলেন রাজ
অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে যে পোস্ট দিলেন রাজ
পরীমনির ছেলে রাজ্যর অসুস্থতার খবর ইতোমধ্যে সকলেরই জানা। তবে দু’দিন আগে ছেলের সুস্থ হওয়ার খবরও জানিয়েছিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই নায়িকা। ...
ভোটের পর মাঠের কর্মসূচিতে বিরোধীরা
ভোটের পর মাঠের কর্মসূচিতে বিরোধীরা
জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে ফের রাজপথে নামছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। ‘একতরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ বাতিলের দাবিতে আজ জেলায় জেলায় ...
সিদ্ধান্তের আগেই সংসদে বিরোধী দলের আসন বিন্যাস
সিদ্ধান্তের আগেই সংসদে বিরোধী দলের আসন বিন্যাস
বিরোধী জোটের বর্জনের মধ্যে হওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই সংসদে বিরোধী দল কে হবে- এনিয়ে নানা আলোচনা রয়েছে। ...
আরেক দফা বেড়েছে রোজার পণ্যের দাম
আরেক দফা বেড়েছে রোজার পণ্যের দাম
সপ্তাহের ব্যবধানে রোজায় ব্যবহৃত পণ্য- ছোলা, ভোজ্যতেল, ডাল, পেঁয়াজের দাম আরেক দফা বেড়েছে। পাশাপাশি সব ধরনের মসলা পণ্যের দামও বাড়তি। ...
‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা পাচ্ছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
‘পদ্মশ্রী’ সম্মাননা পাচ্ছেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
প্রথিতযশা রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ভারতের পদ্মশ্রী সম্মাননা পাচ্ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে এ পদ্ম সম্মাননা পাওয়া ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা ...
এবার ব্যাংকে তাৎক্ষণিক লেনদেনে ইউয়ান
এবার ব্যাংকে তাৎক্ষণিক লেনদেনে ইউয়ান
এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে তাৎক্ষণিক লেনদেন নিষ্পত্তির অনলাইন মাধ্যম রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট বা আরটিজিএস। এতদিন ডলার, পাউন্ড, ইউরো, ...
১০
সিপিডির সংলাপে বক্তারা: অনিয়ম দুর্নীতিতে বিমা খাতে আস্থার সংকট
সিপিডির সংলাপে বক্তারা: অনিয়ম দুর্নীতিতে বিমা খাতে আস্থার সংকট
বিমা খাত থেকে টাকা পয়সা নিয়ে অনেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ঘুরেও বিমার টাকা তোলা যাচ্ছে না। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে বর্তমানে তীব্র ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com