![]() মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের দায়িত্ব দিচ্ছে পাকিস্তান
নতুন বার্তা, ঢাকা:
|
![]() এমনটা নিশ্চিত করেছে কুটনৈতিক সূত্র। মূলত ইমরান হায়দারকে নিযুক্ত করার নিয়োগটি সৈয়দ আহমেদ মারুফের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে করা হয়েছে, যিনি গত মে মাসে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তলবের পর নিজ দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। হাইকমিশনার পরিবর্তনের পটভূমি : ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ গত ১১ মে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা হন। হঠাৎ তার ঢাকা ত্যাগ নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। পরে গত ৯ মে কক্সবাজার সফরকালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে জরুরি তলব করে। কক্সবাজার সফরে তার সঙ্গে ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু আজহার মাহমুদ এবং একজন বাংলাদেশি নারী, যিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক। কক্সবাজারের হোটেল সি-পার্লে অবস্থানকালে হাইকমিশনারের সঙ্গে ওই নারীকে একাধিকবার দেখা গেছে জানা যায়। যদিও সেসময় জানতে চাইলে ওই নারী কালবেলার কাছে দাবি করেন, এটি ছিল কাকতালীয় সাক্ষাৎ এবং তাদের মধ্যে কোনো অনৈতিক সম্পর্ক নেই। এদিকে সৈয়দ আহমেদ মারুফের কক্সবাজার সফর এবং সংশ্লিষ্ট ঘটনাগুলো পাকিস্তান সরকারের নজরে এলে তাকে নিজ দেশে তলব করে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও পাকিস্তান হাইকমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেনি, তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, তিনি দুই সপ্তাহের ছুটিতে রয়েছেন। তবে ঘটনার এক মাস কেটে গেলেও বাংলাদেশে ফিরে আসেননি সৈয়দ আহমেদ মারুফ। এই ঘটনার পর পাকিস্তান সরকার দ্রুত ইমরান হায়দারকে নতুন হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেয় এমনটা জানা যায়। জানা গেছে রাষ্ট্রদূত ইমরান হায়দার ১৯৯৬ সালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। তিনি ইসলামাবাদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিভাগে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্রদূত ইমরান হায়দার গত বছরের ২৫ মার্চ মিয়ানমার প্রজাতন্ত্রে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি তাজিকিস্তানে এবং ২০১৬-২০১৯ সাল পর্যন্ত তেহরানের পাকিস্তান দূতাবাসে মন্ত্রী/উপ-মিশন প্রধান (ডিএইচএম) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ভারতের নয়াদিল্লি (২০০৯-২০১২); আবুধাবি (২০০১-২০০৬); জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী মিশন, নিউইয়র্ক (১৯৯৮-১৯৯৯) মিশনেও কাজ করেছেন। |