![]() পাকিস্তানে ভারতের হামলা, আলোচনায় চীনের যুদ্ধাস্ত্র
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() ইন্ডিয়া ডটকমসহ দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও ব্লগে এইচ-কিউ-নাইন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অনেক সাইটে এ নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক কন্টেন্ট প্রচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেহাল। চীনের তৈরি যুদ্ধাস্ত্র কোনো কাজেই আসেনি। ভারতীয়দের দাবি, মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালিয়েছে তারা। এই অভিযানে যা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তা হলো- পাকিস্তানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সম্পূর্ণ ব্যর্থতা। পাকিস্তানে বহু প্রচারিত ও হাইফ তোলা চীনের তৈরি এইচ কিউ-৯ মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই ধরনের হামলা শনাক্ত ও প্রতিহত করার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। দাবি অনুযায়ী, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী লস্কর-ই-তৈয়বা ও জইশ-ই-মোহাম্মদের সন্ত্রাসী শিবিরগুলোকে লক্ষ্য করে সমন্বিত মিসাইল হামলা শুরু করে। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগে পেহেলগাম হামলার জন্য দায়ী। ভারতীয় মিসাইলগুলো শত্রুপক্ষের অঞ্চলের গভীরে প্রবেশ করে বাহাওয়ালপুর (পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ১০০ কিলোমিটার) এবং মুরিদকে-এর (পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ৩০ কিলোমিটার) লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। পাকিস্তানের এইচকিউ-৯ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কোনো ভারতীয় মিসাইল আটকানো যায়নি। এইচকিউ-৯ হলো চীনের তৈরি একটি দূরপাল্লার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা রাশিয়ার এস-৩০০ এর মতো। এটি আগত হুমকি শনাক্ত করে মাঝ-আকাশে নিষ্ক্রিয় করার কথা। এইচ-কিউ-নাইন রাশিয়ান এস-৩০০ এর আদলে তৈরি। তবে এর হাইব্রিড নকশা, রাডার, সিকার হেড এবং সি-২ উপাদানগুলো আমেরিকান এবং ইসরায়েলি প্রযুক্তি দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত। ক্ষেপণাস্ত্রটিতে ট্র্যাক-ভায়া-মিসাইল সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। যা ইনর্শিয়াল গাইডেন্স, মিড-কোর্স আপলিংক এবং টার্মিনাল অ্যাক্টিভ রাডারের একটি সমন্বিত প্রয়োগ। ডিফেন্স ইন্টারন্যাশনালের ২০০১ সালের একটি নিবন্ধ অনুসারে, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি ৬.৮ মিটার লম্বা এবং প্রায় দুই টন ভরের। প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ব্যাস যথাক্রমে ৭০০ মিলিমিটার এবং ৫৬০ মিলিমিটার। ওয়ারহেডের ভর ১৮০ কেজি। ট্রান্সপোর্টার ইরেক্টর লঞ্চার থেকে মিসাইল ছুড়তে সক্ষম। বলা হয়ে থাকে, সিস্টেমটি শত্রু মিসাইল শনাক্ত করে আকাশে তা ধ্বংস করতে সক্ষম। এ ছাড়া বিশেষ মুহূর্তে শত্রু স্থাপনায় মিসাইল হামলা করতেও সক্ষম এটি। কিন্তু ভারতীয় মিসাইলের সফল আঘাত ইঙ্গিত দেয়, হয় ব্যবস্থাটি শত্রু মিসাইল শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে অথবা সময়মতো সাড়া দিতে পারেনি। এটি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা অবকাঠামোর নির্ভরযোগ্যতা এবং আমদানি করা চীনা সামরিক প্রযুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। তবে ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর শত্রুকে নতজানু করতে “মাত্র কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছে”। আল্লাহর কৃপায়, আমাদের বিমানগুলো আকাশে এমন ঝড় তুলেছিল যে শত্রুরা চিৎকার করে উঠল। ভারতের গর্ব ছিল, এমন পাঁচটি যুদ্ধবিমান এখন কেবল ছাই ও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তান বিমানবাহিনী ভারতীয় বাহিনীর এত ক্ষতি করেছে যে তারা এই ক্ষত “সহজে সারতে পারবে না”।’ |