![]() জোটবদ্ধ ভোটের চিন্তা এনসিপির নেতাদের
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() এ ক্ষেত্রে বিএনপির সঙ্গে নয়, তবে ডানপন্থি ব্লকের সঙ্গে জোট হতে পারে বলে এক ধরনের আলোচনা রয়েছে এনসিপির ভেতরে। তার আগ পর্যন্ত সারা দেশে দল গোছানো ও দলের নিবন্ধনের মনোযোগ রাখতে চায় দলটি। এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের ডজনখানেক নেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। তবে আগামী নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে একটি সূত্র। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, এখনই নির্বাচনি তৎপরতায় যেতে চায় না এনসিপি। নতুন দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেতে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ এবং সাংগঠনিক বিস্তৃতির দিকে পূর্ণ মনোযোগ রয়েছে। পাশাপাশি মৌলিক সংস্কার, জুলাই গণহত্যার বিচার এবং একই সঙ্গে গণপরিষদ ও আইনসভা নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার থাকবে এনসিপি। সমান্তরালভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতিও চলছে ভেতরে ভেতরে। ৩০০ আসনেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাজ করতে বলা হয়েছে। তারা আরো বলছেন, জুলাই সনদ ঘোষণা, দলের নিবন্ধন পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী জোর তৎপরতা শুরু করবে এনসিপি। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এককভাবে নাকি জোটগতভাবে নির্বাচন করবে দলটিÑ সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত জোটগতভাবেই নির্বাচন করার আলোচনা প্রবলভাবে রয়েছে এনসিপি নেতাদের ভেতরে। সবশেষ ঘোষিত নির্বাচনের টাইমফ্রেম অনুযায়ী, চলতি বছরের ডিসেম্বরের দিকে তফসিল ঘোষণা হওয়ার কথা। এনসিপি নেতাদের মতে, জুলাই আন্দোলনের মিত্র ডান ও বাম দলগুলোর সঙ্গে জোট হতে পারে এনসিপির। এ ক্ষেত্রে বিএনপি জোটের সঙ্গে একতাবদ্ধ হওয়ার তেমন একটা সম্ভাবনা নেই। ইসলামি দলগুলোর শক্তিশালী একজোট হলে সেদিকে ভিড়তে পারে এনসিপি। আবার সমমনা দলগুলোকে নিয়েও আলাদা একটি জোট গঠন করতে পারে তারা। রাজনৈতিক মেরুকরণ পর্যালোচনা করে তফসিল ঘোষণার পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। দুজন যুগ্ম আহ্বায়ক, দুজন যুগ্ম সদস্যসচিব ও দুজন যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জানিয়েছেন, নতুন দল হিসেবে এই মুহূর্তে সংগঠন বিস্তৃতির দিকে এনসিপির পূর্ণ মনোযোগ। তবে মৌলিক সংস্কার শেষে প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত নির্বাচনের টাইমফ্রেমের মধ্যে ভোটের ব্যাপারে আপত্তি নেই। সে অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশ নিতেও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিপি। তবে স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের স্থায়ী ও টেকসই পদ্ধতি নিশ্চিত করতে গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচন একই সঙ্গে হতে হবে। এ ছাড়া নির্বাচনের আগেই প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার এবং জুলাই গণহত্যার বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতি হতে হবে। এ বিষয়ে এনসিপির একজন যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, জোটের সম্ভাবনা এনসিপি নাকচ করে না। কর্মসূচি ও এজেন্ডার ভিত্তিতে নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট হতে পারে। তবে এনসিপির আপাতত প্রধান বিবেচনা ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো একক সক্ষমতা তৈরি করা। সব আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় এনসিপি। জোট করা বা না করার ব্যাপারে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে হলে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন লাগবে। নিবন্ধনের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে এনসিপিকে। দলটির একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়, কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ (২২ জেলা) জেলায় কার্যকর কার্যালয় এবং অন্তত ১০০ উপজেলায় কার্যালয় থাকা এবং দলের গঠনতন্ত্রের সুনির্দিষ্ট কিছু বিধান স্পষ্টভাবে থাকতে হবে। ইসির নিবন্ধনের বর্তমান আইনকে ‘কালো আইন’ আখ্যায়িত করে সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী সংশোধনের দাবি করে আসছে এনসিপি। তবে গত সোমবার এনসিপির নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন ও সংগঠনকে গতিশীল করতে সাংগঠনিক কার্যক্রমের সর্বশেষ তথ্য জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ১৩টি সেল, ১০টি উইং, ৩০টি জেলা কমিটি, ১২০টি উপজেলা কমিটি এবং ২টি মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া এনসিপির গঠনতন্ত্রের খসড়া প্রায় প্রস্তুত হয়েছে বলেও জানা গেছে। এ নিয়ে আলোচনা হলেও এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে শিগগিরই দলের বৈঠকে এটি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। জানতে চাইলে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমরা দল গোছানোর কাজ করছি। অনেক সেল ও উইং গঠন করা হয়েছে। জেলায় জেলায়, উপজেলায় কমিটি দেওয়া হচ্ছে। দলের নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দলের গঠনতন্ত্রও প্রস্তুত হচ্ছে।’ এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব মশিউর রহমান বলেন, ‘এই মুহূর্তে দলগতভাবে আমরা নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছি। বিচার ও মৌলিক সংস্কারের পর অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত হলে এনসিপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে।’ তবে আগামী নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে একটি সূত্র। সূত্রমতে, বিদ্যমান ব্যবস্থায় এনসিপি নির্বাচন করবে না। বর্তমান অবস্থা থাকলে একটি কার্যকর নির্বাচনের পরিবেশ থাকবে না। জুলাই সনদ কেমন হয়, সংস্কার কতটা এগোয় এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত হয় কি না— এসব ব্যপারে পর্যালোচনা করে নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এনসিপি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নতুন দল এনসিপির আত্মপ্রকাশ ঘটে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। গত বছরের জুলাইয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার উৎখাতের পর জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করেন তারা। ফলে তরুণদের নতুন দল হিসেবে এনসিপির নির্বাচনী ইশতেহারে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব পাবেÑ সেটি এখনো ঠিক হয়নি। তবে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন ঐকমত্যের ভিত্তিতে মৌলিক সংস্কারের জুলাই সনদ হতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ও বাধার কারণে সনদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো কার্যকর না হলে তা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে থাকবে। এনসিসি ও সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদসহ জরুরি সংস্কারগুলো না হলেও তা জনগণের কাছে নিয়ে যাবে এনসিপি। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তর জন্য কাজ করবে দল। তরুণদের কর্মসংস্থান এবং প্রবাসীদের ভোটাধিকারসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষগুলো ইশতেহারে থাকবে। দলটির আরেকজন যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন এনসিপির প্রধান রাজনৈতিক এজেন্ডা হিসেবে আছে। এর পাশাপাশি উদ্যোক্তা তৈরি, বেকারত্ব নিরসন, পাচার বন্ধ করে উৎপাদনশীল অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরির দিকে এনসিপি মনোযোগ দেবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, দায় ও দরদের সমাজ গঠনসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করবে দলটি। নির্বাচনকে মাথায় রেখে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচি জনগণের সামনে আনা হবে। সম্প্রতি লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কোন কোন বিষয়ে কী কী সমঝোতা হয়েছে, সেদিকে কড়া নজর এনসিপির। বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে যা বলা হয়েছে, তার বাইরে নির্বাচনের পাশাপাশি অন্য বিষয়গুলো প্রকাশ করা হয়নি। ফলে সেসব বিষয় সামনে কেন আনা হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে এনসিপি নেতাদের। ৫০ আসনে সক্রিয় সম্ভাব্য প্রার্থীরা সাড়ে তিন মাস হলো এনসিপির বয়স। এর মধ্যে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতরের মতো বড় দুটি উপলক্ষ পেয়েছে দলটি। এ ছাড়া পবিত্র রমজানেও ইফতার পার্টি ছিল। ফলে এসব উপলক্ষে অন্তত ৫০টি সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় দেখা গেছে এনসিপি নেতাদের। তারা ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়, জনসংযোগে, পোস্টারিংয়ের পাশাপাশি দল গোছানোর কাজও করছেন এই সময়ে। দুই ঈদে নিজ নিজ এলাকায় জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের পাশাপাশি নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান, সভার আয়োজন করেন এনসিপি নেতারা। প্রীতি ফুটবল, ক্রিকেট খেলাসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও স্থানীয় সংখ্যালঘু ও অনগ্রসর সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন তারা। তবে আগামী নির্বাচনে এনসিপি ৩০০ আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করলেও এখন পর্যন্ত তা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। দলটি বলছে, যে যে নেতা আসনে নির্বাচন করতে আগ্রহী, তাদের সেভাবে কাজ করতে বলেছে হাইকমান্ড। সে অনুযায়ী, যে যার মতো কাজ করছেন নিজ নিজ এলাকায়। শেষ পর্যন্ত নানা হিসাব-নিকাশ করে প্রার্থী ঠিক করবে এনসিপি। সে ক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। ঢাকা-১১ ও ঢাকা-৯ আসন থেকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, নিজ এলাকা রংপুর-৪ থেকে সদস্যসচিব আখতার হোসেন, পঞ্চগড়-১ আসন থেকে উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, কুমিল্লা-৪ আসন থেকে দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, চাঁদপুর-৫ থেকে মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, নোয়াখালী-৬ থেকে সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, ভোলা-১ আসন থেকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, ঢাকা-১৪ থেকে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, নরসিংদী-২ থেকে যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার তুষার, কুষ্টিয়া-১ আসন থেকে যুগ্ম আহবায়ক নুসরাত তাবাসসুম, ঢাকা-১৭ আসন থেকে সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনীম জারা নির্বাচন করতে পারেন। এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক মনিরা শারমিন নওগাঁ-৫, মাহবুব আলম লক্ষ্মীপুর-১, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন পটুয়াখালী-২, ড. আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রাম-২, আশরাফ উদ্দীন মাহাদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জ-৪, আকরাম হুসেইন ঢাকা-১৩, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ সিরাজগঞ্জ-২, সালেহ উদ্দিন সিফাত ফেনী-২, মীর আরশাদুল হক চট্টগ্রাম-১৬, মশিউর রহমান ঝালকাঠি-১, মাহিন সরকার সিরাজগঞ্জ-৫, জয়নাল আবেদীন শিশির কুমিল্লা-১০, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার টাঙ্গাইল-৩, মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ গাজীপুর-৩, অলিক মৃ টাঙ্গাইল-১ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। সম্ভাব্য অন্য প্রার্থীদের মধ্যে আবু সাঈদ লিয়ন নীলফামারী-৪, ডা. মাহমুদা মিতু বরিশাল-৫, মোল্যা রহমতুল্লাহ্ বাগেরহাট-৩, এস এম শাহরিয়ারের পরিবার ঢাকা-৫, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক গোলাম মর্তুজা সেলিম ঠাকুরগাঁও-৩, ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু খুলনা-১, সাকিল আহমাদ মেহেরপুর-২, আশিকিন আলম ময়মনসিংহ-৯, তুহিন মাহমুদ নারায়ণগঞ্জ-৩, আবদুল্লাহ আল ফয়সাল নরসিংদী-৫, খান মুহাম্মদ মুরসালীন ঢাকা-৬, নাভিদ নওরোজ শাহ্ কুমিল্লা-৬ থেকে নির্বাচন করতে পারেন। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চলের সংগঠক আবদুল্লাহ আল মনসুর ফেনী-২ ও মিরাজ মেহরাব তালুকদার ময়মনসিংহ-৫ এবং সদস্য আবদুল্লাহিল মামুন নিলয় নরসিংদী-৩, ইমরান হোসেন ঢাকা-২, এহসানুল মাহবুব জোবায়ের ফেনী-১, ফাহিম রহমান খান পাঠান নেত্রকোনা-২, সোহেল রানা মেহেরপুর-১ ও সাইয়েদ জামিল রাজবাড়ী-২ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন বলে জানা গেছে। |