![]() সাতক্ষীরায় আমের মৌসুম শুরু, লক্ষ্য ৪০০ কোটি টাকা বিক্রি
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
|
![]() সাতক্ষীরা জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে পরবর্তী ধাপে ২০ মে থেকে বাজারে আসবে জনপ্রিয় হিমসাগর আম, ২৭ মে থেকে ল্যাংড়া এবং ৫ জুন থেকে আম্রপালি জাতের আম। পর্যায়ক্রমে সব জাতের আম স্থানীয় বাজার ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ও রপ্তানির উদ্দেশ্যে পাঠানো হবে। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে এ বছর সাতক্ষীরায় প্রায় ৪১৩৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের। আমের এই বাম্পার ফলনে জেলার অর্থনীতিতে গতি আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। কৃষি বিভাগ বলছে আমের বাজারে আনুমানিক ৪০০ কোটি টাকার লেনদেন হবে বলে তারা ধারণা করছেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, আম এই জেলার গর্ব। আমরা নিশ্চিত করছি যেন কোনও প্রকার কেমিকেল বা ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার না হয়। নিয়মিত বাজার মনিটরিং থাকবে। যদি কেউ নিষিদ্ধ রাসায়নিক প্রয়োগ করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, আম গাছ থেকে নামানো, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংগ্রহ ও পরিবহন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে নিরাপদ কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। আম পাকানোর জন্য কার্বাইড বা ইথিফন ব্যবহারে রয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। সাতক্ষীরার আম এখন শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও যাচ্ছে। বিশেষ করে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার কিছু দেশে সাতক্ষীরার হিমসাগর ও আম্রপালির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ বছর ৭০ মেট্রিক টনেরও বেশি আম বিদেশে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। কলারোয়া উপজেলার আমচাষি শাহিনুর রহমান বলেন, এবার ফলন ভালো হয়েছে। আমরা আশা করছি ভালো দাম পাব। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে এবং বাজার ঠিক থাকে, তাহলে লাভের মুখ দেখব। সাতক্ষীরা সদর, কলারোয়া, তালা ও দেবহাটা উপজেলায় আমের চাষ সবচেয়ে বেশি হয়েছে। প্রায় ১৫ হাজারের বেশি কৃষক ও শ্রমিক এই মৌসুমে আম চাষ ও বিপণনে সরাসরি জড়িত। সাতক্ষীরার আম এখন একটি ব্র্যান্ড। স্থানীয় কৃষকদের পরিশ্রম, সরকারের তত্ত্বাবধান এবং বিদেশি চাহিদার সমন্বয়ে আম চাষ এখন জেলার অন্যতম অর্থকরী ফসলে পরিণত হয়েছে। চলতি মৌসুমে সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা ও কেমিকেলমুক্ত বিপণনের মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরা আম পাবে নতুন উচ্চতা, এমনটাই প্রত্যাশা জেলাবাসীর। |