/ মতামত / পথশিশুদের নিয়ে কেউ ভাবেনা
পথশিশুদের নিয়ে কেউ ভাবেনা
মো.শামীম মিয়া:
|
ইংরেজি নতুন বছরের আগমন,পুরাতন বছরের দুঃখ-কষ্ট মুছে যাক, সুখি সমৃদ্ধে ভরে যাক সবার জীবন। বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জানুয়ারীর প্রথম তারিখেই প্রাথমিক পর্যায় থেকে উচ্চ পর্যায়ের সকল শিক্ষাথীদের মাঝে নতুন বই বিতারণ হয়েছে। নতুন বইয়ের গন্ধে আনন্দিত সব শিক্ষার্থী। বই পাওয়া শিশুদের পবিত্র হাসি দেখলেই বুঝা যায়,এরাই জাতির কর্ণধার,দেশের ভবিষ্যত, এক ভাস্বর জ্যোতি। এরাই একদিন আমাদের এই দেশটা পরিচালনা করবে। গড়বে জাতির জনকের সোনার বাংলাদেশ। একদিকে নতুন বই পেয়ে যখন আনন্দিত ভাগ্যবান শিশুগুলো, তখন অন্যদিকে খাদ্যের সন্ধ্যানে ব্যস্থ কিছু শিশু। এরা হত দরিদ্র, বসতহীন, পথশিশু বা পথকলি। এরা দারিদ্রের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে,অবহেলা,অনাদর ও অযতেœ বেড়ে ওঠা মানুষ রুপি মানুষ মাত্র। এরা মানুষ হয়ে জন্ম নিলেও, মানুষের প্রায় সব রকম মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এরা জন্মের পর থেকে মা-বাবার ভালোবাসা আদর, ¯েœহ থেকেও বঞ্চিত। এরা ময়লা আর্বজনা কুড়িয়ে ক্ষুধা নিবারণ করে। আজকের এই সমাজে তারাই যেন সর্বোচ্চ অবহেলিত মানুষ রুপি শিশু। পথশিশু রোধে সরকারের দৃষ্টি থাকলেও অহরহ সৃষ্টি হচ্ছে পথশিশু। গুণীজনরা বলেন, পথশিশুদের শারীরিক,মানসিক, বিকাশে যেমন অন্তরায়,তেমনী যে কোন মুহুতে র্দূঘটনার আশষ্কা থেকে যায়। সম্প্রতি যৌন র্নিযাতন বিরোধী নীত-মালা বেশ আলোচনা হলেও পথশিশু কিশোরীদের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছে না কেউ। পথে ঘাটে রাত যাপনের ফলে, তারা নানান ভাবে যৌন র্নিযাতনের শিকার হয়,অথচ সংশ্লিষ্টদের কোন ভাবনা নেই। পথশিশু বলে আমাদের সমাজ তাদের কাজ দেয়না। অনেক সময় তারা বাধ্য হয়েই পতিতাবৃত্তি, ভিক্ষাবৃত্তি ,চুরি, ডাকাতি,ছিনতাই, মাদক পাচার, এর মত নানান মুখি অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। সরকারী সহায়তা অনেক,কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে হতদরিদ্র পথশিশুদের কাছে তা পৌছেনা। খাতা কলমের পৃষ্টা ভরা ঠিকই থাকে বিতারনের চিত্র দিয়ে। আমি ব্যক্তিগত জীবনে একজন শিশুশ্রমিক,থেকে আজ তরুন শ্রমিক। শুধু দুর থেকেই দেখার সৌভাগ্য হয়েছে সাহেবদের নিষ্ঠুরতা। সহায়তা দুরের কথা শান্তনা পযন্ত পাইনী কারোর। আমার মতো লাখ লাখ শিশু সরকারী সহায়তা থেকে বঞ্চিত। শুধু দুষ্টু কিছু কর্মর্কতার জন্য। আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক,আমরা চাই নাগরিকত্ব। চাই মৌলিক অধিকার গুলো। শিক্ষা চাই, ভিক্ষা নয়। আমি আজ কয়েক লক্ষ্য পথশিশু শিশুশ্রমিকের পক্ষ হয়ে এই পত্রিকার মাধ্যম আমাদের দুঃখ কষ্ট জানাতে চাই, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি,জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশ রতœ, বতমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাকে। কেন না আপনী আমাদের পিতা-মাতা। আপনী ছাড়া আমাদের পাশে কেউ দ্বারাবেনা জানি। আপনার জীবন যে জাতির জনকের আদর্শে গড়া। আপনী আমাদের আশা, ভরসা। মাতা, আপনী জানেন ইতি মধ্যে রাজন রাকিবসহ অনেকে তাদের মূল্যবান জীবন দিয়ে বুঝিয়েছে আমরা শিশুশ্রমিকরা কতটা কষ্টে বা নিষ্টুরতার মধ্যে আছি। আমরা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত সব শিশু আপনার মমতা মাখা আঁচলের ছায়ায় আশ্রয় চাই। আমরা আর এই সমাজে, পথশিশু হয়ে থাকতে চাইনা। কুকুরের সাথে যুদ্ধ করে খাবার খেতে চাইনা, রাতে পথে ঘাটে ঘুমাতে চাইনা। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে বাঁচতে চাই,গড়তে চাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ। চাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে। তাই আমরা অধিকার বঞ্চিত পথশিশু বা শিশুশ্রমিকদের কে আতœশক্তিতে বলীয়ান করে তুলতে চাই উপযুক্ত শিক্ষা ও অনুকুল পরিবেশ। আমরা কয়েক লাখ অধিকার বঞ্চিত শিশু বিশ্বাস করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বছরে পথশিশু, শিশুশ্রম রোধে আপনী একটি ইতিহাস সৃষ্টি করবেন সুদৃষ্টি দিয়ে।
মো.শামীম মিয়া: শিক্ষার্থী, জুমারবাড়ী আদর্শ ডিগ্রী কলেজ,সাঘাটা, গাইবান্ধা। |