ঠাকুরগাঁওয়ে ভিন্ন আঙ্গীকে ও নতুন কৌশলে অসহায় ও শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরন করছেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ।পুলিশ সুপার তিনি গাড়িতে করে শীতবস্ত্র নিয়ে সদর উপজেলা বিভিন্ন গ্রামসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরছেন। চোখের সামনে প্রকৃত শীতার্তদের দেখে তাদেরকে প্রদান করছেন শীতবস্ত্র।জেলা পুলিশের এমন মানবিক কাজ ইতিমধ্যেই ঠাকুরগাঁওব্যাপী কাছে প্রশংসনীয় হয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন এটিই শীতবস্ত্র বিতরনের সঠিক প্রন্থা। পুলিশ সুপার তিনি ১০/১৫ দিন ধরে এমনি করেই জেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে শীতবস্ত্র নিয়ে ঘুড়ছেন এবং প্রকৃত শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরন করছেন।
অন্য দিকে গত রাত ১২টার পর যখন ঘন কুয়াসায় ঢাকা এই জেলা ঠিক সেই সময় ঠাকুরগাঁও পৌর শহরে জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বেরিয়েছেন শীতার্ত নৈর্শ প্রহিদের কন্বল দিতে। ঠাকুরগাঁও টিকপাড়া মহল্লার সোলায়মান আলী নামে এক প্রবিন ব্যক্তি জানান, ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রতি বছর শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়। এ বছরও জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন কোম্পানী ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরন করা হয়েছে। এতে লক্ষ্য করা যায় এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা সবখানেই দাপোটে শীতবস্ত্র গ্রহন করছে। এতে করে একই ব্যক্তি বার বার বিভিন্ন জায়গায় শীতবস্ত্র গ্রহন করছে। প্রকৃত শীতার্তরা এ সকল ব্যক্তির সাথে পেরে উঠছে না। ফলে তারা কোন প্রকার শীতবস্ত্র গ্রহন করতে পারছে না।
হিমালয়েল হিমেল ঠান্ডা বাতাসের কারণে গত ৪ দিন ধরে সুর্যের দেখা মিলছে না ঠাকুরগাঁওয়ে। এ কারণে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে অনেকাংশে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নিন্ম আয়ের মানুষজন কাজে যেতে না পেরে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। গত শনিবার ঠান্ডাজনিত কারনে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা কৃষি বিভাগ জানায় কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। সন্ধা হলেই নেমে আসছে কুয়াসা। আর রাত একটু হলেই বৃষ্টির মত ঝিরঝির করে কুয়াশা পড়ছে। দিনের বেলাতেও গ্রামের সাথে শহরেও গাড়িঘোড়া চলছে হেড লাইট জ্বালিয়ে। ঠাকুরগাঁওয়ে ঠান্ডাজনিত কারনে গত শনিবার পুরাতন ঠাকরগাঁও মৃত মোবারক আলীর স্ত্রী জহুরা (৭০) ও শহরের গেয়ালপাড়া মহল্লার মৃত দবিরুলের স্ত্রী সখিনা (৯০) এর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে শীতে বোরোর বীজতলা রক্ষার্থে ইতোমধ্যে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান কৃষি বিভাগ।
এ ব্যাপারে কথা হয় আমাদের প্রতিনিধির; জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল-র সংগে তিনি জানান ইতি মধ্যে ৩৪ হাজার এর ও বেশি কন্বল বিতরণ করা হয়েছে সদর উপজেলা সহ বিভিন্ন উপজেলায়।গত তাং মাননীয় সংসদ সদস্য ওবায়দুর কাদের এসে ৫ হাজার কন্বল ও ১০ লাখ টাকা বিতরণ কাষক্রম চলমান । তাছাড়া কন্বল আর ও এসেছে / আসবে তিনি আর ও বলেন একজন সচিব মহাদয় ও স্থানিয় দানশীল বেক্তির মাধ্যমে আমরা বেশ কিছু বাচ্চাদের শুয়েটার পায়েছি তা বিতরণ শুরু করেছি। অপরদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনো অনেক ইউনিয়নের গ্রাম পর্যায়ে শীতার্তদের মাঝে কম্বল পৌছায়নি।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল জানান, জেলার শীতার্ত মানুষের শীত নিবারনের জন্য ইতোমধ্যে ৫০ হাজার পিস কম্বল চেয়ে মন্ত্রনালয়ে চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। প্রাপ্ত কিছু কম্বল ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ি কম্বল পাওয়া গেলে হয়তো কিছু মানুষকে শীতের কবল থেকে রক্ষা করতে পারবো। বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আরো কম্বল বিতরণ করা হবে। তিনি জেলার বিত্তবান ব্যক্তিদের শীতার্তদের পাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।