![]() ইসরায়েলের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে, প্রমাণ পেল ইরান
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() তেহরানে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে রোববার (১৫ জুন) এক বৈঠকে আরাঘচি বলেন, ইরানের ওপর ইসরায়েল যে হামলা চালাচ্ছে, তার জবাব দেওয়া এবং আত্মরক্ষার অধিকার ইরানের আছে। শুক্রবার (১৩ জুন) থেকে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল একা এসব হামলা চালাতে পারত না, যদি যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা না থাকত। আরাঘচি বলেন, ইরান ঘটনাগুলো খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছে এবং প্রচুর প্রমাণ রয়েছে যে, আমেরিকার সেনাবাহিনী ইসরায়েলকে সহায়তা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রমাণের চেয়েও বড় বিষয় হলো- যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়েছেন। এর অর্থ হলো, এ হামলার দায় যুক্তরাষ্ট্রেরও আছে এবং তাদের জবাবদিহি করতে হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে যে তারা এসব হামলাকে সমর্থন করে না এবং ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার নিন্দা করতে হবে। তেহরান আশা করছে, যুক্তরাষ্ট্র এসব হামলা থেকে নিজেকে দূরে রাখবে। আরাঘচি আরও বলেন, ইরানের ওপর ইসরায়েলের এ হামলার বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও চুপ রয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি জানান, ইরান শুধু আত্মরক্ষা ও আগ্রাসনের জবাব দিতে ইসরায়েলের দখলকৃত এলাকায় সামরিক ও অর্থনৈতিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। আরাঘচি বলেন, প্রথম দিন ইরান শুধু ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু পরের দিন ইসরায়েল যখন ইরানের অর্থনৈতিক স্থাপনায় আক্রমণ শুরু করে, তখন শনিবার রাতে ইরানও পাল্টা জবাব দেয় এবং তাদের অর্থনৈতিক স্থাপনায় হামলা চালায়। শুক্রবার ভোরে ইসরায়েল তেহরানের কিছু আবাসিক এলাকা, সামরিক ঘাঁটি ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এ হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, অন্তত ছয়জন পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং অনেক সাধারণ মানুষ শহিদ হয়েছেন। এ হামলার জবাবে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলের দখলকৃত বিভিন্ন শহরে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা আঘাত হানে। সূত্র : মেহের নিউজ |