/ সারাদেশ / শালিসি বৈঠকে স্ত্রী তালাক দিয়ে সন্তানকে বিক্রির অভিযোগ
শালিসি বৈঠকে স্ত্রী তালাক দিয়ে সন্তানকে বিক্রির অভিযোগ
ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর)প্রতিনিধি:
|
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে স্ত্রী তালাক দিয়ে ৯ মাস বয়সের সন্তান বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে পাষÐ পিতার বিরুদ্ধে। এদিকে সন্তানকে ফিরে পেতে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে দুই সপ্তাহেও সুরাহা পাননি শিশুটির গর্ভধারিনী মা। ফরিদগঞ্জ থানাসূত্রে যানা যায়, প্রায় দুই বছর পূর্বে ফরিদগঞ্জ উপজেলার বাশারা গ্রামের আব্বাস মুন্সির ছেলে ইকবাল মুন্সির(৩৫) সাথে একই উপজেলার পূর্ব দায়চারা গ্রামের মৃত শাহআলম মোল্লার মেয়ে নয়ন বেগমে(২২)র সাথে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী-ইকবাল মুন্সি তার স্ত্রীকে যৌতুকের দাবীতে নিয়মিত চাপ প্রয়োগ এবং বিভিন্ন অজুহাতে প্রায়ই মারধর করে। এরই মধ্যে ইসরাত জাহান ইভা নামে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সন্তানের বর্তমান বয়স ৯মাস। পারিবারিক কলহের জেরে এক পর্যায়ে বিগত বছরের ১৬ ডিসেম্বর গ্রাম্য মাতবরদের উপস্থিতিতে শালিসি বৈঠক হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নয়ন বেগমের কাছ থেকে তালাক প্রদান পূর্বক খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখার অভিযোগ রয়েছে। পরে জোরপূর্বক ৯ মাসের শিশু ইসরাত জাহান ইভাকে মায়ের কোল থেকে ছিনিয়ে নেয় ইকবাল মুন্সির পরিবারের লোকজন। নয়ন বেগম প্রতিনিধিকে জানায়, আমার স্বামী যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময়ে মারধরসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন করতো। সুখের আশায় শালিসদের কাছে বিচার দিলে উল্টো আমাকে তালাক দিতে বাধ্য করে। এমনকি তারা আমার সন্তানকে কোল থেকে ছিনিয়ে নেয়। সন্তানরে জন্য নিয়মিত ছটফট করতে থাকি আমি। একদিন খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আমার শিশু সন্তানকে চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার ওয়ারুক গ্রামে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় । আমি আমার সন্তানকে ফিরে পেতে চাই। নয়ন বেগমের স্বামী ইকবাল মুন্সি মুঠোফোনে জানান, নয়ন বেগমের সাথে তার শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে তালাক হয়ে গেছে। আমাদের ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সুমন, গ্রাম্য শালিস আশু, জামাল, আবু তাহের, ফারুক হোসেন ও বাবুল নামে ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তালাকের পরে শিশু সন্তানকে আমার জিম্মায় দেয়া হয়। সন্তান বিক্রির যে অভিযোগ থানায় করেছে, সেটি সঠিক নয়। আমি আমার এক সম্পর্কের খালাত বোনের কাছে সন্তানকে লালন পালন করার জন্য দিয়েছি। এবিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সুমন সোমবার দুপুরে জানান, শুনেছি শিশুটিকে পালক দেয়া হয়েছে, বিক্রির বিষয় আমি জানিনা। সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন সোমবার দুপুরে জানায়, প্রথম শালিসে আমি থাকলেও পরের বৈঠকে ছিলাম না। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মো. মাহফুজ সোমবার দুপুরে জানান, শিশুটির পিতাকে সংবাদ দিয়েছি আসার জন্য। সে আসলে শিশুটিকে উদ্ধার করা হবে। |