/ সারাদেশ / ফরিদগঞ্জে চরের পেটে চলে যাচ্ছে জণগুরুত্বপূর্ণ সড়ক: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা গণমানুষের
ফরিদগঞ্জে চরের পেটে চলে যাচ্ছে জণগুরুত্বপূর্ণ সড়ক: প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা গণমানুষের
কামরুজ্জামান,ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) :
|
বাংলাদেশের মধ্যে মাছ চাষে ফরিদগঞ্জ তৃত্বিয় ও কুমিল্লা জেলায় প্রথমস্থান দখল করে আছে বেশ কয়েক বছর ধরে। আশির দশকে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলাকে সিআইপি বেড়ীর আওতায় আনলে ভ্যাগ্য ফিরে ফরিদগঞ্জের অবহেলিত মানুষের। মাছ চাষ করে সাবলম্বি হয় এ উপজেলার অধিকাংম মানুষ। একই সাথে বছরে এক ফসলের পরিবর্তে এখন তিনটি ফসল ফলায়। মাছ চাষ করে কেউ কেউ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেলেও কিছিু কিছু অসুবিধার সম্মূখিন হচ্ছে সরকার এবং সাধারন মানুষ। যুগের পর যুগ সড়কের পাশের চর এবং কোথাও নদীতে বাঁদ তেরী করে মাছ চাষ করার কারণে ভাঙনের কবলে পড়ে সরকারী অর্থায়নে করা রাস্তাগুলি। হাজার হাজার লোকজনের চলাচলকারী চরের পামের রাস্তাগুলি মাছের তান্ডবে ভেঙ্গে গেলেও মেরামত করে দেয়ার কোন উদ্যোগ নেয়নি মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এ রকমই একটি রাস্তা উপজেলার ১০নং ইউনিয়নের চর রাঘবরায়ে। এক সময়ে রাস্তাটি দিয়ে গাড়ী চলাচল করলেও ভাঙনের কারণে এখন সাইকেল চালিয়ে পারাপার হওয়া দুষ্কর। চরে সড়ক খেয়ে ফেলা চরটি আবারো মাছ চাষের জন্য নিলামের আয়োজন হচ্ছে। এমতাবস্থায় সড়কটি রক্ষায় এবং মৎস্যচাষীদের মাধ্যমে সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর গণস্বাক্ষরযুক্ত আবেদন করেছেন স্থানীয় লোকজন। জানা গেছে, উপজেলার সোভান বাজার-ভাটিয়ালপুর-হরিনা সড়ক-জয়গঞ্জ ঘাট (জড়ধফ ওউ ঘড়- ৪১৩৪৫৪০১৯)পর্যন্ত সড়কের গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর চররাঘর রায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে দক্ষিণ চররাঘব রায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয় পর্যন্ত সড়কের এক কিলোমিটার সড়কটি ডাকাতিয়া নদী তীরবর্তী সড়ক। সড়কের পশ্চিম পাশে^ বিশাল জনবসতি রয়েছে, যাতে অন্তত ৫ হাজার লোকের বাস। সড়কের পূর্বপাশে^ সিংহের চরে দীর্ঘদিন ধরেই মাছ চাষ করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। মাছ চাষের কারণে এক সময়ে গাড়ী চলাচল করা সড়কটি ভেঙে গেছে। এখন সড়কটি দিয়ে সাইকেল চালিয়ে যাওয়া দুষ্কর। স্থানীয় লোকজন বারংবার মাছ চাষীদের সড়কটি মেরামতের জন্য বললেও তারা কর্ণপাত করছে না। এমতাবস্থায় আগামী ২৫ জানুয়ারি সিংহের চরটি আবারো মাছ চাষের জন্য নিলাম হবে। তাই সড়কটি রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী গণস্বাক্ষরযুক্ত একটি আবেদন জেলা প্রশাসক বরাবর দিয়েছে। ভুক্তভোগীদের মধ্যে প্রাণেশ^র দাস, নুরু মিয়া, মিজানসহ বেশ কয়েকজন জানান, চরের অধিকাংশই জমির মালিক গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চরমথুরা গ্রামের বাসিন্দা। জমির মালিকগণকে অধিক লাভের জন্য প্রতিবছর মাছ চাষের জন্য লিজ দেয় চরটি। কিন্তু গণমানুষের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চর ইজাড়াদারতের দায়িত্বহীনতার কারনে মাছে খেয়ে ফেলছে। মাছ চাষের কারণে ব্যপক ভাবে ভাঙনের শিকার সড়কটি মেরামতে কোন পক্ষই উদ্যোগ নেয়নি। স্থানীয় লোকজনের ও ছাত্রছাত্রীদের চলাচলের খুবই কষ্ট হয়। রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কারণে কোন যানবাহন এই গ্রামে প্রবেশ করতে পারেনা। এমনকি রিক্সা, ভ্যানগাড়ী, অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে না। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহমেদ জানান, চলতি অর্থ বছরে আমরা সড়কের পাকা করনরে কাজ শুরু করবো। মাছে চাষের কারণে সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে লোক পাঠাচ্ছি। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল, সড়ক ভাঙার অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। |