![]() ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধসহ আহত শতাধিক
নতুন বার্তা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
|
![]() জানা গেছে, মেহারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. আবদুল আওয়াল এবং মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফা কামালের সমর্থিত লোকজনদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া এলাকায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। দুপুরে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোস্তফা কামালের সমর্থিত লোকজন ককটেল ও লোহার রড নিয়ে আবদুল আওয়ালের সমর্থিত ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল হান্নানের বাড়ি-ঘর ও দোকান-পাট ভাঙচুর চালায়। এ সময় দুপক্ষের লোকজনদের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ। এ সময় দুপক্ষই ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটনায়। তারা লোহার চল ও টেঁটা দিয়ে আক্রমণ করে। দফায় দফায় চলে এ সংর্ঘষ। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে শতাধিক লোকজন আহত হয়। খবর পেয়ে কসবা থানার পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় কামাল মিয়া (২৪), জসিম উদ্দিন (৪০), কিবরিয়া (৫০), টেঁটাবিদ্ধ সুমন মিয়াকে (৪৫) গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত বাকিদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র দুপক্ষের লোকজনদের মধ্যে সংর্ঘষ হয়েছে। উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বাড়ি-ঘর ও দোকান-পাট ভাঙচুর হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা দেয়নি। তবে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। |