![]() আগৈলঝাড়ায় মালিকদের অজান্তে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে ৫শ’ একর জমিতে মৎস্য ঘের
অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে :
|
![]() স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের চাঁদত্রিশিরা গ্রামে ৪ কিলোমিটার জুড়ে কৃষি জমিতে স্ক্যাভেটর দিয়ে মাটি কেটে মাছ চাষের জন্য মৎস্য ঘের তৈরী করছেন পার্শ্ববর্তী কোটালীপাড়া উপজেলার প্রভাবশালী সোয়াইব ফকির। সে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে জমির মালিকদের না জানিয়ে তাদের জমির মাটি কেটে মৎস্য ঘের তৈরী করছে। জমির মালিদের বাঁধা উপেক্ষা করে ৫শ’ একর জমি নিয়ে ঘের তৈরীর জন্য চার পাশে মাটি দিয়ে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এমন খবর জানতে পেরে বুধবার (২১ মে) সকালে সরজমিনে দেখা যায়, ফসলি আবাদি জমিতে ৭ থেকে ৮ দিন ধরে দিনে ও রাতে স্ক্যাভেটর দিয়ে মাটি কাটার কাজ চলছে। জমির মালিক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান ভাট্টি, রাশেদ বাহাদুর, মুনমুন হাওলাদার, লুৎফর ভাট্টি, আজিজ ভাট্টি, হিমু বখতিয়ার, কাওসার ভাট্টি ও হান্নান মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় জামাল বখতিয়ার, খসরু বাহাদুর মিলে নিজেরা লাভবান হবার জন্য জোরপূর্বক আমাদের জমি পাশ্ববতী কোটালীপাড়া উপজেলার উত্তরপার গ্রামের কাদের ফকিরের ছেলে প্রভাবশালী সোয়াইব ফকির নিকট লিজ দিয়েছে। এব্যাপারে সোয়াইব ফকির বলেন, আমি স্থানীয় জামাল বখতিয়ারের মাধ্যমে জমির মালিকদের কাছে থেকে প্রতিবিঘা (৫২শতাংশ) ছয় হাজার টাকায় বার্ষিক লিজ নিয়েছি। জমিতে মাছ চাষের উপযোগি করতে হলে বাঁধ নির্মাণ করার জন্য স্ক্যাভেটর দিয়ে মাটি কাটছি। এব্যাপারে মো. জামাল বখতিয়ার সাংবাদিদের বলেন, আমরা সোমাইরপার-চান্দ একতা মৎস্য খামার নামে ২২ সদস্য বিশিষ্ট একটি সমিতি গঠন করি। যার সভাপতি আমি। ওই সমিতির মাধ্যমে ঘেরের মধ্যে জমির মালিকদের প্রতি ৫২ শতাংশ জমিতে বার্ষিক ৬ হাজার টাকা করে লিজের টাকা দেওয়া হবে। এঘটনায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিযুষ রায় বলেন, জমির মালিকদের সমন্বয়ে ঘের তৈরী করা যাবে। তবে বড় আকারের মাছের ঘের তৈরী করতে হলে উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারিহা তানজিন সাংবাদিকদের বলেন, জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে কোন মাছের ঘের তৈরী করা যাবেনা। জমির শ্রেণী পরিবর্তণ করে ঘের তৈরী করলে ঘেরের মধ্যে থাকা জমির মালিকরা অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |