![]() শাহবাগে গণজমায়েত ঘোষণা
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়, ততক্ষণ আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে। আমাদের ৩ দফা দাবির মধ্যে প্রথম দফা হলো- আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে দলটির সব অঙ্গসংগঠনসহ আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করতে হবে। দ্বিতীয় দফা দাবি হলো- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে আওয়ামী লীগের দলগত বিচারের বিধান যুক্ত করতে হবে। এছাড়া তৃতীয় দফা দাবি- জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে। এই তিন দফাকে সামনে রেখে শাহবাগে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শনিবার বিকেল ৩টার দিকে শাহবাগে গণজমায়েত ঘোষণা করা হলো। সারা ঢাকা থেকে জুলাই পক্ষের শক্তি, যারা আওয়ামী লীগের নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, শাপলা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, মোদিবিরোধী আন্দোলনে যারা শিকার হয়েছেন সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে আমাদের গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের এই মুখ্য সংগঠক বলেন, গণজমায়েতের পাশাপাশি সারাদেশের প্রত্যেক জুলাই পয়েন্টে (যে পয়েন্টে জুলাই আন্দোলন হয়েছে) আমরা গণজমায়েত ঘোষণা করছি। আমাদের এই লড়াই বাংলাদেশপন্থি এবং ফ্যাসিবাদপন্থিদের বিরুদ্ধে লড়াই, যারা দীর্ঘ দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশকে বর্গা দিয়ে আমাদের শাসন করেছে, তাদের আমাদের বিরুদ্ধে লড়াই। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি আদায় না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা শাহবাগ ছাড়বো না। এর আগে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে এসে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আয়োজিত ওই সমাবেশে এনসিপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ইসলামি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। সাধারণ ছাত্র ও নাগরিকদেরও প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন হাতে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায়। কেউ কেউ মিছিল নিয়েও সমাবেশস্থলে পৌঁছান। তারও আগে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসছে এনসিপি, শিবিরসহ কয়েকটি সংগঠন। শুক্রবার সকালেও দলের নেতাকর্মীদের সেখানে স্লোগান দিতে দেখা যায়। |