![]() সম্পর্ক না থাকলেও বাংলাদেশ থেকে ইসরায়েলে রপ্তানি হচ্ছে লাখ লাখ ডলারের পণ্য
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() দেশটির এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়নি বাংলাদেশ। ইসরায়েলের সঙ্গে নেই বাণিজ্যিক এবং কূটনেতিক সম্পর্কও। তবে সম্পর্ক না থাকলেও নিরবে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে বালাদেশি পণ্য। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাংলাদেশের (ইপিবি) হিসেব বলছে, গত দেড় দশকে দেশটিতে রপ্তানি হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ ডলারের পণ্য। এসব পণ্যের বেশিরভাগই ওষুধ, তবে তালিকায় আছে পোশাক, ফার্নিচারও। প্রশ্ন হচ্ছে, সম্পর্ক না থাকলেও ইসরায়েলে কিভাবে পণ্য রপ্তানি করছে বাংলাদেশ? বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ইসরায়েলের বেশকিছু ক্রেতা বাংলাদেশ থেকে পণ্য নেয়। তারা সরাসরি এগুলো ইসরায়েলে নেয় না, তারা তৃতীয় দেশের মাধ্যমের এসব পণ্য নিয়ে থাকে। এখন ইপিবি থেকে জানতে হবে ইসরায়েলের নামে যে রপ্তানি দেখানো হচ্ছে, সেটা কীভাবে গেছে। সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ক্রেতারা বাংলাদেশের বাজার থেকে বিভিন্ন দেশের জন্য পণ্য নিয়ে যান, ইসরায়েলকে টার্গেট করে সেসব পণ্য যাবে সেগুলো এখান থেকেই তারা ঠিক করে দিচ্ছে। ইপিবির হিসেবে ২০২১-২২ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি সোয়া ছয় লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। রপ্তানি পণ্যের তালিকায় অন্যতম তৈরি পোশাক হলেও যক্ষা, ম্যালেরিয়ার, কুষ্ঠরোগের ভ্যাকসিনও রপ্তানি হয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। অন্যদিকে ইসরাইল থেকে পণ্য আমদানির কেনো তথ্য পাওয়া না গেলেও ইউএন কম ট্রেডের হিসেব বলছে, গত দেড় দশকে প্রায় ৩৮ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্পর্ক না থাকার পরও, কেনো পণ্য যাচ্ছে দেশটিতে, তা খোলাসা করা জরুরি। খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক বা কূটনীতিক সম্পর্ক নেই, তারপরও বাণিজ্যিক এসব লেনদেন সরকার কী আকারে দেখতে চান, সে ব্যাপারে বানিজ্য মন্ত্রণালয়, ইপিবির এবং রপ্তানিকারকরা আলাপ আলোচনা করে নিতে পারেন যে, এ বিষয়টা তারা কীভাবে সুরাহা করবেন। যদিও এই সময়ে ফিলিস্তিনে রপ্তানি হয়েছে প্রায় সাড়ে চার লাখ ডলারের পণ্য। যার সিংহভাগই তৈরি পোশাক। |