![]() পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসানসহ ২৫ জনের রিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে মামলা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
|
![]() নাজমুল আহসান ও চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির ছাড়াও মামলার আসামীরা হলেন, তৎকালীন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কাজী মনিরুজ্জামান, সাতক্ষীরা সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইনামুল হক,স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাড়দ্দহা বিশ্বাসপাড়ার এমদাদুল হক বিশ্বাস,পদ্মশাখরা গ্রামের কবির উদ্দীনসহ ২৫ জন। মামলার বাদী মোঃ ওবায়দুল্যাহ বলেন, ২০১৪ সালের পহেলা জানুয়ারি তার বাড়ি ঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে লুটপাট করে তৎকালিন সরকারের পেটুয়া বাহিনী। এর আগে আওয়ামী সরকার বিরোধী আন্দোলন থামাতে জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে একটি সভা হয়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরসহ উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার আস্থাভাজন পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরও দেশ থেকে পালিয়ে যান। তবে বহাল তবিয়তে আছেন অবৈধ নির্বাচন করিয়ে দেওয়া ও গুম-খুনে অংশ নেওয়া পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব নাজমুল আহসান। তিনি আরো বলেন, নাজমুল আহসানের সময়ে শুধু সাতক্ষীরা জেলাতেই রাজনৈতিক সহিংসতায় ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে যৌথবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন ২৭ জন। এদের সবাই স্থানীয় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী। বাদীপক্ষের আইনজীবী সাতক্ষীরার বারের সহসভাপতি এড. আবু বক্কর সিদ্দিকী বলেন, ২০১৪ সালের ১জানুয়ারী সাতক্ষীরা সদরের শাকরা কোমরপুর এলাকার বৈচনা গ্রামের মাদার সরদারের ছেলে মোঃ ওবায়দুল্যাহ’র বাড়ি ঘর, মামলার আসামিরা যোগসাজস করে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে বুলডেজার দিয়ে বাড়িটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়্,তাতে তার ১ কোটি টাকার ক্ষতি হয় ।রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সেই সময় মামলা করা যায়নি বলে বিলম্বের কারণে উল্লেখ করা হয্। তিনি আরও বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে তদন্ত সাপেক্ষে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। |