![]() ঠাকুরগাঁওয়ে আইনজীবী ও সহকারীদের ওপর হামলা আহত ৮ : মামলা দায়ের
কামরুল হাসান,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
|
![]() পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে হরিপুর থানার একটি মামলার (জি.আর-১৩৫/২৪) বাদী মো. দেলোয়ার হোসেনকে জোরপূর্বক অপহরণ করার চেষ্টা করে বাবুলের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল। এসময় বিষয়টি দেখতে পেয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জয়নাল আবেদীন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে হামলাকারীরা তাঁর ওপর চড়াও হয় এবং মারধর করে। চিৎকার শুনে আইনজীবী মোজাফফর আহমেদ মানিক, জিল্লুর রহমান, আলী আকবর, আশরাফুল হাসানসহ অনেকে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে বাধা দিলে তাদেরও এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। হামলাকারীরা লোহার রড, বাঁশের লাঠি এবং কোমরের বেল্ট দিয়ে হামলা চালায়। আইনজীবী সহকারী মো. দুলাল হোসেনের হাঁটুর ওপর লোহার রড দিয়ে সজোরে আঘাত করে গুরুতর জখম করা হয়। সহকারী হৃদয়, রেজু ও আলমগীরকেও হামলাকারীরা মারধর করে। একপর্যায়ে মো. হাবিজুল হক নামের এক ভেন্ডারের মাথায় বাঁশের লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করলে তাঁর মাথা কেটে যায় এবং তাঁকে ৩টি সেলাই দিতে হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন, কিন্তু হামলাকারীরা কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গেও ধাক্কাধাক্কি করে। পরে আশপাশের মানুষ ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে এবং হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মকদুম সাব্বির মৃদুল ঠাকুরগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এজাহারে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আসামীরা হলেন মো: জসিম উদ্দিন (৩৩), মো: ওবায়দুর (৩৬), মো: গোলাম রব্বানী ওরফে হবিবর (২৬), জাফর (৪৬) মো: আলম (২৩), মোছা: নুর নেহার (৪০), মো: নাসির (৩৯) সহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জন। ঠাকুরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ সরোয়ারে আলম খান জানান, এই ঘটনায় মামলার এজাহার নামীয় আসামি মো: গোলাম রাব্বানীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধিন রয়েছে। |