/ সারাদেশ / কুমিল্লায় শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে পদত্যাগ পত্র তৈরীর প্রতিবাদে মানববন্ধন
কুমিল্লায় শিক্ষকের স্বাক্ষর জাল করে পদত্যাগ পত্র তৈরীর প্রতিবাদে মানববন্ধন
বারী উদ্দিন আহমেদ বাবর, কুমিল্লা:
|
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকবপুর ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেনের স্বাক্ষর জাল করে পদত্যাগ পত্র তৈরীর অভিযোগে মানববন্ধন করে শিক্ষক ও স্থানীয়রা। আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপজেলা পরিষদের সামনে যৌথভাবে মানববন্ধন করেন উপজেলা বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতি ও মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি।
এসময় শিক্ষক নেতারা জানান, আকবপুর ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেনের স্বাক্ষর জাল করে পদত্যাগ পত্র তৈরীর পর তা ম্যানেজিং কমিটির মিটিং এ অনুমোদন করিয়ে শূণ্যপদ ঘোষণার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এছাড়াও সভাপতি মোহাম্মদ আলীর অনিয়ম দুর্ণীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা তদন্তের দাবীও করেন উপস্থিত শিক্ষক নের্তৃবৃন্দরা। মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম, উপজেলা বেসরকারি মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার খান, অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম, শাহজাহান মিয়া, আনোয়ার হোসেন, রহিমা বেগম, দেলোয়ার হোসেন, জয়নাল আবেদীন মাহবুব আলম সেলিম, হাসনা বেগম, মাহবুব আলম, শাহনারা বেগম, শাহনাজ বেগম, জাহাঙ্গীর আলম ও নজরুল ইসলাম প্রমূখ। এ ব্যাপারে আকবপুর ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূক্তভোগী প্রধান শিক্ষক বিল্লাল হোসেন জানান, বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে স্কুলের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে গত ২৫ ডিসেম্বর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নিকট, গত ৩ জানুয়ারি বাঙ্গরা বাজার থানায় একটি জিডি ও ৪ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করি। সভাপতি বিগত সাড়ে তিন বছর যাবত আমাকে নানা ভাবে হয়রানি করে আসছে। ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম তালুকদার জানান, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং তাদের নির্দেশ মোতাবেক বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। |