আজ শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ০২ মে ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
 / মতামত / প্রতিষ্ঠিত হোক শ্রমিকের অধিকার
প্রতিষ্ঠিত হোক শ্রমিকের অধিকার
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া:
Published : Monday, 28 April, 2025 at 12:51 AM
প্রতিষ্ঠিত হোক শ্রমিকের অধিকার০১. মহান মে দিবস। বিশ্বব্যাপী শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামের স্বীকৃতির দিন। মেহনতি শ্রমিকদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রতিবছর ১ মে সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হয়। ১৮৮৬ সালের এদিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ওই সময়ে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ঘিরে থাকা পুলিশের প্রতি অজ্ঞাতনামা কেউ বোমা নিক্ষেপ করলে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর গুলি চালায়। এতে ১০-১২ জন শ্রমিক ও পুলিশ নিহত হয়। ওইদিন তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিশ্বে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয় এই ঘটনার আরও পরে।

১৮৮৯ সালে ফরাসি বিপ্লবের শতবার্ষিকীতে প্যারিসে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ১৮৯০ সাল থেকে শিকাগো প্রতিবাদের বার্ষিকী আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন দেশে পালনের প্রস্তাব করেন রেমন্ড লাভিনে। ১৮৯১ সালে আন্তর্জাতিক কংগ্রেসে এ প্রস্তাব গ্রহন করা হয়। এরপর ১৮৯৪ সালে মে দিবসের দাঙ্গার ঘটনা ঘটে। ধারবাহিকতায ১০০ বছর পর ১৯০৪ সালে আমস্টারডাম শহরে অনুষ্ঠিত সমাজতন্ত্রীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ উপলক্ষ্যে একটি প্রস্তাব গ্রহন করা হয়। ওই প্রস্তাবে বিশ্বজুড়ে সব শ্রমিক সংগঠন ১ মে ‘বাধ্যতামূলকভাবে কাজ না করার’ সিদ্ধান্ত নেন। এরপর থেকে সারা বিশ্বে দিনটি ‘মে দিবস’ হিসাবে পালিত হয়ে আসছে।

০২. আজকের আধুনিক সভ্যতার ভিত্তিই হচ্ছে মেহনতি শ্রমজীবী মানুষের নিরলস পরিশ্রম। হাজার বছর ধরে শ্রমজীবী মানুষের রক্ত-ঘামে যে মানব সভ্যতার ঘড়ে উঠেছে , তা থেকে সেই শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীই সকল সময় উপক্ষিত থেকেছে। আজকের উন্নত-সমৃদ্ধ পৃথিবীর কারিগর এসব অবহেলিত, নির্যাতিত, নিপীড়িত, অধিকার বঞ্চিত শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম এখনো অব্যাহত রয়েছে। সময়ের পরিক্রমায় 'অধিকার' শব্দটির সুদৃঢ় শক্তি সামাজিক ও রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা ও দর্শনকে প্রভাবিত করেছে এবং পরিবর্তন সাধিত করেছে শ্রমিক শ্রেনীর। মেহনতি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের প্রবণতা পৃথিবীর দেশে দেশে অধিকার বঞ্চিত মেহনতি মানুষের মধ্যে এক নবতর জাগরণ ঘটিয়েছে।

শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন-সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় গতিশীল হয়েছে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিক আদর্শের অগ্রযাত্রাকে। বিশ্বের বিবেকবান নাগরিকদের মানবিক সত্ত্বায়। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও মানবিক বিশ্বের আদর্শ প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে শ্রমজীবী মানুষের আত্মনিবেদন আর স্বাধীনতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্ববোধে সঞ্চারিত হয়েছে ।

০৩. বাংলাদেশে শ্রমিকশ্রেনীর স্বার্থের কথা বলতে গেলেই আজকাল শুধুই পোশাক শিল্পের শ্রমিকের কথা বলা হয়। অথচ এটা সঠিক চিত্র নয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ২০১৩ সালের তথ্য অনুযায়ী দেশে সব ধরনের শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা ৭ কোটি ৭৬ লাখের বেশী, এর মধ্যে সব ধরনের শ্রমজীবী নারী ও পুরুষ আছেন। যদি মনে করা হয় ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকের পক্ষে কথা বলার বা শ্রমিকের স্বার্থ দেখার প্রতিষ্ঠান, কিন্তু দুঃখজনকভাবে হলেও সত্য যে সারাদেশে মাত্র ১৬৯ টি ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সদস্য হচ্ছে ২৩ লক্ষ, যা মোট শ্রমজীবী মানুষের ৩% মাত্র। শ্রমিক ও শ্রমজীবী মানুষের মধ্যেও বড় পার্থক্য রয়েছে। যারা নির্দিষ্ট মজুরি কাঠামোতে আছে তাদের মধ্যেও ট্রেড ইউনিয়ন খুব সক্রিয় নয়, মাত্র ২৩% এর সদস্য আছেন। নারী শ্রমিকদের মাত্র ১৫% ট্রেড ইউনিয়নের সাথে যুক্ত আছেন কিন্তু নেতৃত্বে আছেন খুব কম তাই তাদের বিশেষ দাবি উপেক্ষিত হয় বার বার। সরকারি বড় বড় কারখানাতেই ট্রেড ইউনিয়ন বেশী সক্রিয় যেখানে কারখানাই চলে না বা প্রায় সকল কারখানা বন্ধ হওয়ার পথে। আর বেসরকারি বড় বড় কোম্পানিতে ট্রেড ইউনিয়ন করার সুবিধা বা অধিকার স্বীকৃত নয়।

বর্তমানে বাংলাদেশে ট্রেড ইউনিয়নের যে দুরাবস্থা তার মূল কারণ হচ্ছে তারা মালিক বা কর্তৃপক্ষের সাথে নয় বরং তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন হয়ে একে অপরের বিরোধিতায় লিপ্ত থাকছে। শ্রমিকের স্বার্থ দেখার চেয়ে নিজ দল ও নিজ গোষ্টির স্বার্থই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তাদের কাছে। অন্যদিকে নারী শ্রমিকের সংখ্যা বেশী চোখে পড়ে গার্মেন্ট কারখানায় কিন্তু এখানেও প্রায় ৩৫ লাখ শ্রমিকের মধ্যে মাত্র ৬৩,০০০ ইউনিয়ন করার অনুমতি পেয়েছেন, কিন্তু তাও পুরোপুরি ট্রেড ইউনিয়নের নিয়ম মতো নয়। আমরা গত শতকের আশির দশকের শুরুতে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ বা স্কপের যে তৎপরতা দেখেছিলাম আজ সেই সংগঠন অনেকটাই সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এখন শ্রমিক দিবসে কথা বলতে গেলে শুধু দেশের ভেতরে যারা কাজ করছেন তাদের কথা নয় আমাদের বলতে হবে দেশের বাইরে প্রবাসী শ্রমিকের কথাও। সরকার যখন দায়িত্ব নিয়ে এই শ্রমিকদের বিদেশে পাঠায় এবং তাদের পাঠানো ডলার-পাউন্ড-রিয়ালে দেশের কোষাগার ভরে যায় তখন যদি কেউ তাদের অধিকারের কথা না বলে কিংবা তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব না নেয়, এর চেয়ে বড় অন্যায় আর কিছু হতে পারে না।

০৪. ঐতিহাসিক মে দিবস বা ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’ শ্রমিকের মর্যাদা রক্ষার দিন। তাদের ন্যায্য পাওনা আদায় তথা অধিকার আদায়ের দিন। শ্রমিকদের অস্তিত্ব ঘোষণার দিন। মে দিবসের প্রেক্ষাপট একজন শ্রমিকের সবচেয়ে বড় অধিকার বা দাবি হলো, তার শ্রমের যথোপযুক্ত পারিশ্রমিক লাভ করা। উনিশ শতকের গোড়ার দিককার কথা। তখন দেশে দেশে পৃথিবীর শ্রমজীবী মানুষের কষ্টের সীমা ছিল না। মালিকেরা নগণ্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে দরিদ্র মানুষের শ্রম কিনে নিতেন। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত হাড়ভাঙা শ্রম দিয়েও শ্রমিক তার ন্যায্য মূল্য পেতেন না। মালিকেরা উপযুক্ত মজুরি তো দিতেনই না, বরং তারা শ্রমিকের সুবিধা-অসুবিধা, মানবিক অধিকার ও দুঃখ-কষ্ট পর্যন্ত বুঝতে চাইতেন না। মালিকেরা তাদের অধীনস্থ শ্রমিককে দাস-দাসীর মতো মনে করতেন। আর তাদের সাথে পশুর মতো ব্যবহার করতেন। সুযোগ পেলেই মালিকেরা শ্রমিকের ওপর চালাতেন নানা শারীরিক ও মানসিক নিপীড়ন।

প্রতি বছর মে দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে শ্রমিকরা একদিকে যেমন তাদের অধিকার আদায়ের রক্তাক্ত ইতিহাসকে স্মরণ করে তেমনি স্বপ্ন দেখে তাদের অধিকারের ষোলআনা প্রাপ্তির। বাংলাদেশের শ্রমিকরাও নিঃসন্দেহে এর বাহিরে নয়। কিন্তু আজও বাংলাদেশের শ্রমিকদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। বাংলাদেশের শ্রমিকদের দিকে তাকালে আমরা আজও দেখতে পাই মালিক শ্রেণী কিভাবে তাদেরকে শোষণ করছে। মালিক শ্রেণীর শোষণের ফলে অসহায়ের মতো শ্রমিকদেরকে প্রাণ দিতে হচ্ছে।

একুশ শতকে এসে শ্রমিকরা এর কতটুকু মর্যাদা বা অধিকার ভোগ করছে? বর্তমান রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে শ্রমিকশ্রেণির স্বার্থ নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে। কারণ শ্রমিকরা এ দেশের সম্পদ। তাদের কারণেই দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। এ কারণে তাদের অবহেলার চোখে দেখার কোনো সুযোগ নেই। তাদের কাজের ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মহান মে দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হচ্ছে আমরা শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য অধিকারের কথা বলি কিন্তু বাস্তবে মজদুর মেহনতি মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে শাসক, প্রশাসক ও মালিকগোষ্ঠী আদৌ আন্তরিক হতে পারিনি। যদিও সময়ের ব্যবধানে শ্রমজীবী মানুষের যান্ত্রিক বিপ্লবের কারণে কাজের পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু পরিবর্তন আসেনি শ্রমজীবী মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে। তাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার অধিকার অদ্যাবধি অধরাই থেকে গেল। পোশাক শিল্পের বিকাশে এই দেশে নারীর শ্রমিকের অবদান অনেক বেশি। কিন্তু যেই নারী শ্রমিকের অবদানে দেশের জাতীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে, সেই নারীশ্রমিকের চলমান জীবনযাপন বড়ই দুর্বিষহ। বেতনের সাথে যাদের জীবনযাত্রার ব্যয় খাপ খায় না তারাই হলেন গার্মেন্টস শ্রমিক। বাংলাদেশে কাজের ক্ষেত্রে পোশাকশ্রমিকের পর নির্মাণশ্রমিকদের কর্মক্ষেত্র অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় যাদের রক্ত ও ঘাম মিশে আছে তারাও তাদের শ্রমের ন্যায্য পাওনা অনেক সময় পায় না। শ্রম দিয়ে যারা শ্রমের মূল্য পায় না তারাই জানে জীবন সংগ্রামে বেঁচে থাকার লড়াই কত কষ্টের?  শ্রমের মর্যাদা ও শ্রমিকের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং দেশের শ্রম আইনে সংবিধান অনুসারে শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের ন্যায্য অধিকার সংরক্ষিত আছে। কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার যেন কিতাবে আছে গোয়ালে নেই!

০৫. শহরকেন্দ্রিক গার্মেন্টশ্রমিক, দিন এনে দিন খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ এবং কৃষি খাতে জড়িত বিপুল জনগোষ্ঠী প্রভৃতি স্বল্প আয়ের মানুষকে সংকট থেকে রক্ষা করা যেমন জরুরি, তেমনি দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য তাদের কাজে লাগানোও প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে দেশব্যাপী সচেতনতা প্রয়োজন। আরো বেশি প্রয়োজন শ্রমের যথাযথ মজুরি নিশ্চিত করা।

পুঁজির মালিক কেবলই পুঁজি খাটিয়ে ধনী থেকে হচ্ছে আরো ধনী। পক্ষান্তরে, শ্রমিক রাত-দিন গাধার খাটুনি খেটেও উন্নত করতে পারছে না নিজের অবস্থার। তাই তো শ্রমজীবীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নামতে হয়েছে বহুবার। ঝরাতে হয়েছে রক্ত।

ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় ১৮৮৬ সালে মে মাসে আমেরিকার শিকাগোর হে মার্কেট স্কোয়ারে মালিকদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা সংঘবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করে। আন্দোলন নস্যাৎ করতে গুলি চালায় পুলিশ। প্রাণ দেন অনেক শ্রমিক। তাই তো প্রতি বছর সেই দিনের স্মরণে পালিত হয় মে দিবস বা শ্রমিক দিবস। কিন্তু দুঃখজনক হলো বছরে কেবল এক দিনই এটা ঢাকঢোল পিটিয়ে স্মরণ করা হয়। আর সারা বছর শ্রমিক অধিকারের দাবি থেকে যায় আড়ালে। এ থেকে বেরিয়ে এসে মে দিবসের চেতনায় আদায় করতে হবে শ্রমিকের অধিকার। এটাই হোক মে দিবসের মূলমন্ত্র।

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও ন্যায্য দাবি আদায়ে শ্রমিকদের আন্দোলন করতে হচ্ছে, আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকে জেল–জুলুমেরও শিকার হয়েছেন। পূর্বাপর সরকারের ভুল নীতি ও দুর্নীতির কারণে অধিকাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপুলসংখ্যক শ্রমিক বেকার হয়েছেন। যদিও সংশ্লিষ্ট খাতের সরকারি প্রতিষ্ঠানে যেসব পদাধিকারী ছিলেন, তাঁরা বহাল তবিয়তে আছেন। বাংলাদেশে মে দিবস পালন তখনই সার্থক হবে, যখন শ্রমিকদের সব ধরনের শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্ত রাখা যাবে। মালিকদের মনে রাখতে হবে, শ্রমিকদের ঠকিয়ে শিল্পের বিকাশ বা বাড়তি মুনাফা করা যাবে না। শ্রমিক বাঁচলেই শিল্প বাঁচবে, আর শিল্প বাঁচলে দেশ বাঁচবে। আশা করি, এই মনোভাব নিয়ে সরকার ও শিল্পমালিকেরা কাজ করবেন এবং শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট থাকবেন।

শ্রমিকদের অধিকার ও নিরাপত্তা সুরক্ষিত হোক।

লেখক : রাজনীতিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলাম লেখক 


পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ


 
যে ভিটামিন আপনার পুরুষত্ব বাড়াবে
যে ভিটামিন আপনার পুরুষত্ব বাড়াবে
টেস্টোস্টেরনকে বলা হয় যৌন হরমোন। এটি উৎপাদনের জন্য অপরিহার্য, ভিটামিন এ ডিম, দুধ, মাংস, কমলা বা হলুদ ফল এবং শাকসবজি। ...
খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে পারেন ৫ মে
খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে পারেন ৫ মে
প্রায় চার মাস পর আগামী ৫ই মে দেশে ফিরতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দুই পুত্রবধূসহ ৪ মে লন্ডন ...
শ্রমিক সুরক্ষায় আইন আছে, কিন্তু কতটা কার্যকর?
শ্রমিক সুরক্ষায় আইন আছে, কিন্তু কতটা কার্যকর?
বাংলাদেশে শ্রমিকদের সুরক্ষায় একাধিক আইন ও বিধিমালা রয়েছে। শ্রম আইন ২০০৬ এবং এর সংশোধিত রূপে শ্রম (সংশোধন) আইন ২০১৮, শ্রমিকদের ...
ভারতের আত্মরক্ষার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন, পাকিস্তানের বিশাল মহড়া
ভারতের আত্মরক্ষার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন, পাকিস্তানের বিশাল মহড়া
কাশ্মীরের পহেলগাম হামলার প্রেক্ষাপটে ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফোনালাপে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এ সমর্থন জানান বলে ...
ব্যতিক্রমী ‘এপ্রিল’ : বছরের উষ্ণতম মাসে মিলেছে ঠান্ডা স্বস্তি
ব্যতিক্রমী ‘এপ্রিল’ : বছরের উষ্ণতম মাসে মিলেছে ঠান্ডা স্বস্তি
বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এপ্রিল মাস মানেই তীব্র দাবদাহ, ঘনঘন তাপপ্রবাহ ও সূর্যদগ্ধ জনজীবনের হাহাকার। অনেকেই বলেন, বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস এটি। ...
বদলে যাচ্ছে লাইসেন্স কাঠামো: বড় সংস্কার আসছে টেলিকম নীতিমালায়
বদলে যাচ্ছে লাইসেন্স কাঠামো: বড় সংস্কার আসছে টেলিকম নীতিমালায়
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের লাইসেন্সিং ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং ...
বিদেশিদের নয়, সবার আগে দেশের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে: মানবিক করিডোর প্রসঙ্গে তারেক রহমান
বিদেশিদের নয়, সবার আগে দেশের স্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে: মানবিক করিডোর প্রসঙ্গে তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিদেশিদের স্বার্থ রক্ষার স্বার্থে নয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সবার আগে দেশের জনগণের স্বার্থ নিশ্চিত করতে ...
‘ভারতের শত্রুদের পরাজয় চেয়ে’ জুমার নামাজের পর বিশেষ দোয়ার আহ্বান
‘ভারতের শত্রুদের পরাজয় চেয়ে’ জুমার নামাজের পর বিশেষ দোয়ার আহ্বান
শত্রুদের পরাজয়, দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতা বজায় চেয়ে জুমার নামাজের পর মসজিদগুলোতে বিশেষ দোয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম ...
তীব্র গরমে জনসাধারণের পাশে পলিমাটি
তীব্র গরমে জনসাধারণের পাশে পলিমাটি
গ্রীস্মের শুরুতেই গত কয়েক দিনের তীব্র তাপদাহে রাজশাহীর জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যস্ত অবস্থা। নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে শহরে চলাচলকারী ...
১০
তীব্র গরমে জনসাধারণের পাশে পলিমাটি
তীব্র গরমে জনসাধারণের পাশে পলিমাটি
গ্রীস্মের শুরুতেই গত কয়েক দিনের তীব্র তাপদাহে রাজশাহীর জনজীবনে নেমে এসেছে বিপর্যস্ত অবস্থা। নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে শহরে চলাচলকারী ...
 
মালয়েশিয়ায় নির্মিত 'কোলকাতার ট্যুরিস্ট গাইড'
মালয়েশিয়ায় নির্মিত 'কোলকাতার ট্যুরিস্ট গাইড'
উদয়ীমান নাট্য অভিনেতা ফরহাদ বাবু। তিনি টেলিভিশন নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে পরিচিত লাভ করেছেন। সম্প্রতি তাঁর  অভিনীত মালয়েশিয়ায় নির্মিত কোলকাতার ট্যুরিস্ট ...
নির্বাচন বিলম্বিত করা মানে ৫ আগস্টের সঙ্গে বেঈমানি: আহমেদ আযম খান
নির্বাচন বিলম্বিত করা মানে ৫ আগস্টের সঙ্গে বেঈমানি: আহমেদ আযম খান
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে যারা প্রলম্বিত করতে চায়, তারা ৫ আগস্টের গণ অভ্যত্থানের সঙ্গে বেঈমানী করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ...
রামুতে বাফুফে টেকনিক্যাল সেন্টারের প্রস্তাবিত জমিতে উচ্ছেদ আতংকিত গ্রামবাসীর মানববন্ধন
রামুতে বাফুফে টেকনিক্যাল সেন্টারের প্রস্তাবিত জমিতে উচ্ছেদ আতংকিত গ্রামবাসীর মানববন্ধন
কক্সবাজারের রামুতে সরকারী জমি থেকে উচ্ছেদ আতংকে ভোগছে ৩ শতাধিক পরিবার। জীবনের একমাত্র সম্বল  বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ না করার দাবীতে ...
মৌলভীবাজারে মাদক বিরোধী অভিযান- আটক ৬
মৌলভীবাজারে মাদক বিরোধী অভিযান- আটক ৬
মৌলভীবাজার সদর থানার আওতাধীন চাঁদনীঘাট, সৈয়ারপুর রোড, কাশীনাথ রোড, ক্লাব রোড এবং কোর্ট রোড এলাকায় মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা ...
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাতক্ষীরায় ভূয়া এনএসআই সদস্য গ্রেপ্তার
চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সাতক্ষীরায় ভূয়া এনএসআই সদস্য গ্রেপ্তার
এনএসআই সদস্য পরিচয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।সোমবার(২১ এপ্রিল) ...
রেমিট্যান্স বাড়ছে, নেপথ্যে যেসব কারণ
রেমিট্যান্স বাড়ছে, নেপথ্যে যেসব কারণ
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত বছরের জুলাইজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আন্দোলন দমাতে মরিয়া হয়ে ওঠে ...
বোয়ালখালীতে ১২ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার
বোয়ালখালীতে ১২ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে লোকালয়ে চলে আসা ১২ ফুট লম্বা অজগর ধরেছে একদল পথচারী। দিশেহারা হয়ে যাওয়া অজগরটিকে ওয়াইল্ডলাইফ অ্যান্ড স্ন্যাক রেসকিউ ...
ইলিয়াস-জুলকারনাইনদের উদ্দেশে হান্নান মাসউদের পোস্ট
ইলিয়াস-জুলকারনাইনদের উদ্দেশে হান্নান মাসউদের পোস্ট
জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। একের পর এক বিতর্ক—নতুন অফিস, ...
বোয়ালখালীতে অস্ত্র-গুলিসহ ৪জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী
বোয়ালখালীতে অস্ত্র-গুলিসহ ৪জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ১৪ রাউন্ড এ্যামোনিশন(গুলি), দেশিয় অস্ত্র ও নগদ টাকাসহ ৪জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) ভোর ...
১০
‘আমি কথা বলতে চাই’─ আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে তাসনিম জারা
‘আমি কথা বলতে চাই’─ আইনি নোটিশ প্রসঙ্গে তাসনিম জারা
ডা. তাসনিম জারাসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে একটি আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।এ নিয়ে শুক্রবার (২৫ ...
সম্পাদক ও প্রকাশক: ইউসুফ আহমেদ (তুহিন)
প্রকাশক কর্তৃক ৭৯/বি, ব্লক বি, এভিনিউ ১, সেকশান ১২, মিরপুর, ঢাকা ১২১৬ থেকে প্রকাশিত ও ৫২ টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা ১১০০ থেকে মুদ্রিত
বার্তাকক্ষ : +৮৮০১৯১৫৭৮৪২৬৪, ই-মেইল editor@natun-barta.com, Web : www.Natun-Barta.com.com