![]() প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তারেক রহমান
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() শুক্রবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে বাসা থেকে রওনা দেন তিনি। দুপুর ২টায় পার্ক লেনের হোটেল ডোরচেস্টারে বৈঠকটি শুরু হবে। চার দিনের সরকারি সফরে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে সেখানে পৌঁছান তিনি। অন্যদিকে, ২০০৮ সাল থেকে সপরিবারে লন্ডনে অবস্থান করছেন তারেক রহমান, যিনি কার্যত এখন বিএনপির মূল নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ড. ইউনূস-তারেক রহমানের এই বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা হচ্ছিল। এমন অবস্থায় গত সোমবার সরকার ও বিএনপির তরফ থেকে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এর পর থেকেই বৈঠকের আলোচ্যসূচি কী হবে, তারেক রহমান কোন কোন বিষয় তুলে ধরবেন, সেটা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানামুখী আলোচনা হতে থাকে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কোন কোন ইস্যুতে আলোচনা করবেন, গত সোমবার অনুষ্ঠিত দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সেই দায়িত্ব পুরোপুরি তারেক রহমানের ওপর অর্পণ করা হয়। দলীয় সূত্রগুলো বলছে, বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে মূলত তিনটি ইস্যু প্রাধান্য পেতে পারে। নির্বাচন, সংস্কার এবং বিচার। তবে মূল ফোকাস থাকবে নির্বাচনের ওপর, বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় এগিয়ে নিয়ে আসা। ঈদুল আজহার আগের দিন অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে, সেটিকে যৌক্তিক মনে করছে না বিএনপি। দলটি মনে করে, নির্বাচনের জন্য চলতি বছরের ডিসেম্বরই উপযুক্ত সময়। তবে নির্বাচন আগামী বছরের জানুয়ারি কিংবা ফেব্রুয়ারিতে অর্থাৎ রোজার আগে হলেও দলটির আপত্তি থাকবে না বলে বিএনপির অভ্যন্তরীণ একাধিক সূত্র বলছে। দলটির অভিমত, সর্বোচ্চ এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। ড. ইউনূসের সঙ্গে বহুল আলোচিত আজকের এই বৈঠকে তারেক রহমান সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়টি আরও সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরবেন বলে দলীয় সূত্রগুলো বলছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ কালবেলাকে বলেন, বৈঠকটি যেহেতু শীর্ষ পর্যায়ের, সেখানে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয় উঠে আসবে, বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় এগিয়ে নিয়ে আসার বিষয়টি আসবে। আলোচনায় আসবে সরকারের নিরপেক্ষতা বহাল রাখার বিষয়ও। এ ছাড়া দেশে আইনের শাসন ও আদালতের রায় মেনে চলার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হবে। সংস্কারের বিষয়টিও উঠতে পারে। আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই জিনিসগুলো দেখব। আশা করব যে, শীর্ষ পর্যায়ের এই আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে জাতীয় ভিত্তিতে একটা গ্রহণযোগ্য ফয়সালা বা সিদ্ধান্ত ওখানে হবে। এটা আমাদের প্রত্যাশা, জাতিরও প্রত্যাশা তাই। |