![]() নরসিংদীতে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, ওসিসহ আহত ৪
নতুন বার্তা, নরসিংদী:
|
![]() রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় পলাশ সদরের বিএডিসি মোড় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনির হোসেনও আহত হন। অন্যান্য আহতরা হলেন জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল, তার সমর্থক সোহেল আহমেদ (২৫) ও ছাত্রদল কর্মী ইসমাইল হোসেন (২৬)। এদের মধ্যে ইসমাইল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, বিকেলে পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন বাদশার নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে শোডাউনের উদ্দেশ্যে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি বিএডিসি মোড় এলাকায় গেলে বিপরীত দিক হতে জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের নেতৃত্বে তার সমর্থকদের একটি শোডাউনের মুখোমুখি হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী ইসমাইল হোসেন, বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েল ও সোহেল আহমেদ। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এসময় পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন এলোপাতাড়ি মারপিটে আহত হন। আহতদের মধ্যে ইসমাইল ও সোহেলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আর ফজলুল কবির জুয়েলকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকেও ঢামেকে পাঠানো হয়। এছাড়া আহত ওসি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন জানান, সংর্ঘষের সময় ফজলুল কবির জুয়েল দৌড়ে পাশ্ববর্তী একটি মসজিদে আশ্রয় নেয়। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে মসজিদের ভেতর থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে এলোপাতাড়ি কোপোতে থাকে। এসময় পলাশ থানার ওসি ফেরাতে গেলে তিনিও এলোপাতাড়ি মারপিটে আহত হন। পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন জানান, দুপক্ষের শোডাউন মুখোমুখি হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ তিনজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আমিও আহত হয়েছি। তবে বড় ধরণের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। |