/ জাতীয় / আরপিও সংশোধনীর নতুন প্রস্তাবে সেনা মোতায়েনের বিধান থাকছে না
আরপিও সংশোধনীর নতুন প্রস্তাবে সেনা মোতায়েনের বিধান থাকছে না
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধনীর খসড়ার প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সভায় বিষয়টি অনুমোদনের জন্য উপাস্থাপন করা হতে পারে। ইসির আইন সংস্কার কমিটি বিধান সংযোজনসহ ৩৪টি সংশোধনী সুপারিশ করেছে। তবে, সংশোধনীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনাবাহিনীকে অন্তর্ভুক্তির কোনও সুপারিশ আসেনি। ফলে বিদ্যমান আইনের মতো সংশোধিত আইনেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সুযোগ থাকছে না। ইসি-সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, কমিশনার কবিতা খানমের নেতৃত্বে গঠিত আইন সংস্কার কমিটির ররিবারের সভায় আরপিওর খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়। কমিটির প্রস্তাবিত সংশোধনীতে নির্বাচনে পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতি, ভোটকক্ষ থেকে বের হওয়া ও ফিরে আসার সময় উল্লেখসহ নির্দিষ্ট ফরমে স্বাক্ষর করার বিধান রাখা হচ্ছে। জানা গেছে, কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসে নানা ধরনের অভিযোগ করার প্রবণতার লাগাম টেনে ধরতে এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আগাম ভোটগ্রহণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা, ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)/ ডিজিটাল ভোটিং মেশিন (ডিভিএম) এ ভোটগ্রহণ, নির্বাচনি কর্মকর্তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলির ক্ষমতা, স্বতন্ত্র প্রার্থিতা সহজীকরণ, নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাজা বৃদ্ধি, নির্বাচনি অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তিকরণসহ অভিযোগকারীকে অবহিতকরণ, জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা, নির্বাচনি অনিয়ম ও আচরণবিধি লঙ্ঘন সম্পর্কে খোঁজ নিতে তৃতীয় চোখ নিয়োগ রাখার বিধান যুক্তেরও প্রস্তাব করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইন সংস্কার কমিটির প্রধান ও নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, ‘আমরা আরপিও সংশোধনীর খসড়ার প্রস্তাবনা প্রায় চূড়ান্ত করে এনেছি। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় কমিশন সভায় এটি অনুমোদনের উপস্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। ওই সময় সম্ভব না হলে তার পরের সভায় এটি তোলা হবে। এরপরই তা পাস করাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় পরিবর্তনের কোনও প্রস্তাবনা আসেনি। ফলে এটি যে অবস্থায় বর্তমানে রয়েছে, সেটাই থাকছে।’ প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রোডম্যাপ ঘোষণা করে ইসি। এতে সাতটি কর্মপরিকল্পনার প্রথমটি হচ্ছে—‘আইনি কাঠামো পর্যালোচনা ও সংস্কার’। নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানমের নেতৃত্বাধীন আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটিকে ডিসেম্বরের মধ্যে আইন সংস্কারের প্রাসঙ্গিক খসড়া তৈরি ও ফেব্রুয়ারির মধ্যে আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রোডম্যাপ থেকে পিছিয়ে রয়েছে এ কমিটি। তবে আইন পাশের জন্য এখনও পর্যাপ্ত সময় রয়েছে বলে মনে করছে কমিটি। |