![]() পরিচয় মেলেনি সেই নবজাতকের, বেড়ে উঠবে শিশু নিবাসে
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
|
![]() উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা শরীফ হোসেন জানান, কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটিকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকার মিরপুরে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও হাসপাতালে কর্মচারী এ্যাম্বুলেন্স যোগে শিশুটিকে নিয়ে রওয়ানা হয়েছে। উপজেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সুপারিশ ক্রমে তাকে ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় তিনি উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সর্বাত্নক সহযোগীতার কথা উল্লেখ করেন। শিশুটিকে সদর হাসপাতালে আনার পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ছুঁটে আসে দত্তক নেওয়ার জন্য। কিন্তু শিশুটি বিশেষ চাহিদা সমপন্ন হওয়ার কারণে কেউ নিতে রাজি হয়নি। হাসপাতাল সমাজ সেবার মাধ্যমে রোগী কল্যাণ সমিতির সহযোগীতায় গত ২৭ দিনে হাসপাতালে রেখে দুধ, ওষুধপত্র,পোষাকসহ যাবতীয় উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকদের আন্তরিক ভাবে শিশুটির দেখাশুনা করেছে। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি এ কারণে নাম রাখা হয়নি। সদর হাসপাতালের নার্স লায়লা বেগম জানান, পরিচয় না থাকলেও মানবিক দিক বিবেচনা করে সার্বক্ষনিক দেখা শুনা করেছি। প্রায় সময় ঘুমিয়ে থাকে মাঝে মাঝে দুধের জন্য কান্না করতো আমরা সাথে সাথে দুধ খাইয়ে দিলে ঘুমিয়ে যেত ছেলে শিশুটি। ঢাকা প্রেরণ পূর্বে শিশুটি একটি এনজিও দেওয়া নতুন পোশাক গায়ে পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা: ইসমাইল হোসেন বলেন, সদর হাসপাতালে আনার পর তিনি ও অন্যান্য ডাক্তারগণ শিশুটির প্রতি বিশেষ নজর রেখেছেন। একটু সুস্থ হলেও তার উন্নত চিকিৎসা লাগবে এ কারণে ঢাকা প্রেরণ করার জন্য আমরা পরামর্শ দিয়েছি। স্থানীয় রিক্সা চালক কামাল মাঝি জানান, ১১ এপ্রিল (শুক্রবার) রাত সাড়ে আটটার দিকে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ শিশুর কান্নার শব্দ ভেসে আসে। কান্নার শব্দ শুনতে পান। শব্দ শুনে প্রথমে যদিও একটু ভয় পেয়েছিলেন, তারপরেও সাহস করে কাছে গিয়ে দেখি একটি ফুটফুটে নবজাতক। আশেপাশের লোকজনকে ডেকে বিষয়টি জানাই পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে নবজাতকটিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। |