![]() ময়মনসিংহ
শ্রমিক সংকটে পচে নষ্ট হচ্ছে চামড়া
নতুন বার্তা, ময়মনসিংহ:
|
![]() ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানির পর বাজারে কাঁচা চামড়া আসতে শুরু করে। প্রথমদিন লবণ লাগিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। দ্বিতীয়দিন সকালেও লবণ ছাড়া প্রচুর পরিমাণ চামড়া হাটে এসেছে। বিকেলে এসব চামড়া পচার উপক্রম হয়েছে। প্রচণ্ড গরম আর বেশিক্ষণ লবণ ছাড়া রাখায় অনেক চামড়ায় পচন ধরতে শুরু করেছে। এদিকে পর্যাপ্ত শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না। আজহার আলী নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘প্রথমদিন কাজ করে অনেক শ্রমিক চলে গেছে। তাই দ্বিতীয়দিন সংকট দেখা দিয়েছে। গুটিকয়েক শ্রমিক সকাল থেকে হাটে চামড়ায় লবণ লাগানোর কাজ করছেন। ইতোমধ্যে অনেক চামড়া পচে গেছে।’ হাকিমুল ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, ‘প্রতি পিস চামড়ায় লবণ লাগালে ৭০ টাকা দেওয়ার কথা বলে আমাদের নিয়ে এসেছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। কিন্তু কাজ শেষে দিচ্ছেন ৫০ টাকা। তাই অনেক শ্রমিক চলে গেছে।’ আবদুর রশীদ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘ঈদের প্রথমদিন ও দ্বিতীয়দিন পর্যন্ত কাঁচা চামড়া কেনাবেচা হয়। এসময় চামড়ায় লবণ লাগানোর কাজ চলে দ্রুত গতিতে। কিন্তু এবার প্রথম দিনের অনেক কাঁচা চামড়া দ্বিতীয়দিন হাটে নিয়ে আসায় গরমে চামড়াগুলোতে পচন ধরছে।’ নজরুল ইসলাম নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, ‘প্রত্যেক শ্রমিককে ৭০ টাকা পিস হিসেবে মজুরি দিয়েছি। কোনো ব্যবসায়ী শ্রমিকদের ঠকিয়েছে আমার জানা নেই। ১ নম্বর চামড়া ৬০০-৭০০ টাকা ও ২ নম্বর চামড়াগুলো ১০০-২০০ টাকায় কিনেছি। লবণের খরচ ও শ্রমিকের মজুরি বাবদ প্রতি পিস চামড়ায় আরও ৩০০ টাকা খরচ হয়েছে।’ শম্ভুগঞ্জ চামড়া বাজারের ইজারাদার মো. শহীনুর রহমান শাহীন বলেন, ‘ট্যানারি মালিকসহ তাদের প্রতিনিধিরা এ হাটে আসতে পারে। এদিন ময়মনসিংহ বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা এখানে লবণযুক্ত চামড়া নিয়ে আসবেন। ব্যবসায়ীরা ট্যানারি মালিকরা ন্যায্যদামে চামড়া কিনলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে। আর সিন্ডিকেট করলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন হাটের ব্যবসায়ীরা।’ |